বন্যায় সতর্কতা
বন্যায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর। উত্তরাঞ্চলের প্রায় কয়েক লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে, সেই সঙ্গে ফসলি জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। ফলে গৃহহীন মানুষের খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। মানুষের খাদ্যের অভাবের পাশাপাশি চিকিৎসার অভাবও লক্ষণীয়। মানুষগুলো আশ্রয়হীন হয়ে পড়ার কারণে গবাদি পশুপাখির অবস্থা আরও খারাপ। সুপেয় পানির অভাবে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। সঙ্গে চর্মরোগও হতে পারে। বন্যার পানি নামার সময় এসব রোগবালাই বেশি হবে। তাই এখনই আমাদের সতর্ক হতে হবে।
এম মিনহাজ উদ্দিন
চন্দনবাইশা, বগুড়া।
শিয়াল নিধন
প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় বৃহত্তর চলনবিলে হুক্কা হুয়া ডাক শোনা যায়। আতঙ্কিত হয়ে একসময় আমরাও নানা-নানি কিংবা দাদা-দাদির কাছে জানতে চাইতাম, এভাবে কারা ডাকে? দেখার অনেক কৌতূহল জাগত। কিন্তু তাদের দেখা মিলত না। কারণ, এরা দিনের বেলায় বেশি ঘোরাফেরা করে না। ঝোপঝাড়েই এদের বসবাস। এখনো অনেক গ্রাম্য এলাকায় শিয়াল মামার গল্প শুনিয়ে বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানো হয়। যদিও কালের বিবর্তনে এই শিয়াল এখন বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে চলনবিলে বন্যার কারণে ঝোপঝাড় ডুবে গেছে। নিরুপায় শিয়ালরা গ্রামের উঁচু রাস্তায় গর্ত করে অথবা বড় গাছের আড়ালে দল বেঁধে আশ্রয় নিয়েছে। লোকালয়ের লোকজন তা টের পেয়ে নির্বিচারে শিয়াল নিধনে মেতে উঠেছে।
বিবেকের কাছে প্রশ্ন রইল, এই প্রাণীকে হত্যার অর্থ কী? এ যেন পরিবেশ ধ্বংসের আলামত। পরিবেশ রক্ষার্থে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এভাবে শিয়াল নিধন করলে পরিবেশ থেকে শিয়াল বিলুপ্ত হয়ে যাবে, পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়বে। তাই শিয়াল নিধনসহ এ ধরনের নাশকতা সৃষ্টিকারী অপরাধীদের চিহ্নিত করে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করার জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহŸান করছি।
মোহাম্মদ অংকন
ঢাকা।
ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
রাজধানী ঢাকাকে এখন শুধু মসজিদ বা রিকশার শহর নয়, বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহরও বলা যেতে পারে। ঢাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো প্রতিটি স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অগণিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনই অগণিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্ম হচ্ছে। শিক্ষার মান খারাপ হওয়ার পেছনে এই অপরিকল্পিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বেশি দায়ী। ঢাকায় কয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে তার সঠিক তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় দিতে পারবে কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয় একেবারে অপরিকল্পিতভাবে। অনেকে যোগ্যতা ছাড়াই শিক্ষক হচ্ছে। শিক্ষার মান কমে যাওয়ার এটাও অন্যতম কারণ। এরাই আবার ছাত্রদের কাছ থেকে প্রচুর টিউশন ফি নিচ্ছে। যাহোক, সরকারের প্রতি অনুরোধ, প্রতিটি জেলা-উপজেলায় চাহিদা ও প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। কুশিক্ষা নয়, আমরা সুশিক্ষা চাই।
মো. নিজাম গাজী
ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন