কে. এস সিদ্দিকী
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আম্বিয়ায়ে কেরামের মধ্যে হজরত আদম (আ.) ছিলেন আবুল বাশার বা মানব জাতির পিতা- প্রথম মানব ও প্রথম নবী। আর হজরত মোহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বশেষ নবী, রসুল এবং সাইয়িদুল মোরসালিন অর্থাৎ নবী রসুলগণের সর্দার, নেতা। আদম (আ.) পরবর্তী নবীগণের মধ্যে হজরত শীস (আ.), হজরত ইদ্রীস (আ.) এবং হজরত নূহ (আ.) রয়েছেন। নূহ (আ.) এর বিখ্যাত তুফানের সময় তিনি ও তার নৌকার আরোহীরা ব্যতীত আল্লাহর আজাবে সব কিছু ধ্বংস হয়েছিল, কোনো মানব-প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল না। পরবর্তী প্রজন্ম নৌকায় বেঁচে যাওয়া আরোহীদের থেকে জন্ম লাভ করে। তাদের মধ্যে নবীর তিন পুত্র হাম, মাম এবং ইয়াকেন এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এভাবে দুনিয়ায় নতুন মানব গোষ্ঠীর উৎপত্তি বলে নূহ (আ.)কে আদমে ছানী বা দ্বিতীয় আদম বলা হয়ে থাকে। হযরত ইবরাহিম (আ.) ইরাকের উর নামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করেন। উর ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত ছিল। তিনি মূর্তিপূজা করতে লোকদের নিষেধ করেন এবং দ্বীনে হানিফ অর্থাৎ ইসলাম তাদের সামনে পেশ করেন, যা তাঁর পরে সকল নবী রসুল প্রচার করেন, বিস্তার ঘটান। হজরত ইসমাইল (আ.) ও হজরত ইসহাক (আ.) তার পুত্রও বিখ্যাত নবী ছিলেন। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) হজরত ইসমাইল (আ.) এরই বংশধর।
তিনি ইবরাহিম খলীল নামেও পরিচিত এবং তার উপাধি খলিলুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর বন্ধু। তাকে মোমেনদের পিতাও বলা হয়। কোরআনে ৬৮ স্থানে, বিশ সূরায় তার উল্লেখ রয়েছে। ইবরাহিম নামক তার নামে একটি সূরাও আছে। তার পিতার নাম ছিল তারেখ আজর। তার তিন পুত্র ইবরাহিম, হারান এবং নাহুর। হারান তার পিতার জীবদ্দশায় মারা যান এবং রেখে যান পুত্র লুত। নাহুর সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। আল্লাহ তাআলা হজরত মোহাম্মদ (সা.)কে হজরত ইবরাহিম (আ.) এর অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার পবিত্র জীবনকে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আবুল আম্বিয়া হজরত ইবরাহিম (আ.)এর যুগ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। তার পিতার পেশা ছিল মূর্তিনির্মাণ করা এবং তা বিক্রি করা। আজর একটি মূর্তির নাম ছিল, এ নামেই তিনি তার উপাধি ধারণ করেন বলে ঐতিহাসিকদের মত। কোরআনে তারেখের স্থলে আজরই ব্যবহৃত হয়েছে। আর এ মূর্তি নির্মাণকারীর গৃহে জন্ম গ্রহণ করেন মূর্তি ধ্বংসকারী আম্বিয়ার পিতা ইবরাহিম (আ.)। তিনি মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে তার পিতা আজরকে সতর্ক করেন। বাবেলের বাদশাহ নমরুদ অত্যন্ত আন্তরিকতা ও ভালোবাসার সাথে আজরকে তার দরবারে ডেকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে পুরস্কৃত করে এবং শাহী মূর্তিগৃহের দারোগা নিয়োগ করে। নমরুদ নিজেকে খোদা বলে দাবী করতো এবং তার সা¤্রাজ্যের সর্বত্র তার প্রতিমূর্তি নির্মাণ করে পূজাগৃহ বা মন্দিরগুলোতে স্থাপন করে রেখেছিল। লোকেরা তাকে খোদা বলতো এবং তাকে সেজদা করতো। এ নমরুদের যুগেই হজরত ইবরাহিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেন।
আজরের যুগ হতে ইবরাহিম (আ.) এর যুগ এইভাবে হিসাব করে তারেখের বয়স যখন ৭৫ বছর তখন হজরত ইবরাহিম (আ.) এর জন্ম হয়। এ হিসেবে নূহ (আ.)এর তুফানের সময় হতে হজরত ইবরাহিম (আ.)এর জন্ম পর্যন্ত দুইশ সাতানব্বই বছর হয়। হজরত নূহ (আ.) সম্পর্কে বলা হয় যে, তুফানের পর তিনশ পঞ্চাশ বছর তিনি জীবিত ছিলেন। অতএব ধরে নেয়া হয় যে, হজরত নূহ (আ.) এর ইনতিকালের সময় হজরত ইবরাহিম (আ.)এর বয়স ছিল ৫৩ বছর। তিনি তার পরদাদার যুগ পেয়েছিলেন।
ঐতিহাসিক আবুল ফেদা বলেন, হজরত নূহ (আ.)এর তুফান এবং হজরত ইবরাহিম (আ.)এর জন্মের মধ্যে ব্যবধান এক হাজার একাশি বছর এবং তাবারীর মতে, এক হাজার ঊননব্বই বছর এবং আহলে কিতাবদের ধারণা অনুযায়ী তুফান ও ইবরাহিম (আ.)এর জন্মের মধ্যে ব্যবধান এক হাজার দুইশ তেষট্টি বছর।
ঐতিহাসিকদের বর্ণনা অনুযায়ী, হজরত ইবরাহিম (আ.)এর বয়স হয়েছিল দুইশ বছর। কারো কারো মতে একশ পঁচাত্তর বছর। তারা আরো লিখেছেন যে, তিনি হজরত নূহ (আ.) হতে দুই হাজার দুইশ বিয়াল্লিশ বছর পর জন্ম গ্রহণ করেন। এ হিসেবে তার আবির্ভাবের যুগ হজরত হুদ (আ.) ও হজরত সালেহ (আ.) এর পর আসে এবং তার পরে যত রসুল ও নবী দুনিয়াতে আগমন করেন তারা সবাই ছিলেন তারই বংশধর। তাই তিনি আম্বিয়ায়ে কেরামের ইতিহাসে আবুল আম্বিয়া অর্থাৎ নবীগণের পিতা নামে খ্যাত। আবুল আম্বিয়া হজরত ইবরাহিম (আ.)এর প্রতি অবতীর্ণ সহিফাগুলোর সংখ্যা কুড়িটি বলে বর্ণিত হয়ে থাকে। তাছাড়া কতিপয় সংস্কার বা নব উদ্ভাবিত বিষয়ও তারই নামে প্রসিদ্ধ। যেমন খতনা, ইস্তিঞ্জা, মিসওয়াক পানি দ্বারা নাক ছাফ করা, মোসাফাহা (করমর্দন) এবং মোআনাকা (গলা মিলানো) তারই আবিষ্কার। হজরত ইবরাহিম (আ.) প্রথম ব্যক্তি যিনি, ৯৯ বছর বয়সে নিজের খতনা নিজেই করেছেন। সর্বপ্রথম তিনিই পাজামা বানান এবং আল্লাহর নির্দেশে সর্বপ্রথম নিজের জন্মভূমি হতে হিজরত করে সিরিয়ায় চলে যান। ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী, দুনিয়ায় মেহমানদারী বা আতিথ্য প্রথা সর্বপ্রথম তিনিই প্রবর্তন করেন।
মূর্তি নির্মাতা বিক্রেতা ও মূর্তিগৃহের দারোগার গৃহে জন্ম গ্রহণকারী আবুল আম্বিয়া, হজরত ইবরাহিম (আ.) মূর্তিপূজা নয়, মূর্তি বিক্রির সাথে কীভাবে জড়িত ছিলেন, ঐতিহাসিকগণ তার এক চমৎকার ঘটনা উল্লেখ করেছেন। তিনি যখন সত্যের বাণী আল্লাহর তাওহীদের কথা উচ্চারণ করেন, তখন সর্বপ্রথম তার পিতা আজরের কানে সে বাণী পৌঁছান। আগেই বলা হয়েছে, তিনি ছিলেন মূর্তিনির্মাতা, বিক্রেতা ও মূর্তিগৃহের দারোগা। সেকালে মূর্তিগৃহ বা মন্দিরের দারোগা কিংবা পূজারীর সঙ্গে বাদশাহর মর্যাদায় তারতম্য ছিল না, বরং এক দিক থেকে পূজাগৃহের পরিচালকের মর্যাদা-সম্মান ছিল এক ধাপ উঁচু। কেননা সে পূজাগৃহে বাদশাহও গিয়ে সেজদারত হতো। পিতা পূজাগৃহের দারোগা হিসেবে তার আলাদা সম্মান, কিন্তু পুত্র যে শুরু থেকে মূর্তির নিন্দা-সমালোচনায় মুখর। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, বাল্যকালে পিতা মূর্তি বানিয়ে বিক্রি করার জন্য প্রদান করতো; পুত্র বিনা বাক্যে তা বাজারে নিয়ে যেতেন এবং চমৎকার করে বলতেন, মান ইয়াশতারি মা লা ইয়াদুররুহু ওয়া ইয়রন ফাউহু। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি এমন বস্তু ক্রয় করবে যাতে কোনো লাভও নেই ক্ষতিও নেই। লোকেরা একথা শুনে তার কাছেও আসত না এবং তার কাছ থেকে মূর্তিও কিনত না। সন্ধ্যে বেলায় তিনি মূর্তিগুলো নদীর দিকে নিয়ে যেতেন এবং সেগুলোর ঘাড় ধরে এবং পানিতে ডুবিয়ে দিতেন এবং পরিহাসের সাথে বলতেন পান কর, পান কর।
ক্রমে এসব কথা লোকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ইবরাহিম (আ.) বাল্যকালে মূর্তিনির্মাতা উপাসক পিতার কাছে অবস্থানকালে মূর্তি নিয়ে এভাবেই খেলা করতেন, উপহাস করতেন। মূর্তিপূজারীরা এতে দারুণভাবে জ্বলতো, ক্ষেপে উঠতো, কিন্তু মূর্তি ধ্বংসকারী ইবরাহিম তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হতেন না এবং অত্যন্ত আদব ও যথাসম্মানের সাথে পিতা আজরকেও মূর্তিপূজা ত্যাগ করার উপদেশ দিতেন। কোরআনের নানাস্থানে সে বিবরণ রয়েছে। উল্লেখিত দীর্ঘ বিবরণের সার কথা হচ্ছে, আম্বিয়ায়ে কেরামের এ ধারাবাহিক বিবরণ এবং হজরত ইবরাহিম (আ.)এর উঁচু আলীশান মর্যাদা এবং নবী হিসেবে উক্ত কারণে তিনি নবীদের পিতা এবং নবী হিসেবে শ্রেষ্ঠ।
কোরআনের নানাস্থানে হজরত ইবরাহিম (আ.) সম্পর্কে বর্ণিত আয়াত ও ঘটনাবলীকে ধারবাহিকভাবে সাজালে তার পূর্ণাঙ্গ বিরাট জীবন বৃত্তান্ত প্রস্তুত হবে। তার জীবনের সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত নির্ভুল জীবন কাহিনী পাওয়া যাবে। তার জন্ম কাহিনী, চাঁদ-সূর্যের উদয়াস্ত দেখে শৈশবেই তার প্রতিক্রিয়া, মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে প্রথমেই তার পিতা আজরকে সম্মানের সাথে বুঝানো, কাফেরদের ঈদমেলায় অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃত এবং তাদের মন্দিরে গিয়ে বড় মূর্তিটির গলায় কুড়াল ঝুলিয়ে রেখে মূর্তিগুলোকে ভেঙ্গে ফেলা, নমরুদের সাথে বাহাস, নমরুদ কর্তৃক অগ্নিকুন্ড নির্মাণ ও সেখানে ইবরাহিম (আ.)কে নিক্ষেপ করা এবং অগ্নিকুন্ড বাগানে পরিণত হওয়া এবং সেখান হতে তার নিরাপদে বের হয়ে আসা ইত্যাদি ঘটনার কথা কোরআন হতে জানা যায়। এতদ্ব্যতীত পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)এর জন্ম, মরু আরবে স্ত্রী, পুত্রকে রেখে যাওয়া, জমজম কূপের উৎপত্তি এবং পরবর্তীকালে পুত্র ইসমাইল (আ.)কে স্বপ্নযোগে কোরবানি করতে আদিষ্ট হওয়া এবং খানা-ই কাবা নির্মাণ ও হজ্ব ইত্যাদি সহ আরো নিদর্শন আজও হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তার পুত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। বিশেষত হজরত ইবরাহিম (আ.) এসব বিস্ময়কর ঘটনার জন্য কেয়ামত পর্যন্ত স্মরণীয় বরণীয় হয়ে থাকবেন।
হজরত ইবরাহিম (আ.)এর প্রতি আল্লাহতাআলা বিশটি সহিফা নাজিল করেছিলেন। এগুলোর মাধ্যমে তিনি যে শরীয়ত প্রাপ্ত হয়েছিলেন তারই পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ এবং বিস্তারিত রূপ, যা ইবরাহীম (আ.)এর হানিফের বাস্তব রূপ- মিল্লাতে ইবরাহিম (আ.) যার উৎস। মুসলমান নামকরণ ও হজরত ইবরাহিম (আ.) অথবা খোদ আল্লাহতাআলা যেমন সূরা হজ্জে তাকে মুসলমানদের পিতা আখ্যায়িত করে বলেন, তিনি দীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো কঠোরতা আরোপ করেননি। এটা তোমাদের পিতা ইবরাহিমের মিল্লাত। তিনি পূর্বে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম। (আয়াত-৭৮)
আয়াতে দুইটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য: তোমাদের পিতা ও মুসলিমীন। আল্লাহর ঘোষণা তোমাদের পিতা ইবরাহিমের মিল্লাত এবং আল্লাহ বা ইবরাহিমই তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।
আয়াতে হুয়া সব নাম অর্থাৎ ‘তিনি’ ব্যবহৃত হয়েছে। তিনি দ্বারা যদি আল্লাহকে বুঝানো হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ-ই মুসলমান নামকরণ করেছেন। আর যদি সর্বনাম হুয়া বলতে ইবরাহিম (আ.)কে বুঝানো হয়ে থাকে তাহলে এটাই স্বীকৃত যে, ইবরাহিম (আ.) মুসলিম ছিলেন বলেই তার মিল্লাত মুসলিম মিল্লাত নামে পরিচিতি লাভ করে।
এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.)এর একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। কোনো সাহাবী হুজুর (সা.) এর নিকট কোরবানি কী জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে তিনি বলেন, সুন্নাতু আবিকুম ইবরাহিম। অর্থাৎ কোরবানি তোমাদের পিতা ইবরাহিমের সুন্নাত। হুজুর (সা.) নিজেই ঘোষণা করেছেন, হজরত ইবরাহিম (আ.) শুধু নবী রসুলগণের পিতা নন, তিনি সকল মোমেন মুসলমানেরও পিতা। অপর দিকে ইবরাহিম (আ.)ও হুজুর (সা.)কে পুত্র বলে সম্বোধন করেছেন। ঘটনাটি ছিল এই যে, মেরাজ রজনীতে যখন রাসুলুল্লাহ (সা.)এর আসমানী সফর আরম্ভ হয় তখন প্রত্যেক আসমানে অবস্থানরত প্রত্যেক নবীর সাথে হজরত জিবরাইল (আ.) তার পরিচয় করিয়ে দেন এবং তারা প্রত্যেকে তাকে ভাই হিসেবে স্বাগত জানান। কিন্তু যখন ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) সপ্তম আসমানে হজরত ইবরাহিম (আ.) এর নিকট নিয়ে তার পরিচয় করিয়ে দেন পিতা হিসেবে। সালামের জবাবে ইবরাহিম (আ.) তাকে স্বাগত জানান পুত্র সম্বোধন করে। তিনি বলেন, মারহাবা বিল ইবনিছ ছালেহ। অথবা বিল ওয়ালাদিছ ছালেহ। তখন তিনি বায়তুল মামুরে নিজের কোমর লাগিয়ে উপবিষ্ট ছিলেন বলে বর্ণনা রয়েছে।
আল্লাহতাআলা সূরা আলে ইমরানে ঘোষণা করেন, ইবরাহিম ইহুদী ও ছিল না, খৃষ্টানও ছিল না, সে ছিল একনিষ্ট আত্মসমর্পণকারী মুসলিম এবং সে মোশরেকও ছিল না। (আয়াত-৬০)
মুসলমান নামধারী কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নবী-রসুলকে অস্বীকার করে কিংবা অমুসলিম বলে আখ্যায়িত করে অথবা অবমাননা করে, কটুক্তি করে বা যেকোনো প্রকারের মানহানিকর উক্তি বা গালাগাল করে- এরূপ ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের জন্য সে ঈমান নবায়ন ব্যতীত আর মুসলমান থাকে না, মোরতাদ হয়ে যায়। এরূপ মোরতাদ ইসলামী শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আল্লাহ এরূপ অপরাধীদের হেদায়েত প্রাপ্তির তাওফিক দান করুন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন