উন্নত জাতের গাভী পালন ও দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে প্রাণ ডেইরির চুক্তিবদ্ধ খামারিদের সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ দেবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। গতকাল রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উপস্থিতিতে এ সংক্রান্ত এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এতে স্বাক্ষর করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী এবং সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন, প্রাণ’র চুক্তিবদ্ধ খামারিদের গাভী ক্রয়, শেড স্থাপন, মিল্কিং মেশিন, চপার মেশিন, দুধ বহনের অ্যালুমিনিয়াম ক্যানসহ খামার ব্যবস্থাপনার আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ে এ ঋণ প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, নাটোরের গুরুদাসপুর, পাবনার চাটমোহর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও বাঘাবাড়ী এবং রংপুরে অবস্থিত প্রাণ’র পাঁচটি ডেইরি ‘হাব’র অধীনে ১১ হাজারের বেশি রেজিস্টার্ড দুগ্ধ খামারি রয়েছেন। এসব খামারির কাছে প্রায় ৫৫ হাজার গবাদি পশু রয়েছে। প্রাণ ডেইরি এসব গবাদিপশুর লালন-পালন, টিকা, চিকিৎসাসেবা, খামার স্থাপন বিষয়ক প্রশিক্ষণ, কৃত্রিম প্রজনন প্রভৃতি সেবা প্রদান করে থাকে।
অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, দেশের কৃষিশিল্পসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে সোনালী ব্যাংক ঋণসহায়তা প্রদান করে। দেশের দুগ্ধ শিল্পের উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যেসব কাজ চলছে প্রাণ ডেইরি তাদের মধ্যে অন্যতম। এ ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের দুগ্ধশিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে অপুষ্টি দূরীকরণসহ যুবক ও যুব মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, প্রাণ ডেইরির তালিকা অনুযায়ী তাদের চুক্তিবদ্ধ খামারিদের স্বল্প সুদে জামানতবিহীন ঋণ দেয়া হবে। একজন খামারিকে জামানতবিহীন ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ দেয়া হবে। এছাড়া জামানতের বিপরীতে তিন লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হবে। এ ঋণ পরিশোধের সময়সীমা হবে তিন থেকে পাঁচ বছর। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল মকবুল, প্রাণ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধাসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন