শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রংপুর মেডিকেল
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির কার্ডিওলজি বিভাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াশ রুমের পরিবেশ দেখে যে কেউ বিস্মিত হবেন।
শুধু ওয়াশ রুমেই নয়, রোগীদের বেডরুমের অবস্থাও অস্বাস্থ্যকর। ওয়াশ রুমের প্রবেশপথে ময়লার স্তূপ রয়েছে। যেখানে রয়েছে বিপজ্জনক ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, ইনজেকশনের অ্যাম্পুলের ভাঙা কাচের বোতল। এই ময়লার স্তূপ ডিঙিয়ে ওয়াশ রুমে যেতে হয়। এতে জুতার পাড়ায় কাচ ভেঙে যায়। এমনকি জুতার নিচে কাচ আটকে থাকে।
ওয়াশ রুমের ভেতরের অবস্থা আরও নাজুক। দরজার ভেতরে লক (ছিটকিনি) নেই। এ ছাড়া টয়লেটের ভেতরের ট্যাপ নেই। ২৪ ঘণ্টাই পানি পড়ছে। হাজার হাজার লিটার পানি বিনা কারণেই নষ্ট হচ্ছে। তবু দেখার কেউ নেই। অন্যদিকে রোগীদের বেডরুমের ফ্লোরে পানি জমে যাচ্ছে।
কর্তব্যরত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের বললে তাঁরা জবাব দেন, এটা তাঁদের বিষয় নয়। আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা আমাদের ফোন ধরেন না। এভাবেই চলছে রংপুর মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ড। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আজিনুর রহমান, নীলফামারী।

পাসপোর্টের দালাল
দালাল চক্র নির্মূলে কর্তৃপক্ষ নানা ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন দাবি করলেও রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে এখনো দালালেরা সক্রিয়। পাসপোর্ট অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা সরাসরি এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা গ্রাহকদের সঠিকভাবে সেবা দেন না এবং এর ফলে গ্রাহকেরা দালাল ধরতে বাধ্য হন। দালাল চক্রের সহায়তা ছাড়া কেউই সঠিক সময়ে পাসপোর্ট পান না। দালালেরা পাসপোর্ট করতে আসা গ্রাহকদের ১৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ৭ দিনের মধ্যে ঝামেলাবিহীনভাবে পাসপোর্ট করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেন। অনেকে তাঁদের ফাঁদে পা–ও দেন। অনেকে আবার প্রতারিতও হন। তা ছাড়া কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ইচ্ছা করেই অনেক দেরিতে ভেরিফিকেশন রিপোর্ট জমা দেন, যাতে করে পাসপোর্ট করতে আসা ব্যক্তিরা দালালদের সহায়তা নিতে বাধ্য হন।
মো. আজম, ঢাকা।

ভগ্ন স্বপ্নের হতাশা
দেশে যত এমবিবিএস ডাক্তার আছেন, ঠিক ততজন টেকনোলজিস্ট আছেন। এত সংখ্যক টেকনোলজিস্ট থাকা সত্তে¡ও এই শ্রেণির লোকদের কোনো উন্নয়ন নেই। নেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, কাজ করার তেমন কোনো ক্ষেত্র। ডেন্টাল টেকনোলজিস্টদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। প্যারামেডিকেলের ছাত্ররা হতাশায় বেশি ভোগে। ২০০৮ সালের পর থেকে সরকারি কোনো সার্কুলার নেই। হতাশায় ভোগার অনেক কারণের প্রধান দুটি হলো ১. এখানে বেশির ভাগ ছাত্র চিকিৎসক হওয়ার জন্য আসে, ২. পড়াশোনায় আগ্রহী ছাত্ররা তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পড়ার সুযোগ পায় না এবং তিন বছরের কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার পর পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যায়।
এতে মূল্যবান সময় ও সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। তাই এই ছাত্রদের ক্যারিয়ার পথ দেখাতে হবে।
আশিকুর রহমান, রাজশাহী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন