কে, এস, সিদ্দিকী
(৪ মার্চ প্রকাশিতের পর)
ক্রুসেডার আরনাথ ইসলামের বিরুদ্ধে যে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা করে মুসলিম ঐতিহাসিকগণের বর্ণনা হতে ও তা সৃষ্টি হয়ে ওঠে।
ক্রুসেডারেরা ঈজাব হতে হেজাজের তীর পর্যন্ত লোহিত সাগর অতিক্রম করার দুঃসাহস প্রদর্শন করে। তারা ইয়াম্বের নিকটবর্তী আল হোরা নামক তীরবর্তী স্থানে অবতরণ করে ও কাফেলাদের ওপর আক্রমণ চালায় এবং মদীনা মোনাওয়ারা হতে এক দিনের দূরত্বে অবস্থিত এ স্থানে অবস্থান করে। এমনকি তারা মদীনাতুর রাসূলে প্রবেশের সংকল্প করে, উদ্দেশ্য রাসূল (সা.) কবর খনন করে তার লাশ মোবারক সেখান থেকে সরিয়ে তাদের দেশে নিয়ে যাবে এবং সেদেশে দাফন করবে। এর ফলে মুসলমানগণ তার কবর জিয়ারতে সক্ষম হবে না। এ সম্পর্কে ঐতিহাসিক মোকরেজীর বর্ণনা-
“অ-কাদশাবাহাল কাজী আল ফাজেল আবদুর রহীম ইবনে আল বিসামী ফি বিসালাতিন মিন বাসারিলি হিল আদরিয়াতির ফয়েঅজ- আল্লাছ ছালিবিয়িনা আরাদু মিন হামলাতিহিম ফিল বাহরিল আহমার কাতআ তরিকিল হাজ্জে আন হাজ্জিহি অজরবাল আলামিল ইসলাম, ফি কালবিহি অতানাল মুসলিমিনা ফি কিবলাতিহিম। অ-কাজালিকা আজাম আল ইসতিলাআ আলা আছনি লাখেজ, তুজ্জারিল ইয়েমেন অ-আকারিয়ে আদন।”
অর্থাৎ কাজী আবদুর রহীম ইবনে আলী আল-বিসানী তার একটি মূল্যবান সাহিত্যিক রেসালায় ব্যাখ্যা করেছেন যে, ক্রুসেডাররা লোহিত সাগরে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল উদ্দেশ্য হজে গমনকারী হাজীদের গতিপথ রোধ করা, আলমে ইসলামীর অন্তুরে আঘাত প্রদান মেদীনায় আক্রমণের মাধ্যমে এবং মুসলমানদের কেবলা সম্পর্কে তাদের তিরস্কার করা। অনুরূপভাবে তাদের সংকল্প ছিল এডেনে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং ইয়েমেনের পর্বত মালা অধিকার করা।
এবক্ত্যের অর্থ হচ্ছে ক্রুসেডারেরা চেয়ে ছিল দক্ষিণে এডেনে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং উত্তরে ইলায় তাদের শাসন ক্ষমতা কয়েম করা, যাতে লোহিত সাগরে তাদের পূর্ণ সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় এবং কুক্ষিত করতে পারে ভারত মহাসাগর ও পূর্ব প্রাচ্যের একচেটিয়া বাণিজ্য।
ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রুসেডারদের এ সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্রের খবর আর গোপন থাকেনি সিরিয়ায় অবস্থানকারী সালাহউদ্দীন আইউবীর নিকটও। তিনি মিসরে নিয়োজিত তার ও নায়েব সাইফুদ্দিনের নামে প্রেরিত পত্রে এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন যে, লোহিত সাগরে নিয়োজিত শত্রুর বিরুদ্ধে মিসরের হোসামুদ্দীন নুলুর নেতৃত্বে একটি নৌবহর প্রস্তুত করো। বৃহদাকারে নৌযানগুলো সমন্বয়ে নৌবহর প্রস্তুত সম্পন্ন হয় এবং সেগুলো বিচ্ছিন্নভাবে বুহ উটের পীঠে উঠিয়ে সুয়েজ নদীতে প্রেরণ করা হয় এবং নৌবহর আকারে লোকবলের মাধ্যমে পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয় এবং এসব নৌযান লোহিত সাগরে অবতরণ করে।
নৌবহরের প্রধান হোসামুদ্দীন ইলাবন্দর অবরোধ করেন এবং ক্রুসেডারদের নৌযানগুলোর ওপর তিনি সাফল্য লাভ করেন এবং আরোহিরা সবাই বন্দি হয়। অতঃপর ইসলামী নৌবহর প্রধান ক্রুসেড নৌযানগুলোকে দ্রুত ধাওয়া করতে থাকেন এবং হেজাজের হোরায়ের তীরে ঈজাব নামক স্থানে ওদেরকে ধরে ফেলেন। এবং নৌযানগুলোতে অবস্থানরত বাকি ক্রুসেডারদের অনেকে পর্বত মালায় আশ্রয় নেয়। হোসামুদ্দীন বন্দি মুসলমান বণিকদের মুক্ত করে দেন। অতঃপর হোসামুদ্দীন লুলু ও তাঁর সহচরগণ হেজজ ভূখ-ে অবতরণ করেন এবং পরাজিত ক্রুসেডারদের ধাওয়া করে পর্বতমালা হতে বিতাড়িত করেন তখন তারা মদীনা মোনাওয়ারা হতে এক দিনের দূরত্বে অবস্থান করছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের সবাইকে বন্দি করা হয়। তখন হজের মৌসুমও নিকটবর্তী হোসামুদ্দীন লুলু দুইজন ক্রুসেডার বন্দিকে মীনায় প্রেরণ করেন এবং এ দুইজনকে হত্যা করা হয়। অতঃপর হোসামুদ্দীন ও তাঁর সঙ্গীগণ অবশিষ্ট বন্দিদের নিয়ে মিসরে প্রত্যাবর্তন করেন। ক্রুসেডার বন্দিদের মিসরে নিয়ে আসার পর সুলতান সালাহউদ্দীন ইবনে আইউব ঐসব বন্দিকে হত্যা করার নির্দেশ প্রদান করেন যাতে সেসব লোকের শিক্ষা হয় যারা হারামাইন শরীফাইনে আগ্রাসন চালানোর দুঃসাহস করে। অতঃপর সুলতানের নির্দেশে কার্যকর করা হয় কায়রো ও ইস্কান্দরিয়ার রাজ পথগুলোতে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। উল্লেখ্য, বিখ্যাত পর্যটক ইবনে জাইর ছিলেন এসব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, তিনি এসম্পর্কে যে বিবরণ দান করেন, তা নিম্নরূপঃ
হিজরী ৫৭৮ সালের জিলহজ মাসের প্রথম দিকে, মোতাবেক ১১৮৩ সালের এপ্রিল মাস। ইস্কান্দরিয়া (আল্কেজান্দ্রিয়া) শহরে ক্রুসেডার বন্দিদের দেখার জন্য এক অদ্ভুত পূর্ব জনসমাবেশ ঘটেছিল, যা ইতিপূর্বে কখনো দেখা যায়নি, ঐসব বন্দিকে উটের পিঠে সোয়ার করিয়ে শহরে আনা হয় অথচ তাদের মুখম-ল ছিল উটগুলোর লেজের দিকে এবং তাদের চতুর্দিকে ছিল ঢোলও হিবগণের বাজনা। এভাবে সালাহউদ্দীন আইউবী লোহিত সাগরকে ক্রুসেডারদের আশঙ্কা মুক্ত করেন এবং এমন ভাবে কাজ করেন যে, খাঁটি ইসলামী সাগর হিসেবে দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সালাহউদ্দীন ও তাঁর প্রতিনিধিদের যুগ পর্যন্ত কোনো অনৈসলামিক নৌযানকে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়নি, যা ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা।
হারামাইল শরীফাইনকে ক্রুসেডারদের ঘৃণ্য আগ্রাসনের কবল হতে সম্পূর্ণ নিরাপদ করার পর সুলতান সালাহউদ্দিন খ্রিস্টান অধিকৃত মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুন মোকাদ্দাস জেরুজালেমের দিকে মনোনিবেশ করেন। প্রথমে তিনি সিরিয়া হতে ক্রুসেড অস্তিত্ব বিলুপ্ত করার জন্য দুই ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং তা হচ্ছে রাজনৈতিক ও সামরিক প্রস্তুতি। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি জর্দান নদীর ওপারে ক্রুসেডারদের মোকাবিলায় বিভিন্ন অভিযান প্রেরণ করেন উত্তরে দক্ষিণে। তিনি লক্ষ্য করেন, বায়তুল মোকাদ্দাস যেন ডাকছে; “কুলুলি মোহাম্মদ ইউখলিছুকমা”- মোহাম্মদকে বলো, তোমাদেরকে মুক্ত করতে। অর্থাৎ হিজরী ৪৯২/১০৯৯ সালে খ্রিস্টানরা বায়তুল মোকাদ্দাস অধিকার করার পর থেকে সেখানকার পবিত্র স্থান সমূহের করুণ অবস্থা, আগ্রাসী শক্তি সেগুলোর ধর্মীয় মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করে চলছে। ওদের কবল থেকে এসব পবিত্র স্থান মুক্ত করার সময় এসেছে, এ ব্যাপারে মুসলমানদের জাগ্রত হতে হবে, প্রস্তুত হবে বায়তুল মোকাদ্দাস যেন সালাহউদ্দীনের প্রতি এ আহ্বানই জানাচ্ছিল। বস্তুত, মুসলমানগণ মর্মান্তিকভাবে অনুতপ্তছিলেন যে, ক্রুসেডারেরা বায়তুল মোকাদ্দাস অধিকার করার পর সেখানে যে নৃশংস বর্বরতা প্রদর্শন করতে থাকে তা অবর্ণনীয়, তারা এ পবিত্র শহর মুসলমান হত্যার মাধ্যমে বধ্যভূমিতে পরিণত করে এবং মসজিদে আকসাকে বানায় ইস্তাবল খানা, মুসলমানদের মধ্যে যারাই সেখানে আশ্রয়গ্রহণ করেছিল সকলকেই হত্যা করে। তাদের মধ্যে মুসলমানদের ইমাম ও সাধকগণের এক বিরাটদলও ছিল যারা নিজেদের ঘরবাড়ি ত্যাগ করে এখানে প্রতিবেশী হয়েছিলেন।
বর্ণিত পরিস্থিতিতে সালাহউদ্দিন দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হন বায়তুল মোকাদ্দাস পুনরুদ্ধারের। তাই তিনি বহুধা বিভক্ত মুসলমানদেরকে একইকাতারে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালাতে থাকেন, সিরিয়া হতে ক্রুসেডারদের বিতাড়ন ও বায়তুন মোকাদ্দাস পুনরুদ্ধার করতে হলে মুসলমানদের ঐক্য একান্ত জরুরি ছিল। সালাহউদ্দীনও ক্রুসেডারদের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি থাকা সত্ত্বেও কার্কের স্বার্থক ক্রুসেডার আরনাথ আহমকের ন্যায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে হিজরী ৫৮২/১১৮৭-এর শেষ দিকে, কায়রো হতে দামেস্কে যাওয়ার পথে মুসলমানদের কাফেলা লুট করে, বিপুল পরিমাণের অর্থ-সামগ্রী দখল করে ও মুসলমানদের একটি দলকে বন্দি করে এবং বিদ্যমান সন্ধি চুক্তিরও সে তোয়াক্কা করেনি। এসময় সালাহউদ্দিন তার কাছে একটি প্রতিনিধিদল প্রেরণ করেন আরনাথ তাদের সাথে অশোভ আচরণ করে এবং সালাহউদ্দিনের দাবি মানতে অস্বীকার করে। যে কাফেলার কাছ থেকে লুট করা মাল আসবাব ফেরত দেবে না এবং বন্দিদেরও মুক্তি দেবে না আরনাথ সালাহউদ্দীনের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে বলেন, ‘কুলুনি মোহাম্মদ ইউখলিছুকুম’। মোহাম্মদকে বলো তোমাদের মুক্ত করে দিতে। এ ধৃষ্ঠতাপূর্ণ উক্তি শ্রবণ করে সালাহউদ্দিন শফত করে বলেন, আরনাথকে তিনি নিজ হাতে হত্যা করে ছাড়বেন। তাঁর এ ক্রোধ বাস্তবায়নের ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যুদ্ধে তিনি জয় লাভ করলে তার মানত তিনি পূরণ করবেন, তখন বিদ্যমান চুক্তির শেষ সময়। আরনাথের ধৃষ্ঠতাপূর্ণ উক্তির প্রতিশোধ তিনি নেবেনই।
অবশেষে সালাহউদ্দিন জেহাদ ঘোষণা করেন, ইসলাম সৈন্যবাহিনী সকল দিক থেকে এসে সমবেত হতে থাকে বৃহৎ রাষ্ট্রে, তারা আসতে থাকে মিশর হতে, দামেস্ক হতে, হলব হতে, আলজাজিরা হতে, মোসেল হতে এবং দিয়ারে বকর প্রভৃতি হতে আসতে থাকে। এবং হিজরী ৫৮৩ সালের মহররম মোতাবেক ১১৮৭ সালের মার্চ মাসে দামেস্ক হতে যাত্রা করে সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে রাসূল মা নামক স্থানের নিকট ইসলামী বাহিনীর সকল সৈন্য সমবেত হয় এ স্থানের উত্তরে পশ্চিমে হোরান এলাকা তারা আক্রমণ পরিচালনা করে আরাবিয়ায় এবং সাফুরিয়ার নিকটবর্তী স্থানে মে মাসে ক্রুসেডারদের সাথে এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং যুদ্ধে তাদের বিপুল সংখ্যক সৈন্য নিহত হয়। সাফুরিয়ায় সালাহউদ্দীনের এ বিজয় ছিল শুভ সূচনা এবং পরবর্তী অগ্রযাত্রার প্রেক্ষাপট। আবু শামা তার বিখ্যাত কিতাব ‘আর রওজাতাইনে ফি আক-বারিদ্দোলতাইন’ এ যুদ্ধের বিবরণ প্রদান করেছেন, তাতে বলা হয়েছেঃ ক্রুসেডারদের সাথে একটি বড় যুদ্ধ অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। যুদ্ধের অধিনায়ক সালাহউদ্দিন সিরীয় সীমান্তগুলো নির্ধারণ করতে দ্রুত আক্রমণের মাধ্যমে ক্রুসেডারদের ছত্রভঙ্গ ও বিছিন্ন করতে কামিয়াব হন। এ আক্রমণ আকস্মিকভাবে তাবারিয়ায় চালানো হয়। তাঁর বিশ্বাস ছিল যে, আক্রমণের খবরা খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসলামের দুশমনদের অহঙ্কার ও রণহুঙ্কার এবং আগ্রাসী মনোভাব লোপ পেয়ে যাবে। সালাহউদ্দিন যে পরিকল্পনা করেছিলেন, তা সফল হয়, যখন ক্রুসেড কাজ জয় লুথ জিনান তার বাহিনীকে তাবারিয়া অভিমুখে যাত্রা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এটি হিজরী ৫৮৩ সালের ২৪ রবিউস-সানি মোতাবেক ১১৮৭ সালের ২ জুলাই তারিখের কথা, এর আগেই-সালাহউদ্দিন তার সৈন্যদের সিংহভাগ তাবারায়া হতে সরিয়ে নিয়েছিলেন, মাত্র মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক সেখানে অবস্থান করছিল। সালাহউদ্দিন তার প্রধান সেনাদলকে শহরের পশ্চিমাংশে অবস্থিত টিলাগুলোতে মোতায়েন করেন, যাতে ক্রুসেডারেরা সেদিকে অগ্রসর হতে না পারে, তারা হিত্তীন নামক স্থানের নিকট সড়কের মাঝখানে অবস্থান নেয়। অবস্থা ছিল এই তাদের নিকট পানির যে সংগ্রহ ছিল তা নিঃশেষ হয়ে যায় এবং তারা তীব্র পানি সংকটের সম্মুখীন হয়। এর পরের ঘটনা হিত্তীন যুদ্ধ। ইতিহাসগুলোতে এ চাঞ্চল্যকর, আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঐতিহাসিক যুদ্ধের বিশদ বিবরণ রয়েছে, অনেকেরই তা জানা আছে, তাই এখানে তার উল্লেখ নিষ্প্রয়োজন।
সংক্ষেপে এতটুকু বলে রাখা দরকার যে, হিত্তীনযুদ্ধ সালাহউদ্দিন আইউবীর সাথে দ্বিতীয় ক্রুসেড যুদ্ধ, এ যুদ্ধে ক্রুসেডারদের শোচনীয় পরাজয় ঘটে। এ যুদ্ধে সালাহউদ্দীনের অবিস্মরণীয় বিজয় লাভ বায়তুল মোকাদ্দাস পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করে দেয়, যা ৯১ বছর ক্রুসেডারদের অধিকারভুক্ত ছিল। সালাহউদ্দীনের সময়ে তৃতীয় ক্রুসেডযুদ্ধেও ক্রুসেডাররা পরাজয় বরণ করে। অতঃপর হিজরী ৫৮৯ সালের ২৭ সফর, মোতাবেক, ১১৯৩ সালের ৪ মার্চ এ মহান ক্রুসেড বিজয়ী দামেস্কে ইন্তেকাল করেন। (সমাপ্ত)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন