খাদ্য নিরাপত্তা
পত্রিকার খবরে জানা যায়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল। দেশের জন্য এটা উদ্বেগজনক। প্রকৃত খাদ্য নিরাপত্তা গড়তে তুলতে হলে দেশে খাদ্যের মজুত ৩০ লাখ মেট্রিক টন হওয়া উচিত। দেশে যে পরিমাণ খাদ্যগুদাম আছে, সেগুলোতে ৩০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রাখার আশা করা যায় না। সুতরাং, দেশে আরও খাদ্যগুদাম নির্মাণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দেশের উন্নতি আশা করা যায় না। খাদ্যের বিশাল মজুত থাকলে সময়-সময় খাদ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মদ্রা অর্জন করা যাবে, যা দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করবে। দেশের দুর্বল খাদ্য নিরাপত্তাব্যবস্থা মোটেই জনগণের কাম্য নয়।
ওয়াই বি চৌহান, ঢাকা।
খাল দখল ও জলাবদ্ধতা
রাজধানী ঢাকায় বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর মূল কারণ ড্রেন, ম্যানহোল ইত্যাদির মাধ্যমে অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হতে না পারা। যে স্থানে পানি প্রবাহিত হবে, সেই খালগুলো দখলের কারণে সরম্ন হয়ে গেছে। ফলে পানি নামতে পারছে না।
লালবাগের বাগানবাড়ির খালটি দখল হয়ে ভরাট হয়ে গেছে। এই ভরাটের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন শতভাগ দায়ী। কারণ, তারা এই খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলেছে। আর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও ‘কাউয়ারা’ বিভিন্ন গ্যারেজ, কারখানা, দোকান বসিয়ে মাসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই খালের পাশে ৩০টির বেশি রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে। মূলত এসব কার্যালয় থেকে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। একসময় এই খাল দিয়ে বাড়ি লঞ্চ ও নৌকা চলত। যদি এই খাল দখলমুক্ত ও পুনরায় খনন করা হয়, তবে পুরান ঢাকার মানুষের এবং কামরাঙ্গীরচর বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতায় পড়তে হবে না।
মো. নাসির উদ্দিন, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ঢাকা।
অবহেলিত কুন্ডি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র
রংপুর জেলার ৪ নম্বর সদ্যপুস্করণী ইউনিয়ন ব্রিটিশ আমলে কুন্ডি পরগনা নামে পরিচিত ছিল। স্থানীয় জমিদারেরা পরগনার নাম অনুসারে দরিদ্র প্রজাদের স্বার্থে ০ দশমিক ৭৩ একর জমিতে কুন্ডি দাতব্য চিকিত্সালয় স্থাপন করেছিলেন। শত বছর ধরে চিকিৎসাকেন্দ্রটি স্থানীয় লোকদের চিকিৎসা দিয়ে এলেও দীর্ঘদিন ধরে এটি কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলার শিকার। উপযুক্ত তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এর অবস্থা শোচনীয়। বৃষ্টি হলেই এতে পানি ঢোকে। চিকিৎসাকেন্দ্রের আশপাশ অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর। চিকিৎসার পরিবেশ নেই বললেই চলে।
অথচ এই চিকিৎসাকেন্দ্রটি এই এলাকার গরিব, অসহায়, দুস্থ ও পীড়িত মানুষের দ্বীপশিখা। কেননা, এখান থেকে উত্তর-পূর্ব কোণে রংপুর মেডিকেল কলেজের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার, পশ্চিমে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার, দক্ষিণে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। এত দূরে গিয়ে এলাকার মানুষের চিকিৎসা নেওয়া দুষ্কর ও ব্যয়বহুল।
প্রতিষ্ঠানটিতে এখন একজন এমবিবিএস ডাক্তার, একজন উপসহকারী চিকিৎসক ও দুজন স্টাফ নিয়োজিত আছেন। এই লোকবল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দুজন চিকিত্সক রংপুর থেকে এসে অফিস সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৫০ জন রোগীর ব্যবস্থাপত্র ও বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহ করেন। তাঁদের আবাসিক সুবিধা না থাকায় অফিস সময়ের পর অবশিষ্ট ১৬ ঘণ্টা প্রসূতিসেবা, পানিতে পড়া রোগী, দুর্ঘটনাকবলিত রোগীরা প্রতিনিয়ত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, চিকিৎসা মানুষের মৌলিক প্রয়োজনের একটি। গ্রামের মানুষ যদি এটা থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে তাদের দুর্গতির শেষ থাকে না। এমনিতেই তাদের আয় শহরের মানুষের মতো নয়। তার ওপর যদি স্বাস্থ্যসেবায়ও তারা পিছিয়ে থাকে, তাহলে গ্রামশহরের বিভেদ আরও বাড়বে, কমবে না। অথচ আমাদের সংবিধানে গ্রাম শহরের ব্যবধান কমানোর কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কুন্ডি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ১০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তর করা হোক।
মো. শওকত আলী, কেশবপুর, পালিচড়াহাট, রংপুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন