মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় সমীপে
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরে বাংলা নগর ঢাকা। জাতীয় চক্ষু চিকিৎসায় একমাত্র বিশেষায়িত সরকারী হাসপাতাল। সারাদেশ থেকে জটিল চক্ষু রোগীদেরকে এখানে প্রেরণ করা হয়। এ হাসপাতালটি জাতীয় চক্ষু চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। “অন্ধের ষষ্ঠি” এ হাসপাতালটিতে রোগীর সংখ্যা বর্তমানে এতোবৃদ্ধি পেয়েছে যে, এখানে সহজে চিকিৎসা পাওয়া/দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ‘শল্য চিকিৎসার জন্য’ (রেটিনা বিভাগে) কখনও কখনও ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। একদিকে ওটির সল্পতা, আবার ওটি প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া রেটিনা বিভাগের শল্য চিকিৎসা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ, সব মিলিয়ে জটিল রেটিনা রোগীরা এতে মারাত্মক বিড়ম্বনা ও মর্মান্তিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন। নিরিহ পীড়িত চক্ষুরোগীদের কষ্ট অনুভব করে ওটি সহ হাসপাতালের সক্ষমতা জরুরী ভিত্তিতে বৃদ্ধি করা দরকার। সরকার তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সক্রিয় সহায়তা ছাড়া ইহা সম্ভব নয়। শল্য চিকিৎসার জন্য দুরদুরান্ত জেলা থেকে টাকা পয়সা খরচ করে বেডিংপত্র নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে আসে। সিট না পেয়ে আবার ফেরৎ চলে যায়। এভাবে বহুবার আসার পরও ভর্তি হওয়া যায় না। এতে রোগীরা বিপুলভাবে আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতিগ্রস্থ ও হয়রানিতো হনই, তার উপর এ নিরিহ, বয়োবৃদ্ধ, অন্ধ রোগীরা এবং তাদের সাহায্যকারীরা কর্কশ ও মনমালিন্য আচরনেরও সম্মুখিন হন। পর্যাপ্ত সিটের এবং ওটির ব্যবস্থা থাকলে ভর্তি হওয়া নিয়ে এতো লাঞ্চনায় পড়তে হতোনা।আবার ফোনে জেনে যে একবারে প্রস্তুত হয়ে আসবে তারও সুযোগ নেই। রাষ্ট্্েরর সক্ষমতা বেড়েছে, এমন নিরিহ চক্ষু রোগীদের কষ্টে অভাব দেখানো বা চোখ বুঝে থাকা বা নিস্ক্রীয় থাকার সুযোগ নেই। তাই এ ব্যাপারে প্্রয়োজনীয় ও দ্রূত ব্যাবস্থা গ্রহন করতে মাননীয় স্বস্থ্যমন্ত্রী মহদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমিরুল ইসলাম সোহেল ও এম এস উল্লাহ,
৪৮/২ আর কে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ ।
দুর্ভোগ
একদিকে তীব্র যানজট, অন্যদিকে ব্যস্ত সড়কে হাঁ করে থাকা খানাখন্দ, আরেক দিকে খোঁড়াখুঁড়িÍফলে গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে যানবাহন। বর্ষণ, জলাবদ্ধতা আর উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়িতে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রায় সব সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বড় বড় গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব গর্তে গাড়ির চাকা পড়ে উল্টে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। তা ছাড়া, এসব সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে থাকছে দীর্ঘ যানজট। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন সড়কে ইট–সুরকি ফেলে তাৎক্ষণিকভাবে গর্ত ভরাটের কাজ করলেও এতে সমাধান মিলছে না।
প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার নতুন পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে। এর জন্য নগরীর অধিকাংশ সড়ক খুঁড়ে ক্ষতবিক্ষত করে রাখা হয়েছে দিনের পর দিন। এর মধ্যে নগরের মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত উড়ালসেতু নির্মাণকাজের জন্য সড়কের ৭০ শতাংশই যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সংস্থা সমন্বয় ছাড়াই এসব সড়ক সংস্কারের নামে চট্টগ্রাম নগরে কেবল দুর্ভোগই বাড়িয়ে তুলছে। মনে হয় যেন এ নগর অভিভাবকহীন।
শারমিন চৌধুরী,
চট্টগ্রাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন