রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে অস্বাভাবিক নৈশ প্যারেড হয়

| প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্টের রাতে এক অস্বাভাবিক নৈশ প্যারেডের আয়োজন করা হয়েছিল। এই প্যারেড এক টানা চার ঘন্টা চলে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার কয়েক ঘন্টা আগে শেষ হয়।
জাতির পিতার নির্মম হত্যা মামলার একজন রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষীর দেয়া বক্তব্যে এ তথ্য উঠে এসেছে। ১৪ আগস্ট রাত ৮টায় প্যারেড শুরু হয়এবং ১৫ আগস্ট রাত আড়াইটা পর্যন্ত এই প্যারেড চলে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এই স্বাক্ষী বলেন, সাধারণত রাতে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে এ ধরনের প্যারেড হয় না। অথচ সে দিনে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে প্যারেড করার জন্য সেনা সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
এসডিএম (স্কোয়ার্ড পদমর্যাদার মাকর্সম্যান) বশির প্যারেডের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বেসামরিক পোশাকে মেজর ফারুক রহমান, মেজর মহিউদ্দিন, মেজর আহমেদ শরিফুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট কিসমত, লেফটেন্যান্ট নাজমুল হোসাইন আনোয়ার এবং অপর কয়েকজন প্যারেড প্রত্যক্ষ করেন।
স্বাক্ষী (বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পিডবিøউ) বলেন, তিনি সে সময়ে মেজর রশীদ এবং রশীদের ইউনিটের অপর কয়েকজন কর্মকর্তাকে দেখেছিলেন। মেজর ফারুক তাদেরকে প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেন। তাদেরকে বলা হয় খুবই জরুরী কাজের জন্য প্যারেড বন্ধ করে প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেয়া হলো। এরপরই মেজর ফারুক, মেজর ডালিম এবং মেজর শাহরিয়ারকে তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এ সময় তারা বেসামরিক পোশাকে ছিলেন।
মেজর ফারুক সেনা সদস্যদেরকে তার নির্দেশ মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ট্যাংক কমান্ডারগণ জানেন, কোথায় ট্যাংক মোতায়েন করতে হবে। মেজর তাদেরকে আধা ঘন্টার মধ্যে মুভ করার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। রাত প্রায় ৪ টায় মেজর ফারুক তাদেরকে মুভ করার নির্দেশ দেন। এ সময় ফারুক এক ট্যাংকের কমান্ডার এবং লে. কিসমত অপর ট্যাংকের কমান্ডার ছিলেন।
মেজর শরিফুল হোসেন এ সময় তাকে রেডিওতে যাবার নির্দেশ দেন এবং যখন তারা রেডিও ষ্টেশনে গিয়ে পৌঁছেন, তখন শরিফ হোসেন রেডিও স্টেশনের গেট ম্যানকে যে যেখানে আছে, তাদেরকে সেখানেই থাকতে বলেন।
মেজর ডালিম একটি খোলা জীপে করে সশস্ত্র অবস্থায় ৫টা৩০ মিনিটে সিপাহী প্রহরায় রেডিও স্টেশনে আসেন। ডালিম রেডিও স্টেশনে প্রবেশের আগে শরীফুলের সাথে কথা বলছিলেন। পরে তিনি সেখানে উপস্থিত সামরিক কর্মকর্তা ও বেসামরিক লোকদের চেক করেন। স্বাক্ষীর দেয়া জবানবন্দিতে প্রমাণিত হয়েছে, সৈন্যরা অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে প্যারেড মাঠে প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং ট্যাংক কমান্ডার রাত ৪ টায় ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে নগরীতে মুভ করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন