ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলে ৭ ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে ককটেল, চাপাতি, গান পাউডার, স্টাম্প, রড এবং হকস্টিক উদ্ধার করে পুলিশ প্রশাসন। গতকাল দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সাদ্দাম হোসেন হলে এ অভিযান চালায় প্রক্টরিয়াল বডি, ইবি থানা এবং কুষ্টিয়া পুলিশ। এর আগে দুই শিবির কর্মীকে মারধোর করে পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রলীগ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শামীম ওসমান নামে এক শিবির কর্মী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সাদ্দাম হোসেন হলে অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে হলের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। বিকাল আড়াইটার দিকে শামীম উসমানকে হলের সামনে পেয়ে মারধোর করে ছাত্রলীগ। মারধোরের এক পর্যায়ে সে পালিয়ে যায়। পরে হলের সামনে আরও দুইজন শিবির কর্মীকে মারধোর করে ছাত্রলীগ। মারধোর শেষে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশের কাছে সোপর্দকৃতরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের হাসনাত হোসাইন এবং আল-হাদীস বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের গোলাম আজম। পরে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন হলের বেশ কয়েকটি রুমে তল্লাশি চালিয়ে ৭টি ককটেল, ১টি চাপাতি, ৪টি স্টাম্প, ২টি রড এবং একটি হকস্টিক উদ্ধার করে। পরে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া জেলার এসপি মেহেদী হাসান এসে আরো কয়েকটি রুমে তল্লাশি চালিয়ে আরো ৫টি ককটেল, শিবিরের বইসহ আরো কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাদ্দাম হোসেন হলের কয়েকটি রুম তল্লাশী করা হয়। রুমগুলো থেকে কিছু অবৈধ জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে দুই জনকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।’
কুষ্টিয়া জেলার এসপি মেহেদী হাসান বলেন ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় সাদ্দাম হোসেন হলে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র, ককটেল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, সিডি ও দালিলিক কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। হল থেকে দুই শিবির কর্মীকে আমরা আটক করেছি। ছাত্র নামধারী বাকি দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে গেছে। অতি শিগগিরই আমরা তাদেরকে আটক করতে পারবো।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন