শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:২২ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি
সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে একই প্রশ্নপত্র দিয়ে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্র্তির পরীক্ষা নেওয়া। এবারও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে একমত হতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করছে, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে এসব প্রতিষ্ঠানের স্বাতন্ত্র্য থাকবে না। তাই তারা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে আগ্রহী নয়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের কত অর্থ ও শ্রম ব্যয় হয়, সেটা কি তাঁরা ভেবে দেখেন না। অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী টাকার অভাবে দূরদূরান্তে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারে না। টাকার জন্য মেধাবী ছাত্রছাত্রী ভর্তি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ যদি মেডিকেল কলেজগুলোর মতো একটি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিত, তাহলে ভর্তি-ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীরা এত ভোগান্তিতে পড়ত না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষা বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা আয় করে। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হলে তারা এই অর্থ উপার্জন থেকে বঞ্চিত হবে। তাই হয়তো তারা সমন্বিত পরীক্ষা নিতে রাজি হয় না। কিন্তু এ অবস্থা আর কত দিন চলবে?
মাহফুজুর রহমান খান
জামালপুর।

 


প্রাকৃতিক দুর্যোগ
পৃথিবীতে এমন দেশ নেই, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থামানোর ক্ষমতা মানুষের নেই, কিন্তু সাবধান তো হওয়া যায়। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হতে যাচ্ছে। এখানে প্রতিবছর কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দেয়। কিন্তু আমাদের সচেতনতা কোথায়? আমাদের মনোভাব হলো আসুক বিপদ তখন দেখব। কিন্তু ততক্ষণে আমাদের সব শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ সড়ক, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মহাসড়কের অবস্থা খুবই করুণ। ফলে লোকসান পোহাতে হচ্ছে সরকারকে, জনগণকে। আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকাতে পারব না, কিন্তু ক্ষতির পরিমাণ তো কমাতে পারব। পাহাড় ধসের কারণে কত মানুষ মারা যায়, তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা সেখানে বসবাস করছে। পাহাড়ে বসবাস বন্ধ করার উদ্যোগ নেই।
বর্তমানে সারা দেশ বন্যায় ভাসছে। যে বাঁধ ও রাস্তাঘাট নির্মাণ বা সংস্কার করা হয়, সেগুলো যদি শুকনো মৌসুমে করা হয় এবং কঠোর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা যায়, তবে বন্যার সময় ক্ষতির পরিমাণ কম হয়। বড় বড় প্রকল্পগুলো হুট করে হয় না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেখানে বন্যাজনিত ঝুঁকি মূল্যায়ন করা হয় না। এটা দুঃখজনক।
সিদ্দিকা তরু
গাইবান্ধা।

 


বন্যায় সতর্কতা
বন্যায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর। উত্তরাঞ্চলের প্রায় কয়েক লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে, সেই সঙ্গে ফসলি জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। ফলেগৃহহীন মানুষের খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। মানুষের খাদ্যের অভাবের পাশাপাশি চিকিৎসার অভাবও লক্ষণীয়। মানুষগুলো আশ্রয়হীন হয়ে পড়ার কারণে গবাদিপশুপাখির অবস্থা আরও খারাপ। সুপেয় পানির অভাবে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। সঙ্গে চর্মরোগও হতে পারে। বন্যার পানি নামার সময় এসব রোগবালাই বেশি হবে। তাই এখনই আমাদের সতর্ক হতে হবে।
এম মিনহাজ উদ্দিন
চন্দনবাইশা, বগুড়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন