পোস্টকার্ড সংকট
বাংলাদেশের ডাক বিভাগের তথা সরকারের অন্যতম একটি আয়ের উৎস পোস্টকার্ড। অনেকেই মনে করেন,পোস্টকার্ডের ব্যবহার আগের তুলনায় কমে গেছে। কিন্তু আমি মনে করি, পোস্টকার্ডের ব্যবহার বেড়েছে। এখনো হাজার হাজার মানুষ পোস্টকার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতারে চিঠি পাঠায়। এখনো বাংলাদেশ বেতারের কেন্দ্রগুলোতে দেখা যায়, পোস্টকার্ডের প্রচুর ব্যবহার হচ্ছে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, সারা দেশের ডাকঘরগুলোতে পোস্টকার্ডের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। অনেকেই পোস্টকার্ড না পেয়ে হাতে তৈরি পোস্টকার্ডে চিঠি লিখছে। অনেকে চিঠি লিখতেই পারছে না। ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা পোস্টকার্ড সরবরাহের ঘাটতি দেখিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যান। ফলে সারা দেশে পোস্টকার্ডের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ বেতারের হাজার হাজার পত্রলেখক পোস্টকার্ডের সংকটে ভুগছে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের কাছে আবেদন, পর্যাপ্ত পরিমাণ পোস্টকার্ডের সরবরাহ বৃদ্ধি করে সারা দেশে পোস্টকার্ডের সংকট নিরসন করুন।
মো. আবু তাহের মিয়া
পীরগঞ্জ, রংপুর।
পরিবেশ বিপর্যয়
ব্রিটেনে শিল্পবিপ্লবের সময় যে ধরনের সমস্যা হয়েছিল, এখন আমরা সে রকম সমস্যায় পড়েছি। ভূগর্ভস্থ পানিদূষণ, বায়ুতে ভারী মৌলের সংখ্যা বৃদ্ধি, বায়ুর পার্টিকেলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাসের আধিক্যসহ সামগ্রিকভাবে বায়ুদূষণ ও সর্বোপরি পরিবেশের বিরূপ অবস্থা আমাদের অসহনীয় অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
শিল্পকারখানা স্থাপনে সঠিক নীতিমালা করা প্রয়োজন। ভূগর্ভস্থ পানি যেভাবে তোলা হচ্ছে তা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এ জন্য একবার ব্যবহৃত পানি বারবার ব্যবহারের প্রযুক্তি চালু করতে হবে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বেশি শব্দ উৎপন্ন হয় এমন জায়গাগুলোতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যানোপি ও সাইলেন্সার ব্যবহার করতে হবে। শহরে ধুলিদূষণ রোধে রাস্তার দুই পাশে ও মাঝে ঘাসযুক্ত রাস্তা তৈরি করতে হবে। একটি দেশের প্রকৃতিই তার সবচেয়ে বড় সম্পদ। প্রকৃতিকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই আমাদের ভাবনাগুলো আধুনিকায়ন করতে হবে। দরকার সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্যোগ। আশা করি, আমরা সবুজ বাংলাদেশ পাব ।
সাঈদ চৌধুরী, গাজীপুর।
রেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত
আমাদের দেশে রেলের লোকসান নিয়ে প্রায়ই হইচই পড়ে যায়। রেলের লোকসানের মূল কারণ হলো সরকারি নীতিনির্ধারক মহলের উদাসীনতা আর কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নিম্নস্তরের কর্মচারীদের দুর্নীতি।
কিছুদিন আগে নোয়াখালী কমিউটার ডেমু ট্রেনে উঠে দেখলাম, বেশির ভাগ যাত্রীই বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়েছে। টিকিট দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত টিটিই সব যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে নিলেন।
তার মধ্যে আবার চৌদ্দ আনা যাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে টিকিটও দেওয়া হলো না। সেই সঙ্গে দেখলাম, লাকসাম রেলস্টেশনে ট্রেনটি ২টা ১০ মিনিটে পৌঁছে ৩টার সময় নোয়াখালীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
মধ্যবর্তী পুরো ৫০ মিনিটই ইঞ্জিন অহেতুক চালু অবস্থায় ছিল। এহেন দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার পরিপ্রেক্ষিতে রেলে লোকসান হওয়ার গ্যারান্টি শতভাগ।
তাই রেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এহেন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সোলায়মান চৌধুরী
ল²ীপুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন