যৌথ প্রযোজনার ছবি প্রসঙ্গে
যৌথ প্রযোজনার নামে চলছে যৌথ প্রতারণা। আমাদের সিনেমা হল এবং আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে দখল করার উদ্দেশ্যেই এরকম কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা অবশ্য জানি, কলোনি কিভাবে গড়ে এবং কেন গড়ে উঠে। কলোনি গড়ে উঠে মূলত পুঁজিবাদীদের পণ্য বিক্রয়ের জন্য। তাদের নিজের দেশে পণ্য উদ্বৃত্ত হলে তারা অবশ্যই চাইবে অন্যদেশে রপ্তানি করতে, সাশ্রয়ী মূল্যে শ্রমিক খাটিয়ে বেশী মুনাফা লাভ করতে এবং তাদের কলোনি প্রতিষ্ঠিত করতে।
যদি ছবির গল্পের দিকে তাকাই তাহলে আহামরি কোন ভিন্নতা নেই। গতানুগতিক কাহিনী এবং যৌথ প্রযোজনার বেশিরভাগ ছবির প্লট হুবহু দেশী বিদেশী ছবি নকল করা। ভিন্নতা শুধু তকমা লাগানো কিছু গান, যেখানে বাংলাদেশী শিল্পীদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। হচ্ছে না বাংলাদেশী অভিনয় শিল্পীদের সুযোগ। একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে ভারতীয় অভিনেতা, অভিনেত্রী থেকে শুরু কণ্ঠশিল্পীসহ চলচ্চিত্র কারুকার্যের সবকিছু। ছবির প্লটে বাংলাদেশের স্থান, পরিবেশ, সংস্কৃতি কোনটাই ফুটে উঠছে না।
যখন ছবির গতানুগতিক কাহিনী, প্লট, স্ক্রিপ্ট লেখা থেকে আমরা বেরিয়ে আসছি ঠিক সেই সময়টাতে তুলকালামভাবে যৌথ প্রযোজনার ছবি আমাদের দেশের চলচ্চিত্র জগতে যমদূতের মতো ঘাড়ে চেপে বসছে। সেখানে নাটক থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের সেখানে যৌথ প্রযোজনার আদৌ কি প্রয়োজন? হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ ছবি আমরা দেখতে পেয়েছি। আর এখন বেশ ভালো মানের ছবি তৈরি হয়েছে। আমরা আমাদের গতানুগতিক চিন্তাধারা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে আসছি। স¤প্রতি সিনেমা হল কাঁপানো আয়ানাবাজি ছবি এরও আগে মনপুরা, জালালের গল্প, অজ্ঞাতনামা ছবির মতো আরো ভালো মানের ছবি তৈরি হয়েছে। যেহেতু সাহিত্যর দিক দিয়ে আমরা কিছুটা পিছিয়ে গতানুগতিক ছবির প্লট বাদ দিয়ে, ছবির পরিচালনায়, স্ক্রিপ্টে, ডায়লগে নতুনত্ব আনতে কিছুটা সময় লাগবে। নতুন যে কিছু হচ্ছে না সেটিও বলা দুষ্কর। নতুন, ভালো মানের বেশ কিছু ছবি হচ্ছে। বছরে কয়েকটি ভালো মানের ছবি থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায় আমাদের চলচ্চিত্র ভালো একটা অবস্থানের দিকে ধাবমান হচ্ছে।
যখন আমাদের চলচ্চিত্র সামনের দিকে ধাবিত হচ্ছে তখনি যৌথ প্রযোজনার ছবি আমাদের টেনে ধরে রাখছে, থামিয়ে দিচ্ছে, দমিয়ে দিচ্ছে, বিঘিœত করছে। পুঁজিবাদের সূত্র আমাদের বলে, পুঁজিবাদীরা সর্বক্ষণই তাদের কলোনি স্থাপনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। ভারতীয় সিনেমা জগতে এতো রমরমা পরিবেশ, ব্যবসা থাকতে কেনই বা তাদের যৌথ প্রযোজনায় ছবি করতে হবে? এর তো অবশ্যই কারণ রয়েছে। আর তার বড় কারণ হচ্ছে, আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের বাজার ধরা। তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করা। তাদের ব্যবসা রমরমা করতেই যৌথ প্রযোজনার কৌশল অবলম্বন, এর বাইরে কিছু না।
মাকসুদ আলম মিলন, শিক্ষার্থী, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ।
বিদ্রু্যুৎ স্পৃষ্টে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে
প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিদ্যুতের গুরুত্ব অপরিসীম। বিদ্যুৎবিহীন উন্নয়ন কল্পনাই করা যায় না। একটি দেশের উন্নয়নে বিদ্যুতের ভ‚মিকা অত্যন্ত বেশি। বিদ্যুৎতের কারণে বিশ্বের সব কিছুই এখন মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বিদ্যুৎ মানুষের উপকারে আসলেও এর অপকারিতাও রয়েছে। বিদ্যুৎ প্রাণ নাশের বড় কারণও বটে। প্রতিনিয়তই বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এমনকি বিদ্যুৎতের কারণে বিভিন্ন জায়গা অগ্নিকান্ডের মত বড় দূর্ঘটনা ঘটছে। যার কারণে দেশের জান এবং মালের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট দুর্ঘটনার বড় কারণ। এজন্য বিদ্যুতের সরঞ্জামাদির গুনগত মানের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এছাড়াও বিদ্যুতের দূর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনা এবং গ্রামগঞ্জে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে।
লেখক, মো: আজিনুর রহমান লিমন, গ্রাম: আছানধনী মিয়া পাড়া, ডাক: চাপানী হাট, উপ: ডিমলা, জেলা: নীলফামারী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন