ঘরে ঘরে চিকুনগুনিয়া
পরিবারের সবার জ্বর, ১০-১২ দিন হয়ে যাচ্ছে, তবু ভালো হচ্ছে না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করানো হচ্ছে। পরিচিত অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, অনেক পরিবারেরই একই অবস্থা। অবশ্য সবার যে চিকুনগুনিয়া, তা কিন্তু নয়। তবে জ্বর নামক ভাইরাসে সবাই বেকায়দায় পড়েছেন। চিকুনগুনিয়া হলে সাধারণত ১০০ ডিগ্রির ওপরে জ্বর থাকবে, থাকবে প্রচÐ শরীর ব্যথা।
বলা হলো, এটা জীবনঘাতী নয়। কিন্তু কুমিল্লার লাকসামের সাংবাদিক সামছুল করিমের চিকুনগুনিয়া মারাত্মক আকার ধারণ করলে তা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। ফলে তাঁর মৃত্যু হয়। মশা মারতে এখন কামান দাগাতেই হবে বলে মনে হচ্ছে। পরিস্থিতি যে পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, তাতে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না। সময় থাকতেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোলায়মান মোহাম্মদ
গাজীপুর।
গৌরীপুরে পার্ক
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়ন অত্যন্ত ব্যবসা ও জনবহুল একটি জায়গা। ছোট এই ইউনিয়নের জনসংখ্যা বিস্মিত হওয়ার মতো। এখানকার জনসংখ্যা অনেক বেশি। এখানে যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক, তেমনি আবাসিক ভবনও অনেক। অথচ এত জনবহুল একটি এলাকায় বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। শিশুদের বিনোদনের জন্য নেই শিশুপার্ক।
এসব ব্যাপারে কারও উদ্যোগ দেখা যায় না। গৌরীপুরে বিনোদনের জন্য একটি শিশুপার্ক কিংবা বিনোদন পার্ক অত্যন্ত জরুরি। এতে শিশুরা যেমন আনন্দ পাবে, তেমনি তাদের মানসিকতারও বিকাশ ঘটবে। এমন একটি জনবহুল এলাকায় শিশুপার্ক না থাকাটা কাজের কথা নয়।
লিমন হাসান
কুমিল্লা।
খাদ্যে ভেজাল
খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে অন্যতম, খাদ্য ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। কিন্তু পচা, বাসি, ভেজাল বা বিষাক্ত দ্রব্য মানুষের খাদ্য হতে পারে না।
এটা মানবদেহের জন্য বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় শিশুদের। কারণ, তাদের পক্ষে ক্ষতিকর উপাদানের প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ করার ক্ষমতা খুবই কম।
অনেক সময় এই ধরনের দূষিত খাবার মানব দেহে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে, যা মানুষের মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
অথচ দিন দিন আমাদের দেশে খাদ্যে ভেজালের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। বর্তমানে খাদ্যে ভেজাল এমন পর্যায়ে রয়েছে যে দেশের বাজারে ভেজালমুক্ত খাদ্য পাওয়াই কঠিন।
এ ছাড়া এমন জটিল ও সূ² প্রক্রিয়ায় খাদ্যে ভেজাল দেওয়া হয়, যা সাধারণ ক্রেতা বা খুচরা ব্যবসায়ীদের পক্ষে অনুমান বা শনাক্ত করাও খুব কঠিন।
সুতরাং যে কোনো উপায়ে দেশের সর্বত্র ভেজালমুক্ত খাদ্যদ্রব্য নিশ্চিত করতে হবে। মাঝে-মধ্যে সারা দেশেই প্রশাসন ভেজাল বিরোধী অভিযান চালানো হয়।
কিন্তু ভেজাল শনাক্তকারী সঠিক যন্ত্রপাতি ও জনবলের অভাবে এই সকল অভিযানের সুফল তেমন পাওয়া যায় না। এ ছাড়া ভেজালবিরোধী অভিযানগুলো পরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করা হয় না। ফলে অনেক সময়ই বাজারে অযথা অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, এই ভেজালের জন্য বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের চেয়ে উৎপাদনকারী,সরবরাহকারী ও পাইকারি বিক্রেতারাই বেশি দায়ী।
মানুষের অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য নিয়ে অনিয়ম মেনে নেওয়া যায় না। খাদ্যে ভেজাল অমানবিক ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এর বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নিতে হবে। ভেজাল বিরোধী অভিযান যেন ব্যবসায়ীদের মধ্যে অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে না পারে, সে দিকে খেয়াল রেখেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিপ্লব
ফরিদপুর।
শিক্ষকের বঞ্চনা
প্রাথমিক শিক্ষকেরা যথারীতি জুন মাসের বেতন পেলেও ব্যতিক্রম হলো ঢাকা শহরের প্রাথমিক শিক্ষকেরা। জুনের ২০ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত ঢাকার প্রাথমিক শিক্ষকেরা হন্যে হয়ে ব্যাংক ও থানা শিক্ষা অফিসে বেতনের আশায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। অবশেষে বেতন না পেয়ে অনেকেই বাড়িযাত্রা বাতিল করেন।
বেতন পাইনিÍএ মহা সত্য কাউকে জানাতে গেলে নিজেদের মিথ্যাবাদী মনে হয়। সারা দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন পেলেও বঞ্চিত হয়েছেন ঢাকা শহরের প্রাথমিক শিক্ষকেরা। বিষয়টি অনেকটা প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতো। এতে আমাদের পরিবারের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। আমাদের সন্তানেরা এবার ঈদ উদ্যাপন করতে পারেনি। তারা এবার ঈদ পালন করেছে। কথা হচ্ছে, শিক্ষকদের এভাবে বঞ্চিত করে কী লাভ। তাঁরা অভাবে ও নিরানন্দে থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে। এ কথা নিশ্চয়ই সরকার বোঝে। কিন্তু তারপরও কেন শিক্ষকদের সঙ্গে এই আচরণ করা হচ্ছে।
মো. সিদ্দিকুর রহমান
ঢাকা।
বালাসী সেতুর গুরুত্ব
উত্তরাঞ্চল দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। এখানকার চাল, আম, লিচুসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পণ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। অথচ উত্তরাঞ্চল সব সময় উপেক্ষিত।
ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে প্রচÐ যানজট থাকে, বিশেষ করে উৎসবের দিনগুলোতে যানবাহনে উঠলে কখন গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে, তা কেউ জানে না। তাই এর থেকে পরিত্রাণ আর উন্নয়নের জন্য বালাসী সেতু নির্মাণ কার্যকর হতে পারে।
এর ফলে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে ময়মনসিংহ বিভাগের সংযোগ হবে, উন্নয়ন ত্বরান্বিত এবং বিকল্প যোগাযোগব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। মহাসড়কগুলোর ওপর চাপ কমবে। সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে।
সিদ্দিকা তরু
গাইবান্ধা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন