শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমানতে শুল্ক

আমরা যাঁরা ব্যাংকের শাখা পর্যায়ে কাজ করি, তারা জানি, সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক আমানতের ওপর বর্ধিত করের ফলে কী পরিমাণ আর্থিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের আমানতকারী বা গ্রাহকেরা ব্যাংক বিমুখ হয়ে যাবেন। নন–ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন সাধারণ মানুষ। দৌরাত্ম্য বেড়ে যাবে মাল্টিপারপাস, সমবায় সমিতি, এনজিও ও অনিবন্ধিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। তারা জনগণের টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাবে।
ব্যাংকে তারল্যসংকট তৈরি হবে, ব্যবসায়ী শ্রেণি ঋণ পাবে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা ব্যবসায়িক ঝুঁকিতে পড়বেন। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের উন্নতি ও প্রগতি। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এটা বুঝতে পারছি।
বাজেট পেশ হয়েছে, যা পাস হতে এখনো এক মাস লাগবে। আশা করি, এর মধ্যে সরকারের বোধোদয় হবে, তারা এটা প্রত্যাহার করে নেবে। আর সরকার যদি বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার নাও করে, তাহলে অন্তত কয়েক ধাপে এটা আরোপ করা যেতে পারে।
মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম।

 

মাসিক পেনশনে অনিয়ম
আমিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দিনাজপুর অঞ্চলের পেনশনভুক্ত কয়েকজন কর্মচারীকে গত মার্চ থেকে পেনশন দেওয়া হচ্ছে না। নানা কথা বলে কর্মকর্তারা আমাদের হয়রানির মধ্যে রাখছেন। জীবনের শেষ বেলায় অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় আমরা দিন অতিবাহিত করছি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মনে কোনো সহানুভূতির উদয় হয় না। পবিত্র রমজান মাস চলছে, বাজারে জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য। এ অবস্থায় পেনশনের টাকা পাওয়াটা খুব জরুরি। আশা করি, কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতি সদয় আচরণ করবে।
এ এস এম আবদুস সালাম
দিনাজপুর।


শিক্ষক সংকট
জয়পুরহাট জেলার অন্তর্গত পাঁচবিবি এল বি পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও এন এম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় দুটিতে শিক্ষার্থী প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন। বিদ্যালয় দুটিতে সহকারী শিক্ষকের অধিকাংশ পদ খালি থাকায় নিয়মিত ক্লাস হয় না বললেই চলে। এর ফলে ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, অবিলম্বে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করে পাঁচবিবির সরকারি বিদ্যালয় দুটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা হোক।
মুশফিকুর রহমান, তৌফিক আহমদ, রিফা রুবাইয়াত
পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।

 

হলে পানির সমস্যা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য আলাদা আলাদা আবাসিক হলের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু হলগুলোতে পানির দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। হলে পর্যাপ্ত নলকূপ না থাকায় প্রতিদিন পানির জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। মাঝে মাঝে নলকূপ দিয়ে অপরিষ্কার পানি আসে যা খেয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কিছু কিছু হলের বøকে মাঝে মাঝে কোনো পানি থাকে না। তখন চরম পোহাতে হয়। দুই-তিন দিন পর পানির অবস্থা ঠিক হয়। তাই পানির উন্নতি ঘটানোর জন্য পর্যাপ্ত নলকূপ স্থাপন করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি।
নুরজাহান স্মৃতি,শিক্ষার্থী, কৃষি অনুষদ,
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন