শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মধু

প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মধু মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক অপূর্ব নেয়ামত। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মধুর গুণ অপরিসীম। আর্য়ুবেদ এবং ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ। তাই খাদ্য পুষ্টি ও ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ মধু বহু আগে থেকেই মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে ব্যবহার করে আসছে। মধুর প্রধান উপকরণ হচ্ছে চিনি। তবে মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজÑএ দুটি সরাসরি ফ্যাট হিসেবে জমা হয় না। মধুকে অ্যালুমিনিয়াম, বেরান, ক্রোমিয়াম, কপার, লেড, টিন, জিংক, জৈব অ্যাসিড, কতিপয় ভিটামিন, প্রোটিন, হরমোন, এসপিটাইল, কোলিন অ্যান্টিবায়েটিকস, ফাইটোসাইডস ও পানিসহ অন্যান্য উপদান রয়েছে। এছাড়াও এতে কোলেস্টেরল এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী বৈশষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও মধু হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং হৃদপেশির কার্যক্রম বাড়ায়। রক্তবর্ধক। শরীরের বিভিন্ন ধরনের নি:সরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং উষ্ণতা বাড়ায়। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মধু ¯œায়ু ও মস্তিস্কের কলা সুদৃঢ় করে। গলাব্যথা, কাশি, হাঁপানি এবং ঠা-াজনিত রোগে বিশেষ উপকারী। আলসান ও গ্যাস্ট্রিক রোগের জন্য উপকারী। মধু সেবনে বার্ধক্য দেরিতে আসে। শিশুদের দৈহিক গঠনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বাড়ায়। মাথাব্যথা ও রাতের ব্যথা দূর করাসহ দাঁত পরিস্কার ও শক্তিশালী করে। বিশ্ববাজারে মধুর বাণিজ্য এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলবÑ আসুন মৌমাছি পালন করে নিজের অর্থে সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করি এবং দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখি।
সৈয়দ সাইফুল করিম,
মিরপুর ১, ঢাকা।

রাস্তার ওপর ডিএনসিসির অফিস!
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ একদিকে বিভিন্ন এলাকার রাস্তা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছে; অন্য দিকে তারাই আবার রাস্তার জায়গা দখল করে অবৈধভাবে অফিস স্থাপন করছে! তেজগাঁও মার্কেটের বিপরীতে ফুটপাতের ওপর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি অফিস ভবন রয়েছে। সম্প্রতি রাস্তার অর্ধাংশ দখল করে এই ভবনটির বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। যে সংস্থার দায়িত্ব রাস্তা ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা তারাই যদি রাস্তা দখল করে অফিসের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে তবে এর চেয়ে স্ববিরোধী কাজ আর কী হতে পারে? উল্লিখিত অফিস ভবনটি অবিলম্বে অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে রাস্তা দখলমুক্ত করার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আলী হায়দার,
পল্লবী ঢাকা

রাজস্ব খাতভুক্ত করুন
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের অধীন উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির (ইউসিসিএ) ভাগ্যাহত কর্মচারীদের ভাগ্যে কখনো টাইম স্কেল, সিকেলশন গ্রেড তো দূরের কথা, বিগত বিভিন্ন সময়ে ঘোষিত স্কেলের বেতন ভাতাও বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তো আরও দূরের ব্যাপার। এমনিতেই বেতনভাতা অনিশ্চিত, মাসের পর মাস বছরের পর বছর বিনা বেতনে অর্ধ বেতনে দিন কাটছে। তার ওপর বর্তমানে নতুন জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়ন না হওয়া তাদের ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে কতটা দুঃসহ প্রভাব ফেলবে তা ভুক্তভোগী মাত্রই অনুভব করতে পারেন। মাস শেষে বেতন নিয়ে গোল বাধে। কর্মচারীদের দাবি বেতন চাই। বিআরডিবি কর্তৃপক্ষের জবাব বেতন নাই। চাই আর নাইয়ের বেড়াজালে পড়ে অনেকেই চাকরিজীবন পার করে শূন্য হাতে অবসরে গেছেন। যারা পড়ে আছেন তারা চাকরির মায়ায় সীমাহীন হতাশায় হাবুডুব খাচ্ছেন। বিআরডিবি কর্তপক্ষের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউসিসিএর কর্মচারীদের আবেদন একটিই তাদের বেতনভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্থায়ী উৎস হিসেবে বিআরডিবির রাজস্ব খাতভুক্ত করে নেয়া। যুগ যুগ ধরে অবহেলিত উপেক্ষতি এসব কর্মচারীর বাঁচা-মরার সঙ্গে সম্পর্কিত ন্যায়সংগত দাবি এটি। এ আবেদন আজো বাস্তবায়ন হয়নি। জাতীয় পর্যায়ে পল্লী উন্নয়ন কার্যক্রমে ক্ষুদ্র প্রান্তিক সমবায়ী কৃষকদের সেবায় নিয়োজিত বিআরডিবি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ভুক্তভোগী ইউসিসিএ কর্মচারীদের জীবনমান রক্ষায় মানবিক সাড়া দেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নেপাল চন্দ্র সাহা
উচ্চমান হিসাব সহকারী
কসবা ইউসিসিএ লিমিটেড, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন