শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় কি?

| প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


সরদার সিরাজ : বাংলাদেশের বহুল প্রচলিত প্রবাদবাক্য হচ্ছে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। ফাঁক-ফোকর দিয়ে মাছ বের হয়ে যায়-ই। তবুও শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখার প্রচেষ্টা বন্ধ হয়নি। নিরন্তর চেষ্টা চলছেই। যেমন: বিদ্যুৎ উৎপাদন পনের হাজার মেগাওয়াট, খাদ্য উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পন্ন হয়েছে, এখন রফতানি হচ্ছে, মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ ইত্যাদি শ্লোগান। কিন্তু উন্নতির এসব জারিজুরি চিচিং ফাঁক হয়ে পড়েছে। ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে হাওরে এবং দেশের অভ্যন্তরে লাগাতার কয়েকদিন ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের কারণে চলনবিলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ অকাল বণ্যায় অনেক ফসলহানি ঘটেছে। একে কেন্দ্র করে ধান-চালের মূল্য আকাশচুম্বি হয়েছে।  সারাদেশে কম মূল্যের চাল খোলা বাজারে বিক্রি করার পরও চালের মূল্য হ্রাস পায়নি। মোটা চালের মূল্য এক মাসের মধ্যে  কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা বেড়েছে। একই অবস্থা অধিকাংশ খাদ্যদ্রব্যেররও। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ত্রাহিভাব সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য দ্রুুত ছয় লাখ মে. টন চাল আমদানীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এটা খুবই বৃদ্ধিদীপ্ত কাজ হয়েছে। কারণ, চাল আমদানী করা লজ্জাজনক মনে করে বসে থাকলে পরিস্থিতি আরো বিপদজ্জনক পর্যায়ে যাওয়ার আশংকা ছিল। এরই মধ্যে গোল বেধেছে চালের মজুদ নিয়ে। সরকারীভাবে বলা হয়েছে, ২০ লাখ মে.টন মজুদ আছে। কয়েকদিন আগে কয়েকটি পত্রিকায় বলা হয়েছে, বর্তমানে চালের মজুদ পাঁচ লাখ মে. টনের নীচে। ফলে সরকারী ঘোষণায় বোকা-হাবলা মানুষ গোলক ধাঁধায় পড়েছে। অবশ্য বুদ্ধিমানেরা ঠিকই বুঝে ফেলেছে চাল আমদানীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাথে সাথেই। যা, হোক, পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য  হচ্ছে : সরকারি চালের মজুদ আরও কমেছে। ফলে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী থমকে গেছে। অন্যদিকে, চালের সংগ্রহ বাড়ছে না। মজুদ বাড়াতে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ধান-চাল সংগ্রহেও কোন আশার আলো দেখতে পাচ্ছে না খাদ্য মন্ত্রণালয়। ৮ লাখ টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু করে ২১ দিনে মাত্র ২৭০ টন চাল সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য অধিদপ্তর। এই পরিস্থিতিতে সরকারের ভরসা এখন চাল আমদানী। খাদ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই এক লাখ টন চাল আমদানীর জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে। পর্যায়ক্রমে আরও ৭ লাখ টন চাল আমদানী করা হবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানীর চেষ্টা শুরু করেছে তারা। খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সফরের সময় সেখান থেকে বছরে ১০ লাখ টন চাল আমদানীর ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত এই সমঝোতা বহাল থাকবে। ভিয়েতনামের দৈনিক ভিয়েতনাম প্লাস এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ জরুরি ভিত্তিতে আড়াই থেকে ৩ লাখ টন চাল আমদানী করতে চেয়েছে। আর এ বছরের মধ্যে মোট ৫ লাখ টন চাল আমদানী করতে চায় বাংলাদেশ। এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতি বিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকারী গুদামে চালের মজুদ ২ লাখ ৩৫ হাজার টনে নেমে এসেছে। শুরুতে যা ৩ লাখ টনের বেশি ছিল। আর গত বছর একই সময়ে ছিল প্রায় ৬ লাখ টন।
মধ্য মে’তে দেশব্যাপী মারাত্মক দাবদাহ শুরু হয়। ফলে মানুষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি। কিন্তু ঘরে থেকেও শান্তি পায়নি মানুষ। কারণ, বিদ্যুৎ নেই। ঢাকা শহরে কিছু থাকে আর ঢাকার বাইরে থাকে না বললেই চলে। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে! অনেকের অভিমত, এই দূর্বিষহ অবস্থা বিএনপির আমলকেও হার মানিয়েছে। কারণ, এখন বিদ্যুৎ যায় না নয়, আসেই না। অথচ মূল্য বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুণ। যেন ভাত দেয়ার মুরোদ নেই কিল দেয়ার গোসাই। তাই বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষ চরম বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। কোথাও কোথাও মানুষ ভাঙ্গচুর করছে বিদ্যুৎ অফিস। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণ কি? সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্থাপনায় সংস্কার চলছে এবং কিছু কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন কারণে। এসব মিলে সতেরশ’ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে। অপরদিকে, কতিপয় মিডিয়া বলেছে, কি ঠিক হবে? বিদ্যুতের ঘাটতির পরিমাণ প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট চলছে অনেকদিন যাবতই। তাতে পরিসংখ্যান দিয়ে দেখানো হয়েছে, দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা হচ্ছে এগার হাজার মেগাওয়াট। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে নয় হাজার দুই শত মেগাওয়াট। কিন্তু এই উৎপাদন ব্যতিক্রম। সাধারণত: প্রতিদিন গড়ে সাড়ে আট হাজার মেগাওয়াট করে উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু সরকার থেকে বারংবার বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ পনের হাজার মেগাওয়াট। উপরন্তু এ কারণে ঢাকার হাতিরঝিলে আলোকসজ্জা করে উৎসব পালন করা হয়েছিল গত বছর। হ্যাঁ, এটা সঠিক। কিন্তু এটা উৎপাদন সক্ষমতা। সক্ষমতা আর প্রকৃত উৎপাদন এক কথা নয়। প্রকৃত উৎপাদনই আসল। কারণ, এর সাথে মানুষ সরাসরি জড়িত। তবুও সক্ষমতাকে পুঁজি করে ঢাক-ঢোল পেটানো হয়েছে। কেউ কেউ এও বলেছেন, কয়েকদিন পর বিদ্যুৎ ফেরি করে বিক্রি করা হবে। কিন্ত এখন? এখন তো প্রকৃত অবস্থা তারার মতো জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আরো কিছু সমস্যা আছে। যেমন: সরবরাহের লাইন ও ট্রান্সমিশন খুবই পুরানো এবং স্বল্প পরিমাণ সরবরাহ ক্ষমতাসম্পন্ন। এই অবস্থায় জোর করে সক্ষমতার বেশি সরবরাহ করা হয়। ফলে মাঝে-মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে বিভিন্নস্থানে। তাই সরবরাহ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে প্রয়োজনানুগ করা আবশ্যক। কিন্তু এক্ষেত্রে বিপুল অর্থ প্রয়োজন। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এখাতে বিনিয়োগ করছে না। সরকার সাধ্যমতো নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে যেটুকু পারছে, তাই করছে। যা প্রয়োজনানুগ নয়। কিন্তু শুধু উৎপাদন বৃদ্ধি করে সরবরাহ ক্যাপাসিটি সে অনুযায়ী করা না হলে কোন লাভ হবে না। কারণ, উৎপাদন, সরবরাহ ও সংরক্ষণ প্রতিটিই একটির সাথে আর একটি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। দ্বিতীয়ত: রাজনৈতিক কারণে ক্যাপাসিটির অতিরিক্ত সংযোগ প্রদান। সর্বপরি বিদ্যুতের  পূর্ণাঙ্গ চিত্র প্রতিদিন পিডিবি’র ওয়েব সাইটে দেখানো হচ্ছে না। অর্থাৎ সেখানে শুধুমাত্র উৎপাদনের পরিমাণ দেখানো হয় কিন্তু ঘাটতির পরিমাণ দেখানো হয় না। এটা অন্যায্য। কারণ, এতে করে প্রতিদিন যে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ  ঘাটতি থাকছে মানুষ তা জানতে পারছে না। এই ঘাটতিই ঢাকা শহরে সামান্য আর এর বাইরে বেশিরভাগ সময় লোডশেডিং করে কোনমতে সময় অতিবাহিত করা হচ্ছে বলে টিভির এক চ্যানেলের  টকশো’তে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষক মন্তব্য করেছেন। হ্যাঁ, তাদের অভিমত সঠিক। তাই সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করার স্বার্থেই পিডিবির ওয়েব সাইটে বিদ্যুতের প্রতিদিনের মোট উৎপাদন, ঘাটতি,সরকারী উৎপাদন, ভাড়া ভিত্তিক কেন্দ্রের উৎপাদন ও তার রেট এবং ভারত থেকে আমদানী ইত্যাদির পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা আবশ্যক। এতে লজ্জা পাওয়ার কিংবা দোষের কিছু নেই। বরং সত্য প্রকাশের জন্য বাহবাই পাবেন নিঃসন্দেহে। স্মরণীয় যে, ইতোপূর্বে এক তথ্যে জানা গেছে, বেসরকারী বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার মোট সরবরাহের ৫২%, যার মূল্য ইউনিট প্রতি ১৪ টাকা। বিশেষ করে ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ। অপরদিকে, ২০৪১ সাল নাগাদ ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যার ৬০% বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে কয়লা দিয়ে। তাও দেশে কয়লা মজুদের পরিমাণ বিশাল থাকা সত্বেও তা উত্তোলন ও ব্যবহার না করে আমদানীকৃত কয়লা দিয়ে। স¤প্রতি পরিকল্পনা সংশোধন করে ৩০% করা হয়েছে ও  উৎপাদনের টার্গেটও কাটছাট করা  হচ্ছে বলে জানা গেছে। কারণ, পরিকল্পনামাফিক বিনিয়োগ পাওয়া যাচ্ছে না। যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে তাতে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। যেমন: কয়লা রাখার স্থান নেই, পরিবেশবিদদের আপত্তি ইত্যাদি
কিন্তু ৬০% হোক আর ৩০% হোক, কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণেই বায়ূ দূষণ সর্বাধিক হয়। তাই চীন বায়ূ দূষণ হ্রাস করার জন্য কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশ চীনে কয়লাভিত্তিক শতাধিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। ১১টি প্রদেশে অবস্থিত এই প্রকল্পগুলো ১০০ গিগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রাখে। দেশব্যাপী দূষণ ও ধোয়াশার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেইজিংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কাইশিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ন্যাশনাল এনার্জি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(এনইএ) কয়লাভিত্তিক ১০৩টি প্রকল্প বন্ধের আদেশ জারী করেছে। এর মধ্যে অনেক প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছিল।এই প্রকল্পগুলোতে প্রায় সাড়ে ছয় াহাজার কোটি ডলার ব্যয়ের কথা ছিল। অনেক অর্থ ইতোমধ্যে ব্যয়ও হয়েছে। শ্রীলংকাও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। ভারত ২০৩০ সাল থেকে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে কিছুদিন আগে। প্রায় ১৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লাভিত্তিক একটি বৃহৎ প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে ফিনল্যান্ডের কোম্পানি ফোর্টাম রাজস্থানে ওই বিদ্যুৎপ্রকল্প উৎপাদনের কাজ করতে সম্মত হয়েছিল। বৃটেন গত ২১ এপ্রিল একনাগাড়ে ২৪ ঘন্টা কয়লামুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রেখেছিল। বিবিসির বাংলা খবরে প্রকাশ, বৃটেনে শিল্প বিপ্লবের পর এই প্রথম একদিন সম্পূর্ণ কয়লামুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে পুরোদিন কাটিয়েছে বলে বৃটেনের ন্যাশনাল গ্রিড নিশ্চিত করেছে। বৃটিশ সরকার কার্বণ নিঃসরণ কমাতে ২০২৫ সালের মধ্যে সব কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করার পরিকল্পণা নিয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রধান বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী দেশগুলো বায়ূ দূষণ রোধ করার লক্ষ্যে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দিচ্ছে। আর আমাদের চিত্র তার বিপরীত! যা’হোক, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে চীন আর এক মহাআলোড়ন সৃষ্টি করেছে অতি সম্প্রতি। সেটা হচ্ছে, দাহ্য বরফ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন। সমুদ্রের তলদেশে থাকে এই দাহ্য বরফ। সেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আর এই পদ্ধতিতেই বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এর আগে এক্ষেত্রে রাশিয়া ও জাপান চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু চীন সফল হয়েছে বলে বিবিসি বাংলার বিজ্ঞানের আসরে প্রকাশ। উল্লেখ্য, এর আগে চীন ঘোষণা করে, বায়ূদূষণ রোধের জন্য দেশের মোট চাহিদার অর্ধেকই উৎপাদন করবে সৌরবিদ্যুৎ।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন