শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ফুলবাড়ী সীমান্তে পাচারের সময় নারী ও শিশুসহ আটক ৩৫

| প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম


কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতে পাচারের সময় নারী,পুরুষ ও শিশুসহ ৩৫ জন আটক হয়েছে। বর্তমানে তারা উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে পুলিশ ও বিজিবি’র আওতায় রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে কয়েকটা অটোবাইক যোগে অপরিচিত কিছু নারী পুরুষ ও শিশু উপজেলার বালারহাট বাজারে প্রবেশ করে। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম তাদের চ্যালেঞ্জ করেন। পরে তারা অপকটে স্বীকার করেন তারা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাবেন। এরপরে তাদেরকে আটক করে বালারহাট বাজার সংলগ্ন পেটকাটা নুরুর বাড়ীতে আটক রেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে রাত ১২টায় ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসা ও ৪৫ বিজিবি কুড়িগ্রাম বালারহাট বিওপি’র হাবিলদার ইয়াহিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আটকৃতদের মধ্যে মাসুদ মিয়া জানায়, আমাদের যিনি নিয়ে এসেছেন তার সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানিনা। তবে দেখলে চিনতে পারবো। আমরা তিনদিন থেকে সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছি কিন্তু ভারতে যেতে পারিনি নিখোঁজ একই পরিবারের দুই জনের মধ্যে শামিম ও তার স্ত্রী জেসমিনকে পাওয়া যায়নি। আটক সরওয়ার, জামাল শেখ ও আছমা বেগম জানান, তাদের পরিবারের বাবা-মা ভাইবোন দীর্ঘদিন ধরে ভারতের দিল্লীতে থাকেন। রোববার উপজেলার খালিশাকোটাল সীমান্তের ৯৩৪ আন্তর্জাতিক পিলারের নিকট দিয়ে ভারতের দিল্লীতে যাওয়ার জন্য দুই দেশের দালালের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় তাঁরা আসেন।
গত দু’দিন তারা সীমান্তের লাইনম্যান নামে পরিচিত খালিশাকোটালের মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলে আফাছ উদ্দিন, একরামুলের ছেলে শফিকুল ইসলাম শফি ও রবিন্দ্র নাথ ভেড়ার ছেলে বিঞ্চু’র আওতায় সীমান্তে অবস্থান করছিল। আটক তাজুল জানায়, তাদের প্রতিজনের কাছ থেকে পাচারকারীরা চার হাজার করে টাকা নিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফুলবাড়ী সীমান্তে নিয়ে আসে। দু’দেশের মানব পাঁচারকারীরা সুযোগ বুঝে খলিশাকোটাল ও বালাতাড়ী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় তারা বালারহাট বাজারে আটক হন। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, বর্তমানে আটককৃতা আমাদের হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। নাওডাঙ্গ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসা জানান, দু’দিন তারা কোথায় ছিলেন আমি জানিনা। এখন তারা আমার ইউনিয়র পরিষদে রয়েছে। তবে এদেরকে ভারতে পাচারের জন্য সীমান্তে আনা হয়েছে এটা সত্যি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন