ট্যাক্সি সার্ভিস
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ঢাকা মহানগরে কার্যকর ইয়েলো ক্যাব বা ট্যাক্সি সার্ভিস নেই। স্বচ্ছন্দে যাতায়াতের জন্য নগরবাসীকে সিএনজি নামে পরিচিত থ্রি হুইলারের ওপর নির্ভর করতে হয়। এই নির্ভরতার কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরাও যাত্রীদের কাছ থেকে তিন–চার গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছেন; যদিও তাঁদের মিটারে ভাড়া আদায়ের কথা। জানা গেছে, এখন একটি সিএনজি নামাতে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়; যদিও একটি সিএনজির দাম প্রায় চার লাখ টাকা! যাত্রীদের কাছ থেকে তিন থেকে চার গুণ বেশি ভাড়া আদায় করে এই অতিরিক্ত খরচ উশুল করা হয়। সরকার জঙ্গির মতো কঠিন সমস্যার সমাধান করতে সমর্থ হলেও সিএনজি মালিক/চালকদের দৌরাত্ম্য কেন বন্ধ করতে পারছে না; সেটাই প্রশ্ন। এ ছাড়া সিএনজি নামক বাহনটি আরামদায়ক নয়। এই অবস্থায় শহরে যদি বিপুল হারে গণ ও ব্যক্তিগত ভাড়ায় চালিত ট্যাক্সি নামানো হয় এবং সেগুলো মিটারে চলতে বাধ্য করা যায়, তাহলে মানুষের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হবে।
মো. আলী হায়দার
পল্লবী, ঢাকা।
আত্মহত্যা
সেদিন অফিসে যাওয়ার সময় পথে এক ছোট্ট শিশু ও তার মাকে একসঙ্গে গাড়িতে বসে থাকতে দেখলাম। শিশুটির ব্যাগে অনেক বই। শিশু ইজিবাইকের সিটে বসে তখনো ঘুমাচ্ছিল। মা বারবার ডাকছে কিন্তু শিশুটি ঘুম থেকে যেন উঠতেই চাইছে না। মা বলছেন, এভাবে ঘুমালে তো তুমি পড়াশোনা করতেই পারবে না! অমুক তোমার চেয়ে ভালো করবে, তুমি ক্লাসে লজ্জা পাবে। কী করবে তখন! শিশুটির বয়স সাড়ে তিন বছর জেনে খুব অবাক হলাম ও বললাম, এর তো ঠিকমতো স্কুলে যাওয়ার বয়সই হয়নি। কিন্তু আপনি যেভাবে ওকে বলছেন, তাতে তো ও একসময় হতাশ হয়ে পড়বে। শিশুটির মা আমাকে বললেন, এখন অনেক প্রতিযোগিতা। ছোটবেলা থেকেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করলে তাঁর শিশু নাকি জ্ঞানবুদ্ধিহীন হয়ে পড়বে! একসময় এই শিশুটি বড় হবে। পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে এবং এই মা ও বাবা এভাবেই বলবেন, তোমাকে জিপিএ–৫ পেতে হবে। না পেলেই বলবে, তোমার চেয়ে সে ভালো অথবা অন্য আরেকজন ভালো। শিশুটি একসময় অসহায় বোধ করতে থাকবে। ফলাফল ভালো না হলে সে পালাতে চাইবে। এই পলায়ন প্রবণতাই আত্মহত্যার বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ রকম কিন্তু হচ্ছেও।
সাঈদ চৌধুরী
গাজীপুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন