শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : শিশুহত্যা বন্ধ করুন

প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সম্প্রতি বাংলাদেশে উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে শিশুহত্যা এবং শিশুদের ওপর ঘটে চলেছে একের পর এক পৈশাচিক ঘটনা। এর যেন কোনো শেষ নেই। প্রতিদিন নিত্যনতুন মাত্রায় উন্মোচিত হচ্ছে সমাজের বিকৃত চেহারা। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ আমাদের হবিগঞ্জ জেলার বাহুল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশুহত্যা! কী পৈশাচিকভাবেই না তাদেরকে হত্যা করে বালুর নিচে লাশ চাপা দেওয়া হয়েছিল? সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ ছড়িয়ে পড়েছে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, অন্যায্যতা, দুর্নীতি, বিচারহীনতা এবং অপরাধ করেও শাস্তি না পাওয়ার সংস্কৃতি। আজ সমাজের মানুষ সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা হারিয়ে ফেলেছে। যার দরুন সমাজের নানা স্তরে চলমান দ্বন্দ্ব, সংঘাত, লোভ এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিশোধপরায়ণতার শিকার হচ্ছে শিশু। কারণ শিশুরা সবচেয়ে বেশি অসহায়। আসুন আমরা সবাই মানুষ হই এবং অসুস্থ দৃষ্টিভঙ্গি বদলাই। একটি সুখী, সুন্দর ও আদর্শ সমাজ ও দেশ গঠন করি।
এসএ মুরাদ সরকার
গ্রাম-রাণীগাঁও, উপজেলা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জ


ফুট ওভারপাস/আন্ডারপাস প্রয়োজন
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, জিইসি মোড়, ২ নম্বর গেইট (ষোল শহর), ১ নম্বর গেইট (মুরাদপুর) এবং এ জাতীয় মোড়ে খুব বেশি গাড়ি চলাচল করে। এজন্য অনেকে সময় বাঁচাতে গিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে এমনকি চলন্ত গাড়ির ফাঁক-ফোকর দিয়ে রাস্তা পার হয়। এতে থাকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। কিন্তু ওভারপাস/আন্ডারপাস থাকলে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা না করে কিংবা ঝুঁকি না দিয়ে অনায়াসে নিশ্চিন্তে রাস্তা পর হওয়া সম্ভব। সিটি কর্পোরেশন অনেক কোটি কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। ভেবে আশ্চর্য হতে হয়, ঐ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে এখনও ওভারপাস/আন্ডারপাস নির্মিত হয়নি। পরিশেষে, জনস্বার্থে মোড়গুলোতে শীঘ্রই ওভারপাস/আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য মেয়র মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রুমী ভুঁইয়া ও হেলাল
গোলাবাড়ীয়া, সীতাকু-, চট্টগ্রাম।


১০০% পেনশন সমর্পণ প্রসঙ্গে
সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অনেকেই ১০০% পেনশন সমর্পণ করে শুধু মেডিক্যাল এবং উৎসব ভাতা ভোগ করছেন। বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে তারা চরম আর্থিক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। পেনশন হিসাবকালীন সময়ে মূল বেতনকে ভগ্নাংশ করে ১=৪০০ টাকার পরিবর্তে ১=৩০০ টাকা ধরে গ্র্যাচুইটি মানি দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। দ্বিতীয়ত, পূর্ণপেনশন ভোগকারীর মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রী মৃত স্বামীর সাকুল্য পেনশন ভোগ করে চলেছেন। কিন্তু ১০০% পেনশন সমর্পণকারীর মৃত্যুর পর যদি তার স্ত্রী জীবিত থাকেন, তবে তিনি তার মৃত স্বামীর চিকিৎসা এবং উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন, যা স্পষ্টত বৈষম্যমূলক।
অতএব, মানবিক কারণে সদাশয় সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন ১=৪০০ টাকা হিসেবে একটি বকেয়া বিল এবং বিধবা স্ত্রীর মৃত স্বামীর চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা ভোগ করার আদেশ জারি করুন।
আবদুস সালাম
ঘুর্ণিপাড়া, নাগরপুর, টাঙ্গাইল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন