শ্রেণিকক্ষ সংকট
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ৯টি অনুষদের অধীনে ৫৬টি বিভাগে পরিচালিত হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। সব বিভাগের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রেণিকক্ষ থাকলেও ইতিহাস বিভাগের জন্য তা নেই। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নতুন নিয়মে ক্লাসের রুটিন মেলাতে শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ–সংকটের কারণে আগে সকাল-বিকেল ক্লাস নিতে হতো। বিশ্ববিদ্যালয় দুই দিন বন্ধ হওয়ায় ক্লাসের সংখ্যা বেড়েছে। এখন সকাল-বিকেল ক্লাস নিয়েও হিসাব মেলাতে পারছে না ইতিহাস বিভাগ। ফলে ছাত্রছাত্রীদের এক ক্লাস শহীদুল্লাহ্ কলা ভবনে করে অন্য ক্লাসের জন্য দৌড়াতে হচ্ছে সিরাজী ভবনে। এই সংকটের সমাধান না হলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
মোরছালিন ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
আইসিটি প্রভাষক
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী উচ্চমাধ্যমিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গত বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সরকারি কলেজে আইসিটি প্রভাষক পদ সৃজন করেছে। কিন্তু এমপিওভুক্ত কলেজে আইসিটি বিষয়টির প্রভাষক পদ সৃষ্টি করা হয়নি। তবে সব কলেজেই কম্পিউটার বিজ্ঞান নামের একটি ঐচ্ছিক বিষয় পড়ানো হয়। ওই বিষয়ের প্রভাষকেরা আইসিটি বিষয়ের ক্লাস, পরীক্ষা ও খাতা মূল্যায়ন করে থাকেন। এনটিআরসিএ কর্তৃক কম্পিউটার প্রভাষক পদে ছয় মাসের কম্পিউটার ট্রেনিং কোর্সধারী নন আইসিটি স্নাতকদের নিয়োগ দিচ্ছে। অন্যদিকে ৩৮তম বিসিএসে উল্লেখ করা হয়েছে, আইসিটি শিক্ষা ক্যাডারে আইসিটি, সিএসই ও ইইইতে স্নাতক ডিগ্রিধারী ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন। ফলে সরকারি কলেজগুলো প্রকৃত আইসিটি শিক্ষক পাচ্ছে। কিন্তু সর্বশেষ ১৩তম এনটিআরসিএ পরীক্ষায় আইসিটি স্নাতকদের বাদ দিয়ে নন আইসিটি স্নাতকধারীদের কম্পিউটার সায়েন্স প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইসিটি স্নাতকেরা আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক হতে পারছে না। এতে কি যথাযথভাবে আইসিটির শিক্ষাদান সম্ভব?
মোসা. নাজমিন আক্তার
রাজশাহী।
সরকারি ফার্মেসি
প্রায় দুই বছর আগে এক বড় ভাইকে সাপে কেটেছিল, শুধু দূরত্বের কারণে ওষুধ না পেয়ে মারা যায় সে। অবাক হয়ে জলজ্যান্ত মানুষটাকে মরতে দেখলাম! কিছুদিন আগে ফেসবুকে দেখলাম, একজন একটা মূল্যবান ওষুধের খোঁজ চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। দুই দিনের মধ্যে ওষুধটি দরকার তাঁর, কিন্তু দেশের বাইরে থেকে আনতে ১৫ দিন সময় লেগে যাবে। দেশের বড় বড় ফার্মেসিতে খুঁজেও ওষুধটি তিনি পাননি। এবার রাজশাহীতে প্রচুর সাপের আনাগোনা। মানুষ যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপদে পড়তেই পারে। বিষাক্ত সাপে কামড় দিলে আধা ঘণ্টা সময়ও পাওয়া যায় না অনেক সময়। সে ক্ষেত্রে মানুষ কীভাবে বহুদূরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাবে!
প্রতিটি উপজেলায় সরকারি একটি ফার্মেসি থাকা খুব জরুরি। বিশেষ করে সাপের ভ্যাকসিন, জলাতঙ্ক রোগের টিকা এবং জনগুরুত্বপূর্ণ ওষুধ প্রচুর পরিমাণে থাকা দরকার। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ওষুধ না থাকলে জীবন বাঁচানো কঠিন। এতে যেমন মানুষের জীবন বাঁচবে, তেমনি সঠিক দামে মানসম্পন্ন ওষুধ পাওয়া সহজ হবে। গ্রামাঞ্চলে মানসম্পন্ন ওষুধ পাওয়া যায় না। তাই এ ধরনের একটি ফার্মেসি উপজেলা পর্যায়ে মানুষের দারুণ উপকারে আসবে।
সাঈদ চৌধুরী
গাজীপুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন