শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : স্মার্ট কার্ড বিতরণ

| প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন এলাকায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু করেছে। কার্ড বিতরণে অব্যবস্থার কারণে জনগণ সীমাহীন দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কাজকর্ম বাদ দিয়ে সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে কার্ড পাচ্ছেন না। পলবী ১১ নং সেকশনে একটি ছোট স্কুলের মধ্যে প্রতিদিন ১৫/২০ হাজার মানুষকে কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এত মানুষের জন্য মাত্র দুটি করে কাউন্টার করা হয়েছে। ফলে টোকেন নিতে, আইরিশ ও আঙুলের ছাপ দিতে এবং কার্ড ডেলিভারি নিতে জনগণকে তিন কক্ষে তিন দফায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। অসুস্থ ও বৃদ্ধদের জন্য পৃথক কাউন্টার করা হয়নি। বৃষ্টি-বাদলের দিনে কোনো সামিয়ানার ব্যবস্থাও করা হয়নি। ফলে খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টিতে ভিজে কাদা-পানিতে দাঁড়িয়েও কার্ড নিতে হচ্ছে। সেবা সংক্রান্ত তথ্যকেন্দ্র, দিকনির্দেশনা বোর্ড বা স্বেচ্ছাসেবক না থাকায় জনগণ গোলক ধাঁধায় পড়ছেন। বৈরী পরিবেশে হাজার হাজার মানুষকে ডেকে এনে তাদের প্রতি গরু-ছাগলের মতো আচরণ করা কোন ধরনের মানসিকতা? বিশ্বব্যাংক স্মার্ট কার্ড প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। তা হলে কার্ড বিতরণে এত অব্যবস্থা কেন? জনগণ যাতে সুষ্ঠু পরিবেশে ওয়ান স্টপ সার্ভিস পায় সে-জন্য প্রয়োজনে অস্থায়ী লোকবল নিয়োগ করে সুপরিসর স্থানে কার্ড বিতরণ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
মো. আলী হায়দার, ঢাকা


শরবতের নামে বিষ খাবেন না
পথে ঘাটে বিক্রি হয় শরবত। বেল, এলোভেরা,  লেবুর শরবত। কী টকটকে রং। দুঃখজনক হলেও সত্যি, এইসব শরবত শরীরের মারাতœক ক্ষতি করতে পারে। পানি বিশুদ্ধ নয়। শরবতে ব্যবহূত বরফ মাছ সংরক্ষণের জন্য তৈরি বরফ। মাছের জন্য সরাসরি ওয়াসার পানি দিয়ে বরফ তৈরি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই স্বাস্থ্যহানিকর কাজ চলছে। দূষিত পানি গ্রহণে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরা, হেপাটাইটিস, জন্ডিস  রোগে আক্রান্ত  হচ্ছেন অনেকে। যদিও শরবতই এই জন্য দায়ী। সেটা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। যারা এই অপকর্মে লিপ্ত, তাদের জীবিকার প্রশ্ন আছে। তাই তাদের বোঝাতে হবে। শরবতে যে রং ব্যবহার করা হয় সেটাও অনুমোদিত নয়। চিনির সঙ্গে থাকে লবণের মিশ্রণ। বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করা হয় না। সরাসরি ওয়াসার পানি দেওয়া হয়। যাতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিদ্যমান। সেজন্য ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি স্যানিটারি ইন্সপেক্টররা শুধু হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবার নয়, এইসব ভুঁইফোড় শরবত বিক্রেতাদের ধরবেন।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, মিরপুর ১২, ঢাকা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন