আহমদ বদরুদ্দীন খান
(পূর্বে প্রকাশের পর)
‘এমন একটা অবস্থানে যখন আমি দোল খাচ্ছি, ঠিক সে সময়ই খুব সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখলাম। বাড়ীঘর সহায়-সম্পদ সবকিছু ছেড়ে একেবারে সর্বহারা অবস্থায় সাহাবায়ে কেরাম হিজরত করে গিয়েই তো ইয়াসরেবের ন্যায় একটা অখ্যাত ও গুরুত্বহীন জনপদকে মদীনাতুর-রাসূল তথা সোনার মদীনায় পরিণত করেছিলেন। উপবাস-অনাহার ছিল তাঁদের নিত্যসঙ্গী। সেদিন তো তাঁরা কোনরূপ সাহায্য-সহযোগিতা কারো কাছ থেকে পান নাই! চানও নাই। একমাত্র আল্লাহর মদদই ছিল তাঁদের কাম্য। আমি সেই মদীনার আলো বাংলার জমিনে ছড়িয়ে দেওয়ার সংকল্প গ্রহণ করেছি। আমি কেন কোন মানুষের কাছে নিজের অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করে সরাসরি আল্লাহর মদদ থেকে বঞ্চিত হতে যাবো? না, কোন মানুষের নিকট থেকে সাহায্যের কোন আশা করা নয়; সবাইকে যিনি দেন সেই মহান আল্লাহর নিকট থেকেই সব প্রয়োজন চেয়ে নিতে হবে। আমরা তো মদীনার সেই সর্বহারা আসহাবে-সুফফারই কিংকরসম! সুতরাং তাঁদের পথেই আমাকেও অগ্রসর হতে হবে। আর, মাসিক মদীনা-কে সাফল্যের পথে নিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ এটিই!
‘ঢাকার নিউ মার্কেটে অবস্থিত কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটির দোকানটিতে প্রচুর উর্দু গল্প উপন্যাস এবং ম্যাগাজিনও রাখা হতো। ফলে উর্দু, বাংলা উভয় ভাষাভাষী কবি সাহিত্যিক ও গ্রন্থপ্রেমিক উৎসাহী পাঠকদের এক অপূর্ব মিলন কেন্দ্র ছিল নিউমার্কেটের এই কোণটা। পরের রবিবারে নিউমার্কেট গিয়ে প্রথমেই ঢুকলাম নলেজ হোম নামক দোকানটিতে। মালিক আমাকে দেখেই হৈ হৈ করে উঠলেন। বললেন, কংগ্রাচুলেশন। শুনলাম মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করছেন। জিজ্ঞেস করলাম, এ খবর আপনাকে আবার কে দিল, তিনি কিছু না বলে শুধু মিটমিট করে হাসতে লাগলেন। বললাম, পঙ্গুরও তো পর্বত আরোহণের শখ হতে পারে। আকাক্সক্ষায় দোষ কি? দোকানের মালিক বললেন, দোষ হতে যাবে কেন? আর আপনিই বা পঙ্গু হতে যাবেন কেন? তবে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে একটা কথা বলি, অন্য কিছু মনে করবেন না।
‘আমি আগ্রহী হয়ে বললাম, অবশ্যই বলবেন। আপনি তো এদেশের সর্বাপেক্ষা দক্ষ ম্যাগাজিন বিক্রেতাগণের একজন। আপনার অভিজ্ঞতা আমার কাজে লাগবে।
‘তিনি বললেন- নামটা ঠিক হয়নি। দেশে এখন প্রবল বেগে প্রগতির বাতাস বইছে। ধর্মীয় পত্র-পত্রিকা এবং চকবাজারী মার্কা বই-পুস্তকের দিন শেষ হয়ে গেছে। মক্কা-মদীনা নামের কোন পত্রিকা তো আমার দোকানেই তুলতে পারবো না।
‘আমি কিছুক্ষণ চুপ থেকে শুধু এতটুকু বললাম, মদীনা নামের পত্রিকা এদেশের ঘুমন্ত মানুষের চেতনার জমিন পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়াই তো আমার সাধনা। সুতরাং এ নামেই ইনশাআল্লাহ্ পত্রিকা বের হবে। আর আপনার দোকানে নেংটা ছবিওয়ালা পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি মদীনা রাখতে আমিই কোনকালে দেব না। আশা করি কিছু মনে করবেন না। শুধু দোয়া করবেন, মদীনার আযান বাংলার ইথারে পৌঁছে দেওয়ার সাধনায় যেন আমি সফলকাম হই।
‘কিন্তু পত্রিকার অন্ততঃ একটা সংখ্যা বের করতে অন্যূন তিন’শ টাকার দরকার। কাগজ, ছাপা, বাঁধাই, কভার ডিজাইন, কভার বøক ইত্যাদি রকমারি কাজ। তিনশ টাকা খরচ করার পর যদি এক হাজার কপির সবগুলিও বিক্রি হয়ে যায়, তবুও আড়াইশ টাকার বেশি হাতে আসার সম্ভাবনা নাই। তারপরও দমলাম না। সর্বপ্রথম ধরলাম বন্ধু শিল্পী কুতুবুজ্জামান খানতে। তিনি বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ও গ্রন্থকার খান বাহাদুর আবদুর রহমান খানের ভ্রাতুষ্পুত্র। তিনি একরঙ্গা একটা কভার এঁকে দিলেন। এজন্য কোন পারিশ্রমিক গ্রহণ করলেন না। তাঁর অনুরোধেই কবি ফারুক মাহমুদ তাঁর কারখানা থেকে বাকীতে একটা বøকও বানিয়ে দিলেন। সে বøকটিই রং বদলে বদলে পত্রিকার প্রথম পাঁচ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করলাম।
‘এমনি এক একটা কঠিন স্তর পাড়ি দিয়ে মাসিক মদীনা ছাপা হতে লাগলো। অল্প কয়দিনের মধ্যেই ছাপার কাজ শেষ হওয়ার কথা। একটা ঠিকানা তো দিতে হবে। অফিস ছাড়া পত্রিকা চলবে কিরূপে? শুনলাম, ৫৫/৩ ইংলিশ রোডে জনাব বাকী সাহেবের একখানা ছোট কামরা তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। দৈনিক পাসবান পত্রিকায় এতদিন কাজ করেছি। পাসবান ছাপা হতো বাকী সাহেবের ইয়ং প্রেসে। সেই সুবাদে বাকী সাহেবের সাথে সরাসরি গিয়ে সাক্ষাত করলাম। কঠিন মানুষরূপে বাকী সাহেবের কিছুটা বদনাম ছিল। কিন্তু আমি আমার আরজিটুকু পেশ করার সাথে সাথে আর একটা কথা না বলেই ড্রয়ার খুলে কামরার চাবিটা আমার হাতে তুলে দিয়ে বললেন, কামরার ভিতরে একটা টেবিল হাতলওয়ালা একটা আর হাতলছাড়া চারটা চেয়ার, একটা রেক ও একটা ফ্যান আছে। সেগুলিও তুমি ব্যবহার করো। ভাড়া মাসে আট টাকা। তবে বিজলী বিল তোমাকে দিতে হবে। উপরে যারা থাকে ওদের সাথে একটা রফা করে নিও। মাসে হয়ত তোমাকে ৪/৫ টাকা দিতে হবে।’
পর্বতসম বাঁধা অতিক্রম করে এবং সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দ্বীনি সাহিত্য চর্চার একটি সুদৃঢ় প্রাঙ্গন তৈরি করে যেতে এভাবেই শুরু করেছিলেন বাংলা ভাষায় ইসলামী সাহিত্য চর্চার অগ্রপথিক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রাহ্.) তাঁর সংগ্রাম-মুখর কর্ম জীবন।
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন মানুষকে বড় বেশি ভালোবেসে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে এই দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। যাতে করে মানুষ মহান স্রষ্টার প্রতিনিধিরূপে তাঁর আনুগত্যের আওতায় জীবন-যাপন করে কল্যাণের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে এবং অন্যদেরকেও কল্যাণ তথা ইসলামের পথে আহ্বান করতে পারে। মহান রাব্বুল আলামীনের মহান সেই অভিপ্রায় বাস্তবায়নে নিজের গোটা জীবনকে পরিপূর্ণরূপে উৎসর্গ করেছিলেন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রাহ্.)। যাপিত-জীবনের প্রতিটি কর্মকান্ডে তিনি মহান প্রভুর সন্তুষ্টি কামনা করতেন। আর তাই কর্ম জীবনের সূচনাতেই তিনি দ্বীনি দাওয়াতের এমন এক ময়দানে কাজ শুরু করেন যা তৎকালীন পরিবেশ-পরিস্থিতির মোকাবেলায় আলেম-ওলামাদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসেবে মনে করা হত। কারণ, ঐ সময়টাতে বাংলা ভাষায় দ্বীন তথা ইসলামী সাহিত্য চর্চা সাধারণ শিক্ষিত মানুষের কাছে তো বটেই এমন কি আলেম-উলামাদের কাছেও অজ্ঞাত এবং প্রায় নিষিদ্ধ বিষয় হিসেবে পরিত্যাজ্য ছিল। অথচ ইসলামী দাওয়াতী কার্যক্রমের দৃষ্টিতে তা ছিল সেই সময়ের জন্য কাংখিত ও অতীব প্রয়োজনীয়। কেননা, পবিত্র কোরআনের ভাষ্যমতে দ্বীন প্রচারের ক্ষেত্রে যাঁরা সবচেয়ে সফল সেই আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালামের প্রত্যেককেই স্ব স্ব মাতৃভাষায় তাবলীগ তথা দ্বীন প্রচারের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। আর তাই মানব জাতির জীবন-বিধান হিসেবে অবতীর্ণ সকল আসমানী কিতাব ও সহীফাসমূহ ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট অঞ্চল ও জাতির ভাষায় অবতীর্ণ করা হয়েছে।
মাসিক মদীনা সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খানও সেই বাস্তবতার আলোকে কর্ম-জীবনের সূচনাতে পেশা হিসেবে মাতৃভাষায় ইসলামী সাহিত্য চর্চার কঠিন ও দুঃসাহসিক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। বিষয়টি আজকের বাস্তবতায় যতটা সহজ, তখনকার প্রতিকূল পরিবেশ-পরিস্থিতিতে ঠিক ততটাই কঠিন ও অসম্ভব ছিল। আজকের দিনে কোন আলেম ইসলামের যে কোন বিষয়ে কোন মৌলিক গ্রন্থ রচনা বা বাংলায় অনুবাদ করলে সর্বমহল থেকে তাঁকে বাহ্বা দেয়া হয়। কিন্তু মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের কর্ম-জীবনের শুরুর দিকে পরিবেশ-পরিস্থিতি ছিল ঠিক তার উল্টো। তখনকার বাস্তবতায় কোন আলেমের পক্ষে বাংলা ভাষায় ইসলামী সাহিত্য চর্চাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় কর্মকান্ড অর্থাৎ, ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হত। বিশেষ করে তখনকার আলেম সমাজ এই উদ্যেগের ঘোর বিরোধী ছিলেন। বাংলা ভাষায় ইসলামী সাহিত্য চর্চাকে তাঁরা রীতিমত দ্বীনের বিরুদ্ধে ধৃষ্টতা বলে মনে করতেন। তাই আজকের এই অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার জন্য মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের মত হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন নিবেদিত-প্রাণ মানুষ বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানদের জন্য কি বিশাল ময়দান তৈরি করে গেছেন এবং কি অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন তা প্রকৃত অর্থে অনুধাবন করার মত মেধাও আমাদের মাঝে অনেকের নেই। তাই আমরা কাউকে কাউকে মাঝে-মধ্যে বলতে শুনি যে, পরিবেশ-পরিস্থিতি আমাদের আলেম সমাজকে পাল্টে দিয়েছে। অথচ এই ইতিবাচক পরিবর্তনের পিছনে মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের মত মানুষদের অতুলনীয় ত্যাগ ও অবদানকে অস্বীকার করি।
মাসিক মদীনার প্রাণ-পুরুষ ও সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রাহ্.)-কে উৎসর্গ করে যে মূল্যায়নটুকু আমি ব্যক্ত করেছি তা নিছক কোন ব্যক্তি-বন্দনা নয়, বরং একজন নায়েবে-রাসূলের যাপিত জীবনের সংগ্রাম-মুখর উপাখ্যান, তথা জাতির কল্যাণে তাঁর অসাধারণ দ্বীনি অবদানের কথা। কারণ, মাসিক মদীনা সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রাহ্.) শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি ছিলেন না, তিনি ছিলেন মযলুম মুসলিম উম্মাহর সাহসী কণ্ঠস্বর, আশা-আকাংখার প্রতীক ও চেতনার বাতিঘর। তিনি তাঁর জীবনের সবটুকু শ্রম, মেধা ও আন্তরিকতা দিয়ে তাঁর যুগকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করেছিলেন বলেই তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম তথা আমরা আজ মুসলমান পরিচয়ে বেঁচে আছি। অন্যথায় আমরা হয়তোবা জাহেলিয়াতের অন্ধকারে হারিয়ে যেতাম। হারিয়ে যেত আমাদের তাহ্যীব-তামাদ্দুন ও স্বকীয় স্বত্তা। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন ইসলামকে তাঁর একমাত্র মনোনীত দ্বীন হিসেবে সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রæতি পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন। সেই সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, অতঃপর সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম ও তৎপরবর্তী উম্মতে মুহাম্মদীর আলেম ওলামাগণই স্ব স্ব যুগে ইসলামের ধারক-বাহক ও এই দ্বীনকে যিন্দা রাখার মহান দায়িত্ব পালন করবেন বলেও স্বয়ং রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেছেন। তাই সকল যুগের হক্কানী ওলামায়ে কেরাম তথা নায়েবে নবীর যাপিত জীবনের যাবতীয় কর্ম-সাধনাই মূলতঃ ইসলামের এক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাখ্যান হিসেবে স্বীকৃত। তাঁদের জীবন ও কর্মই ইসলামকে সুরক্ষিত রেখে যুগের পর যুগ সচল রেখেছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত এই দ্বীনকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত রাখবে।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনাদর্শ যেমন মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সমগ্র মানব জাতির যাবতীয় সফলতার সোপান ও মুক্তির একমাত্র পথ। ঠিক তেমনি মুসলিম উম্মাহর সকল যুগের মনীষীগণের চিন্তা-চেতনা, গবেষণা, জীবন ও কর্মও তাঁর যুগের মানুষদের জন্য মুক্তির পথ হিসেবে স্বীকৃত। তাই তাঁদের জীবনী নিয়ে আলোচনা, গবেষণা ও চিন্তা-ভাবনা করা প্রত্যেকেরই একান্ত কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। কারণ, সহীহ্ হাদীসের ভাষ্যমতে, ‘সকল যুগের হক্বপন্থী ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ হচ্ছেন নবীদের প্রকৃত উত্তরাধিকারী। আর নবীগণ তাঁদের উত্তরাধিকার হিসেবে কোন ধন-সম্পদ রেখে যাননি, বরং ইলম তথা জ্ঞানের ভান্ডর রেখে গেছেন। অতএব, যে ব্যক্তি সে জ্ঞান আহরণ করল সেই জীবনে প্রকৃত সফলতা লাভ করল।’ আর মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রাহ্.) ছিলেন তেমনি একজন জ্ঞান ও আলোর ফেরিওয়ালা, যিনি সারা জীবন মাতৃভাষায় ইসলামী জ্ঞান বিতরণ করে পথহারা মানুষকে প্রকৃত কল্যাণ ও আলোর পথ দেখিয়েছেন। তাঁর যাপিত জীবনের সকল কর্মকান্ডের একমাত্র লক্ষ্যই ছিল অন্ধকার জীবন থেকে দিকভ্রান্ত মানুষকে প্রকৃত জ্ঞান দ্বারা আলোকিত সাফল্যের পথে নিয়ে আসা। সারা জীবনে তাঁর একটি কাজ কিংবা প্রচেষ্টা এমন খুঁজে পাওয়া যাবে না যা তিনি ব্যক্তিগত লাভালাভের জন্য করেছেন। বরং সমগ্র জীবনই তিনি অন্যের কল্যাণ চিন্তায় ব্যয় করে গেছেন। তাই আমাদের উচিৎ এই কালজয়ী মনীষীর অসামান্য অবদানসমূহের যথাযথ মূল্যায়ন ও সম্মান করা। আল্লাহ্ পাক আমাদের সে তওফিক দান করুন, আমীন।
লেখক : সম্পাদক, মাসিক মদীনা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন