শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খেলার মাঠে মেলা কেন?
খেলা এবং মেলা দুটিই মানুষের পছন্দের মাধ্যম। খেলা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য, মেলা তেমন বিনোদনের জন্য। খেলা শিশুদের বেড়ে ওঠার অন্যতম মাধ্যম। খেলা মানসিক ও শারিরীক বিকাশ ঘটায়। এজন্য মাঠের প্রতিবন্ধকতার প্রশ্নই আসে না। খেলা বন্ধ করলে শিশু ও যুবকদের শারীরিক বিকাশে আঘাত আসে। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের খেলোয়াড়। যারা বিশ্ব কাপিয়ে বাংলাদেশকে উচু স্থানে নিয়ে যাবে। তাদের প্রতি অন্যায় করার প্রশ্নই আসে না। এজন্য মাঠে মেলা বসানো যাবে না। মাঠে মেলা বসানোর অনুমতি দেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে প্রসাশনকে কঠোর হতে হবে। তাই বলে মেলাকে অবহেলা করছি না। মেলা বসবে শুধু একদিনের জন্য হলে, দীর্ঘদিনের জন্য হলে নয়। তবে দীর্ঘদিনের জন্য মেলা বসাতে চাইলে পরিত্যক্ত জায়গাকে পরিচ্ছন্ন করে আয়োজন করতে হবে। অনেকের মন খারাপ হয়ে যায়। তাই বলছি খেলার মাঠে মেলা কেন?
লেখক, মো: আজিনুর রহমান লিমন, গ্রাম: আছানধনী মিয়া পাড়া, ডাক: চাপানী হাট, উপ: ডিমলা, জেলা: নীলফামারী।

বিদ্যুৎবিভ্রাট নিরসনে জনমত গঠন করা দরকার
বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎবিভ্রাট আঞ্চলিক ও জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এর নিরসনকল্পে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে লিখেও আশু কোনো প্রতিকার লক্ষ্য করা যায় না। ঝড় নেই বৃষ্টি নেই, বলা নেই, কওয়া নেই, রাতবিরাতে শুধু শুধু বিদ্যুৎবিভ্রাট আর বিদ্যুৎবিভ্রাট। এহেন অবস্থায় দেশের জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎবিভ্রাট নিরসনকল্পে তাই এখন শক্ত জনমত গঠন করা দরকার। জনমত গঠন ও পরিচালনায় একটি স্বতন্ত্র, নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিমুলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। কোনো কারণ ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখলে আন্দোলন করতে হবে। কেন কোনো কারণ ছাড়াই পুন:পুন বিদ্যুৎবিভ্রাট তা খতিয়ে দেখতে হবে। বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি, অবৈধ সংযোগ, বিদ্যুৎ পাচার, পুল ও তার সংযোগ স্থাপনে দীর্ঘসূত্রীতা, অতিরিক্ত বিল আদায় বন্ধ করাসহ নানা অসংগতিমুলক কাজ রহিতকরণ ছাড়া বিদ্যুৎবিভ্রাট নিরসন করা যাবে না। প্রায়ই শোনা যায়, জোনাল অফিসে বিদ্যুৎবিভ্রাট ও অতিরিক্ত বিল আদায় সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে গেলে সাধারণ গ্রাহককে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা গালিগালাজ করে। এ ধরনের আচরণ ও গ্রাহক হয়রানীও রোধ করতে হবে। তথ্য ও পরিসংখ্যান বলে, দেশে চাহিদার তুলনায় প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। কিন্তু থেকে যায় প্রশ্ন, তবু কেন ঘনঘন বিদ্যুৎবিভ্রাট? এর কি কোনো প্রতিকার নেই?
লেখক: মোহাম্মদ অংকন, শিক্ষার্থী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ঢাকা।

শিক্ষক নিয়োগ
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা শেষ করে বের হয়। বাবা মা আশায় বুক বেধে বসে থাকে, ছেলে /মেয়ে ভাল চাকরি করবে।হয়তো বা বৃদ্ধ বয়সে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করবে।পরিক্ষায় পাশ করা সহজ কিন্তু চাকরি নামক সোনার হরিণটা ধরতে অনেক কঠিক কাজ। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ২৫/০৭/১৭ইং তারিখে চতুর্দশ শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরিক্ষা নিয়েছে। চতুর্দশ শিক্ষক নিবন্ধন পরিক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে ‘উপজেলাভিত্তিক’ মেধাতালিকা করা হবে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে কোন উপজেলায় কোন বিষয়ের কী পরিমাণ শূন্য বা ফাঁকা পদ আছে, তা উল্লেখ নেই। ফলে লাখ লাখ পরীক্ষার্থী মনে সংশয় ও হতাশা নিয়ে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আবেদন করছে। কেননা পরীক্ষার্থীরা জানেন না, আদৌ তাঁর উপজেলায় শূন্যপদ আছে কি না। বেকার পরীক্ষার্থীর সঙ্গে এভাবে সময় ও অর্থ নিয়ে খেলা করার কী মানে! এনটিআরসিএ থেকে শূন্য পদগুলোর সংখ্যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সময় জানতে পারি না?
মাহফুজুর রহমান খান
চিনিতোলা, মেলান্দহ, জামালপুর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন