শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঈদ যাত্রীদের হয়রানি করলে ব্যবস্থা ডিএমপি কমিশনার

| প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি)আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঈদ যাত্রীদের হয়রানি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী টানাটানি, যেখানে-সেখানে গাড়ি থামিয়ে রাখা চলবে না। ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে আসা-যাওয়ার জন্য ডিএমপি সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গাবতলী টার্মিনাল দিয়ে ঈদে ৩০ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন জায়গায় আসা-যাওয়া করে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘেœ যাতায়াত করতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবো। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যাত্রীদের ব্যাগ ধরে টাকাটানি করা হয় গাড়িতে উঠানোর জন্য। এমন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আপনারা দেখেছেন রমজানে এ পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটনে একটাও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। মার্কেটগুলো সেহেরি পর্যন্ত খোলা থাকে। ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চারশ থেকে পাঁচশ পুলিশ সদস্য একটি খেজুর ও এক গøাস পানি খেয়ে ইফতার খোলে। বিভিন্ন উন্নয়নে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি পরিবারের সঙ্গে যেন সবাই ইফতার করতে পারে, জ্যামে আটকে না থাকতে হয়।
এসময় ডিএমপি কমিশনার সচেতনতামূলক ডিএমপির সচেতনতামূল লিফলেট’ ফারুক তালুকদারের হাতে তুলে দেন। এগুলো যাত্রী ও ড্রাইভারের কাছে বিলি করতে বলেন। আছাদুজ্জামান বলেন, মিষ্টি কথা ভুলে কেউ যেন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে না পড়ে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
ডিএমটি কমিশনার বলেন, অনেক সময় লোকাল বাসগুলো ঈদে ভাড়া করে নেয়া হয়। লক্করঝক্কর হওয়ায় সেগুলো অনেক সময় হাইওয়েতে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। এতে জ্যাম সৃষ্টি হয়। এগুলো যেন না হয় সে ব্যাপারে মালিকদের সতর্ক থাকতে বলেন ডিএমপি কমিশনার।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, ঈদের পর সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হয়।  আমরা অভিযোগ পাই এ সময় মূল ড্রাইভার ছুটিতে থাকে, হেলপাররা গাড়ি চালায়। আমি মালিকদের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলবো।
বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফারুক তালুকদার বলেন, ‘১৯৮৪ সালে গাবতলী টার্মিনাল প্রতিষ্ঠা হলেও্ এখনো এক ইঞ্চিও জায়গা বাড়েনি। অথচ গাড়িসংখ্যা বেড়েছে হাজার হাজার। এর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেন তিনি।
সভা শেষে ডিএমপি কমিশনার গাবতলী বাস টার্মিনালের টিকেট কাউন্টার ঘুরে দেখেন ও চার্ট অনুযায়ী তাদের ভাড়া রাখতে তাগিদ দেন।
এ সময় শ্যামলি পরিবহনের এমডি রমেশ চন্দ্র এবং বিভিন্ন শ্রমিক নেতা ও পরিবহন শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন্।
বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে ডিএমপি কমিশনারের  আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ফারুক তালুকদার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন