শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বিমাকর্মীদের দুরবস্থা
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ হলেও দেশের জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির হার খুবই কম। বিমা কোম্পানিতে ১০-১৫ বছর চাকরি করেও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর বেতন সাকল্যে ১০-১২ হাজার টাকা।
অন্য কর্মকর্তাদেরও একই অবস্থা। শুধু তাই নয়, ব্যবসায় শীর্ষে থাকা বিমা কোম্পানিগুলো কর্মচারীদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পর্যন্ত দেয় না। অসহায় চাকরিজীবীরা কাজ হারানোর ভয়ে নীরব। অল্প বেতনে চাকরি করা এসব কোম্পানির কর্মীরা ৪৫৫৫ টাকা কেজি চালের বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ইতিমধ্যে নিরুপায় হয়ে চাকরি ছেড়ে অন্য কাজ করছেন।
অথচ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনেক বিমা কোম্পানির অবস্থা বেশ ভালো। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে কিছু বলে না। যদিও বিক্রয় প্রতিনিধিদের কমিশনসহ বিপুল অঙ্কের বোনাস দেওয়া হয়। এতে বিমা প্রতিষ্ঠানে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হচ্ছে। কর্মীদের মনে হয়, তাঁদের যেন দেখার কেউ নেই।
বি এম মাহমুদ, কক্সবাজার।


প্যারামেডিকেল শিক্ষা
বহুল আকাঙ্ক্ষিত প্যারামেডিকেল শিক্ষা বোর্ডের খসড়া আইন শিগগিরই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এই আইনটি প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে অনেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে যাবে। কিন্তু আইনের খসড়ায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ত্রুটি দেখা গেছে, যা পরে অনেক ঝামেলার সৃষ্টি করবে:
১. আইনের ২ নম্বর অধ্যায়ের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদের ক নম্বর কলাম অনুসারে বোর্ডের নাম ‘প্যারামেডিকেল শিক্ষা বোর্ড’, অথচ প্যারামেডিকেল শব্দটি যথেষ্ট সেকেলে এবং বোর্ডের নামের ব্যাপারেও যথেষ্ট মতবিরোধ আছে। যেহেতু বোর্ডের অধীনে সব স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা প্রযুক্তিসংক্রান্ত বিষয় পড়ানো হবে, সেহেতু ‘ডিপ্লোমা মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড’ বা ‘বাংলাদেশ হেলথ/মেডিকেল টেকনোলজি বোর্ড’ অথবা ‘চিকিৎসা প্রযুক্তি শিক্ষা বোর্ড’ নাম খুবই মানানসই হবে আশা করি।
২. বর্তমানে চিকিৎসা প্রযুক্তিসংক্রান্ত বিষয়সমূহ ‘রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ’ ও ‘ফার্মেসি কাউন্সিল’ কর্তৃক পরিচালিত হয়। কিন্তু আইন বাস্তবায়িত হলে ‘রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ’ ও ‘ফার্মেসি কাউন্সিল’-এর অবস্থান কী হবে তা পরিষ্কার করা হয়নি। উল্লেখ্য, ‘রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ’-এর অর্থ তহবিল বোর্ড এর অধিভুক্ত হবে বলে উল্লিখিত হয়েছে।
৩. বর্তমানে ‘ফার্মেসি কাউন্সিল’-এর অধীনে প্রতিটি হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে ‘ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসি’ কোর্স চালু রয়েছে। কিন্তু আইনে বোর্ডের অধীন এ রকম কোর্সের উল্লেখ নেই। ফলে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টরাও বোর্ড জটিলতার শিকার হচ্ছে। উল্লিখিত সমস্যা ছাড়া আরও কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। আইন চালু করার আগে এসব সংশোধন করে নেওয়া উচিত।
জুয়েল দাশ গুপ্ত, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন