পাকা রাস্তা চাই
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ৪ নম্বর ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের এক অবহেলিত জনপদ হচ্ছে ৭ নম্বর ওয়ার্ড। লহুচাঁদ ও হলদিবাড়িÍএই দুটি গ্রামের সমন্বয়ে ওয়ার্ডটি গঠিত। এখানে দুটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ব্র্যাকের কয়েকটি স্কুল আছে। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন ছাত্র-শিক্ষকসহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। শুধু এই রাস্তার কারণে এলাকার জনজীবন অন্য এলাকা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। এই ওয়ার্ডের চারদিকে প্রায় দু-তিন কিলোমিটার দূরে পাকা রাস্তা, কিন্তু এই ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী রাস্তাটি পাকা হচ্ছে না। গত বছরের প্রথম দিকে একবার দামোল শিহিপুর থেকে লহুচাঁদ পর্যন্ত রাস্তাটি মাপা হয়েছিল, তখন শুনেছিলাম, রাস্তাটি পাকা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত রাস্তা পাকা করার কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। উন্নয়নের এই যুগে সড়ক পাকা করার জন্য পত্রিকায় চিঠি লেখা কাম্য নয়।
হোসাইন আনোয়ার
ঠাকুরগাঁও।
গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার উদ্দেশ্য যা-ই হোক, এতে সারা দেশেই সাংবাদিকেরা ব্যাপকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পরিবেশিত কোনো সংবাদ প্রভাবশালী বা ক্ষমতাসীনদের কারও অপছন্দ হলেই মামলা ঠুকে দেওয়া হচ্ছে। হাজিরা দেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা আদালতে ছুটে যেতে হচ্ছে। ফলে ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে একধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার ৫৭ ধারা বাতিল করে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গেছে, এই আইনের ১৯ ধারায় সামান্য ভাষা রদবদল করে হুবহু ৫৭ ধারাকেই প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। ফলে গণমাধ্যমকর্মীরা একই রকম আতঙ্কে রয়েছেন।
অনেকেই মনে করছেন, এই ধারার উদ্দেশ্য হচ্ছে সাংবাদিকদের হয়রানি করা বা ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখা, কাউকে শাস্তি দেওয়া নয়। সরকার ৫৭ ধারার মতো হাতিয়ার সহজে হাতছাড়া করবে না। তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণকে সংবিধানবিরোধী বলেও উল্লেখ করেছে। তাহলে যে সরকার নিজেদের মুক্ত সাংবাদিকতার পক্ষে বলে দাবি করে, সেই সরকার সংবাদকর্মীদের কাছে ভীতিকর একটি আইন প্রণয়নে এত উৎসাহী কেন? বাক্স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র হতে পারে না, এই সত্য কি তারা ভুলে যাচ্ছে?
মেনহাজুল ইসলাম
দিনাজপুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন