শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

মেধাবী শিশু কারা এবং কীভাবে তাদের শিক্ষা দিতে হবে

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন
বুদ্ধিদীপ্ত এবং মেধাবী শিশু কারা এ ব্যাপারে বিতর্ক রয়েছে। স্ট্যাম্ভকোর্ড স্কেল অনুসারে যে সকল শিশুর বুদ্ধ্যঙ্ক ১৪০ বা তার ঊর্ধ্বে তাদের মেধাবী শিশু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কোনো, কোনো মনোবিজ্ঞানীর মতে, ১৩০ বা তর্দুদ্ধ বুদ্ধ্যঙ্ক সম্পন্ন শিশুরাই মেধাবী শিশু। তারাই মেধাবী শিশু যাদের কার্যাবলী যে কোন প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য এবং সঙ্গতিপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা অফিস (১৯৭৮) এর বর্ণনা অনুসারে একক বা যৌথভাবে নি¤েœর যে কোনো ক্ষমতা বা প্রবণতাসমূহের কারণেই শিশুদের উচ্চ কৃতিত্ব অর্জন সম্ভব হয়। যেমন: সাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক মাত্রা, বিশেষ শিক্ষা প্রবণতা, সৃজনশীল চিন্তন, নেতৃত্বদানের দক্ষতা, দর্শন ও শিল্পকলার প্রতি প্রবণতা, বিভিন্ন মনোপেশীয় ক্ষমতা।
মেধাবী শিশুদের বৈশিষ্ট্য: যদিও প্রত্যেক মেধাবী শিশু একই ধরনের বৈশিষ্ট্যের অধিকারী নয়, তবুও কতগুলি সাধারণ বৈশিষ্ট্য তাদের মধ্যে লক্ষ করা যায়। শ্রেণিকক্ষে বা সাধারণ জীবনে যেসব বৈশিষ্ট্য আমরা লক্ষ করি সে গুলি হলো-
শারীরিক বৈশিষ্ট্য: ১। মেধাবী শিশুদের ছোটবেলায় দৈহিক বিকাশ খুব তাড়াতাড়ি হয় এবং এদের দেহের গড়ন খুব ভালো থাকে।
২। স্বাভাবিক শিশুদের চেয়ে এদের ওজন ও শক্তি বেশি থাকে এবং লম্বা বেশি হয়ে থাকে। এদের উচ্চতা এবং ওজনের মধ্যে সর্ম্পক দেখা যায়।
৩। এরা খুব কম বয়সে হাঁটতে শেখে এবং তাদের ভাষার বিকাশ ও খুব দ্রæত হয়।
৪। এদের বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের বিকাশ খুব ভালো এবং দ্রæত হয়।
৫। এদের কৈশোর কালের লক্ষণ খুব অল্প বয়সে প্রকাশ পেতে পারে।
মানসিক বৈশিষ্ট্য: ৬। স্বাভাবিক শিশুর চেয়ে এরা মানসিক দিক দিয়ে উন্নত হয়ে থাকে।
৭। নতুনত্বের প্রতি এদের প্রবল কৌতূহল থাকে এবং এদের আগ্রহ বস্তুর অংশ বিশেষের প্রতি না হয়ে সামিগ্রিক দিকের উপর হয়ে থাকে।
৮। এদের অনুরাগের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত হয় এবং ধারণা বিকাশ দ্রæত হয়।
৯। সকল বিষয়ে এদের বোধগম্যতা তাড়াতাড়ি আসে এবং যে কোন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এদের নিজস্বতা বিশেষভাবে লক্ষ করা যায়।
১০। এদের মনোযোগের পরিসর বিস্তৃত হয় অথার্ৎ এরা একই সাথে অনেকগুলো বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারে এবং এদের মনোযোগের স্থায়িত্বও বেশি হয়।
১১। এদের মধ্যে বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ, স্মৃতি, যুক্তি ও দ্রæত কল্পনা করার শক্তি, অন্তর্দৃষ্টি, তীক্ষè ও রীতিবদ্ধ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, ব্যাপক শব্দ ভান্ডার ও একাগ্রতা, বিমূর্ত বিষয় অনুধাবনের ক্ষমতা এবং সঙ্গীত, গণিত, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে পারদর্শিতা দেখা যায়।
শিক্ষাগত বৈশিষ্ট্য: ১২। এরা খুব দ্রæত পাড়তে ও গণনা করতে শেখে এবং খুব সহজে অনুকরণের দ্বারা লিখতেও শেখে।
১৩। বিদ্যালয়ে এদের উপস্থিতি নিয়মিত হয় থাকে এবং বাড়ির কাজ এরা নিয়মিতভাবে করে থাকে।
১৪। পাঠ্য বিষয়ের বাইরে অন্যান্য বিষয়, খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন প্রভৃতি বিষয়ের প্রতিও এদের আগ্রহ থাকে।
১৫। অধ্যয়নের ক্ষেত্রে এরা বেশ সুশৃংখল ও নিয়মতান্ত্রিক হয়ে থাকে এবং এদের কার্যকলাপ উচ্চমান সম্পন্ন।
১৬। এদের মাঝে স্বাধীন চিন্তা, ধৈর্য, সৃজনশীলতা, আত্মবিশ্বাস, দ্রæতসিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং প্ররোচনামূলক ব্যক্তিত্ব দেখা যায়।
১৭। স্বাভাবিক শ্রেণিকক্ষের পাঠ্য বিষয় এদের মানসিক ক্ষমতার চেয়ে সহজ হওয়ার কারণে এদের মাঝে এক ঘেঁয়েমি দেখা যায়।
১৮। এদের রসবোধ খুব বেশি থাকে এবং খুব সূক্ষèভাবে এরা এদের এই রসবোধকে প্রকাশ করতে পারে।
১৯। এদের উপযোজনের দক্ষতা উঁচু মানের হয়ে থাকে এবং সারাজীবন ধরে এরা উন্নত মান বজায় রাখে।
সামাজিক বৈশিষ্ট্য: ২০। মানসিক দক্ষতার পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে এরা সাধারণত এদের চেয়ে বেশি বয়সী ছেলে মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করতে ও খেলতে পছন্দ করে।
২১। এরা সাধারণত বিনয়ী, বাধ্য, সৎ হয়ে থাকে এবং এদের নেতৃত্বদানের বিশেষ দক্ষতা থাকে।
২২। এরা সাধারণত: তুলনামূলকভাবে কম সামাজিক হয়ে থাকে।
২৩। এরা অন্যদের সম্মান দিতে জানে এবং সমাজের রীতিনীতির প্রতি অনুগত থাকে।
আবেগীয় বৈশিষ্ট্য: ২৪। আবেগীয় দিক দিয়ে এরা অনেক সংযত থাকে এবং আবেগীয় জীবন নিয়ন্ত্রীত হওয়ার পর এদের সব রকম আচরণই বিচার বিচেনায় দ্বারা পরিচালিত হয়।
২৫। এরা সাধারণত: উৎফুল্ল প্রকৃতির হয়ে থাকে এবং যে কোন সমস্যা বা অসুবিধাকে স্বাধীনভাবে মোকাবেলা করতে পছন্দ করে।
চাহিদা: সাধারণত মেধাবী শিশুদের বিশেষ কতকগুলো চাহিদা থাকে। এই চাহিদাগুলো যথাসম্ভব পরিতৃপ্ত করতে না পারলে এদের মধ্যে নানা রকম আচরণমূলক সমস্যা দেখা দেয়। সে কারণে শিক্ষক এবং বাবা-মা সকলেই এ বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকা দরকার। সাধারণত যেসব বৈশিষ্ট্যমূলক চাহিদা এসব শিশুর মধ্যে দেয়া যায়। সেগুলি হলো:
উন্নত বুদ্ধি সম্পন্ন শিশুরা নিজেদের মতামতের প্রতি বিশেষভাবে অনুভূতি প্রবণ হয়। বাবা, মা, শিক্ষক, বন্ধু-বান্ধব সকলে তাদের প্রশংসা করুক এবং তার মতামতের যথাযোগ্য মর্যাদা দিক এটা তারা সব সময় প্রত্যাশা করে। যদি তাদের এই চাহিদা পরিতৃপ্ত করার সুযোগ না দেওয়া হয়, তা হলে তারা বিভিন্ন ধরনের দিবা স্বপ্নে নিজেদের ডুবিয়ে রাখে। ফলে তাদের ব্যক্তি সত্তার স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়। সে কারণে মেধাবী শিশুদের সার্থক জীবন বিকাশের জন্য এদের উপর কিছু, কিছু দায়িত্ব আরোপ করা দরকার।
উন্নত বুদ্ধি সম্পন্ন শিশুরা বাবা, মা এবং বড়দের কাছ থেকে বেশি নিরাপত্তা প্রত্যাশা করে। এই ধরনের শিশুরা তাদের বাবা, মার কাছ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা আশা করে থাকে। যদি এ নিরাপত্তা তারা না পায় তা হলে নানা রকম অসঙ্গত আচরণ করে এবং ক্রমে বড়দের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
উন্নত বুদ্ধি সম্পন্ন শিশুদের মধ্যে জ্ঞানের চাহিদা খুব প্রবল থাকে। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য তারা ব্যস্ত হয়ে ওঠে। তাই এদের চাহিদা মেটানোর জন্য বাবা, মা, শিক্ষকের বিশেষ সচেষ্ট হতে হবে এবং তাদেরকে অধিকতর সুযোগ দিতে হবে। তারা বন্ধুদের চেয়ে বাবা, মায়ের সান্নিধ্য বেশি করে পেতে চায়। তারা এ সুযোগ থেকে যেন বঞ্চিত না হয় অভিভাবকদের সে ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত।
উন্নত বুদ্ধিসম্পন্ন শিশুদের মধ্যে অধিক কাজ করার চাহিদা লক্ষ করা যায়। সব সময় কোন না কোন কাজে নিযুক্ত রাখতে না পারলে এদের মানসিক বিকাশের ধারা ব্যাহত হয়। এরা উপদেশের চেয়ে যুক্তিপূর্ণ তথ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এদের মধ্যে যুক্তিপূর্ণ তথ্যের প্রতি চাহিদা থাকে বলে কোন কিছুকে আপাততভাবে মানতে চায় না। কিন্তু যদি যুক্তির দ্বারা এদের কাছে কোন বিষয় প্রতিষ্ঠা করা যায় তা হলে তারা তা সহজে মেনে নেয়। তবে এ ব্যাপারে পিতা-মাতা-শিক্ষকসহ সকলে সচেতন হতে হবে। যদি মেধাবী শিশুদের চাহিদা পূরণ করা না হয় এবং তাদের মেধাকে অবহেলা করা হয় তবে তাদের মধ্যে কতকগুলো নেতিবাচক আচরণের বিকাশ ঘটে। এগুলো হলো :
ক) এরা অস্থির প্রকৃতির হয়ে থাকে এবং এদের মধ্যে একাগ্রতার অভাব দেখা যায়।
খ) অনেক সময় এরা সমবয়সীদের কাছ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখে।
গ) পাঠ্য বিষয় এদের মানসিক দক্ষতা অনুপাত সহজ হলে সেগুলির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং সহজ পাঠ্য বিষয় বুঝা ও পড়ার ক্ষেত্রে অবহেলা দেখিয়ে থাকে। কখনো কখনো এরা শিক্ষকদের নির্দেশকেও অমান্য করে থাকে।
ঘ) এরা অহংবোধসম্পন্ন, ঈর্ষাপরায়ন এবং একগুঁয়ে প্রকৃতির হয়ে থাকে।
মেধাবী শিশুদের শিক্ষণ পদ্ধতি : প্রতিটি শিশুর মধ্যেই ব্যক্তি পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু মেধাবী শিশুরা তাদের অসাধারণতার কারণে ভিন্ন হয়ে থাকে। শ্রেণিকক্ষে সাধারণত গড় বুদ্ধ্যঙ্ক এবং দক্ষতা অনুসারে শিক্ষা দেওয়া হয়। মেধাবী শিশুদের উন্নত মানসিক ক্ষমতা এবং বিশেষ ধরনের চাহিদার কারণে সাধারণ শ্রেণিকক্ষ যে পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হয় তার দ্বারা এসব শিশুরা উপকৃত হয় না বরং তারা বিদ্যালয়ে কিছু সমস্যার সৃষ্টি করে। বিদ্যালয়ের সাধারণ শ্রেণিকক্ষের সাথে উপযোজনের ক্ষেত্রে তারা যেসব সমস্যার সৃষ্টি করে তা হলো নি¤œরূপ :
যথাযথ নিদের্শনার অভাবে তারা নিজেদের বিচ্ছিন্ন ও অবাঞ্চিত মনে করে। ফলে এদের মধ্যে নিরাপত্তা হীনতা এবং হীনমন্যতাবোধের বিকাশ ঘটে। বিদ্যালয়ের পরিবেশ এবং সমাজের প্রতি এদের নেতিবাচক মনোভাব গড়ে ওঠে।
বিদ্যালয়ের পাঠ্য বিষয় এদের মানসিক সক্ষমতার অনুপাতে সহজ হওয়ার ফলে তাদের মধ্যে অনীহাভাব চলে আসে। ফলে এরা নিজেদের দিবাস্বপ্নে ডুবিয়ে রাখে এবং এদের মধ্যে স্কুল পালানোর প্রবণতা দেখা যায়, সম মানসিকতাপূর্ণ বন্ধুবান্ধব না পাওয়ার ফলে এদের সামাজিক বিকাশ ব্যাহত হয়।
বিদ্যালয়ের পাঠ্য বিষয় সহজ হওয়ার ফলে এরা অল্প সময়ের মধ্যে শ্রেণির কাজ শেষ করে ফেলে এবং বিভিন্ন ধরনের অনিষ্টকর আচরণের দ্বারা শ্রেণিকক্ষের পরিবেশকে কলুষিত করে। অভিভাকদের অত্যধিক মনোযোগের কারণে এরা অনেক সময় শ্রেষ্ঠত্ববোধে ভোগে।
বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা: মেধাবী শিশুদের শিক্ষা কর্মসুচিতে এদের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাঠ্যক্রমে এদের জন্য অন্তর্ভুক্ত উচ্চতর ধারণাগুলো বিশেষভাবে প্রক্ষিণ প্রাপ্ত শিক্ষকের মাধ্যমে উপস্থাপিত হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে এদের বিশেষ ক্লাস, সেমিনার ও দলগত আলোচনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রতিভাবান শিশুদের আকর্ষণের জন্য শিক্ষা কর্মসূচিতে তরান্বিতকরণ, সমৃদ্ধকরণ এবং দক্ষতা অনুযায়ী দল গঠন এই তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীর দ্রæত বৃদ্ধির হার লক্ষ করে তার মানসিক বয়স উপযোগী শিক্ষার ব্যবস্থা করাই হলো ত্বরান্বিতকরণ। এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে শিশুদের মানসিক চাহিদা পূরণের সম্ভাবনা থাকে। যেমন: ৫ম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থীর মানসিক বয়স যদি ৭ম শ্রেণির সমান হয় তবে তাকে ৭ম শ্রেণিতে উঠিয়ে দিতে হবে। সমৃদ্ধকরণ পদ্ধতি হলো, এই প্রক্রিয়ার মেধাবী শিশুদেরকে তাদের সমবয়সী শিক্ষার্থীদের সাথেই রাখা হয় এবং একই সাথে তারা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় যা সাধারণ স্কুল পাঠক্রমে সম্ভব নয়। এই পদ্ধতিতে মানোযোগ আকর্ষণকারী পাঠ্য বিষয়গুলি শ্রেণিকক্ষের ক্রিয়াকলাপের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়ে থাকে। ফলে শিশুরা পাঠ্য বিষয়ের সীমাবদ্ধতা সহজেই অতিক্রম করতে পারে।
মেধাবী শিশুদের শিক্ষাদানের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থা হলো, দক্ষতা অনুযায়ী দল গঠন করা। শিক্ষার্থীদের তাদের বুদ্ধ্যঙ্ক বা শিক্ষামূলক কৃতিত্বের অভীক্ষায় প্রাপ্ত সাফলাংকের ভিত্তিতে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করা হয়। এরূপ দলগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, বুদ্ধির মাত্রা অনুযায়ী প্রযোজ্য নির্দেশনা ও শিক্ষা কর্মসূচি প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষার দক্ষতা বৃদ্ধি করা। এই পদ্ধতিতে মেধাবী শিশুদের জন্য উন্নত পাঠ্যক্রম এবং অনগ্রসর শিশুদের জন্য খুবই সহজ পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয় যা শিশুদের মাঝে বিভাজনের সৃষ্টি করে। শিক্ষাবিদ ও মনোবিজ্ঞানীগণ এই পদ্ধতিকে সমর্থন করে না।
মেধা মহান সৃষ্টিকর্তা সবারই সমান দিয়েছেন। কিন্তু অবস্থার প্রেক্ষাপটে তা বিভিন্ন রকম হয়। কারো মেধা অল্প সময়ে প্রকাশিত হয় আবার কারো মেধা দীর্ঘদিন সুপ্ত থাকার পর প্রকাশিত হয়। আবার কারো মেধা আস্তে, আস্তে প্রকাশিত হয়। আবার কারো মেধা সঠিক পরিচর্যায় অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। তাই মেধার সুষ্ঠু বিকাশের জন্য রাষ্ট্র সমাজ অভিভাবক এবং শিক্ষকগণকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
লেখক: শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন