হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়মের মামলায় গেফতার সুনামগঞ্জের যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার খাইরুল হুদা চপলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চপল সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক।
জেলা শহরের স্টেশন রোডে মেসার্স নূর ট্রেডিং নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। বিদেশ যাওয়ার সময় গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে চপলকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, রাতের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যেতে চপল বিমানবন্দরে এসেছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল বুধবার চপলকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ। শুনানি শেষে ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠনের এই নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
গত মার্চ-এপ্রিলের আগাম বন্যায় হাওরাঞ্চলে বাঁধ ভেঙে ফসলহানির ঘটনা গণমাধ্যমে উঠে আসার পর বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের তদন্তে নামে দুদক। এরপর গত ২ জুলাই হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারসহ মোট ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই দিনই মামলার আসামি সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দীন ও মেসার্স ইব্রাহিম ট্রেডার্স অ্যান্ড শামিম আহসানের স্বত্ত¡াধিকারী বাচ্চু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতি বছর বন্যা আসার সময় ও আশঙ্কা সম্পর্কে অবহিত থাকার পরও আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাঁধ নির্মাণের চুক্তি ভেঙেছেন বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়।
মামলার আসামিদের মধ্যে ১৫ জন সিলেট বিভাগ ও সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা। বাকি ৪৬ জন ঠিকাদার। হাওরের বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের ১৬০টি প্যাকেজের মধ্যে পাঁচটি প্যাকেজে ঠিকাদারির দায়িত্ব পান স্টেশন রোডের মেসার্স নুর ট্রেডিংয়ের মালিক চপল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন