ফেনীর সোনাগাজীর কাজীর হাটে দিন-দুপুরে স্বামীকে বেঁধে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ করে তার স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছে যুবলীগ ক্যাডাররা। দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা ধরে জিম্মি করে ধর্ষণ করার পর স্থানীয় ইউপি মেম্বারের সহযোগিতায় আহত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার রাতে সোনাগাজী থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বামী-স্ত্রী। পুলিশ ও নির্যাতিতরা জানায়, শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালীর বসুরহাট এলাকার এক প্রবাসী যুবক তার নতুন স্ত্রীকে নিয়ে পাশের সোনাগাজী উপজেলার ছোট ফেনী নদীর কাজীরহাট ¯øুইচ গেইট এলাকায় নৌকা ভ্রমণে আসে। এ সময় স্থানীয় যুবলীগের কর্মীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের জামালের ঘরে স্বামীকে বেঁধে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ করে। এ সময় এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার,নগদ ৬ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। বিকাল ৩টায় স্থানীয়রা টের পেয়ে ইউপি মেম্বার টিপনকে বিষয়টি জানালে তার সহযোগিতায় স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়। মেম্বার টিপন বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে আহত স্বামীর কাছে ঘটনা শুনে তাদের সোনাগাজী থানায় পাঠিয়ে দেন। রাতে স্বামী বাদী হয়ে রাসেল ও এমরান নামে ২ যুবলীগ ক্যাডারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। লোকলজ্জার কারণে ওই স্বামী তার স্ত্রীর ধর্ষণের বিষয়টি এড়িয়ে যান বলে জানা গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভুট্টু জানান, রাসেল ও এমরান এরই মধ্যে এ এলাকায় ঘুরতে আসা অনেক নারীর শ্লীলতাহানিসহ নানা ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা যুবলীগের এক শীর্ষ নেতার কারণে তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। সোনাগাজী থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান,ধর্ষণের বিষয়ে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন