ক্ষমতার দাপট
একসময় গ্রামগঞ্জে সমঝোতা বলে একটি জিনিস প্রচলিত ছিল। সবাই সম্মিলিতভাবে সমাজসেবামূলক যেকোনো কাজকর্ম করত। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় তা বিলুপ্তির পথে, যার কারণে গ্রামগঞ্জে দ্বন্দ্ব–সংঘাত সব সময় লেগেই থাকে। এখন একটি ক্ষুদ্র বিষয়কে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে বিচার করা হয়। অযথা ক্ষমতার দাপট দেখানো হয়, যেখানে এর দরকারই নেই। ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে যুবকেরা প্রায়ই বলে, ‘আমি অমুক দলের নেতা, আমি অমুক পদপ্রাপ্ত, আমার বাবা অমুক দল করে’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
এ ধরনের উক্তি সংঘাতকে মীমাংসার পরিবর্তে আরও তীব্র করে তোলে, ছোটখাটো ব্যাপার আদালত পর্যন্ত চলে যায়। গ্রামের মাথারাও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনেক সময় নিরীহ মানুষদের জিম্মি করে রাখে। রাগ ও ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে অনেকে খুন ও হত্যায় জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মীদের ক্ষমতার দাপটের কারণে শুধু দ্বন্দ্ব ও সংঘাতই সৃষ্টি হচ্ছে না, সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই সমাজে যারা ক্ষমতার দাপট নিয়ে চলে, তাদের দলীয়ভাবে শাসন করতে হবে, সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে হবে, মানুষ হত্যার রাজনীতি পরিত্যাগ করা শিখতে হবে। রাজনীতি করা মানুষদের এ দাপট দেশ ও দশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
মোহাম্মদ অঙ্কন
ঢাকা।
রংপুরে লোডশেডিংয়ের অবসান চাই
দেশের সপ্তম সিটি করপোরেশন হিসেবে রংপুরে বিভিন্ন দিক থেকে কিছু উন্নয়ন হলেও পূর্ণতা পায়নি বিদ্যুত্। রংপুর সিটিতে প্রায় সময়ই বিদ্যুত্ পাওয়া যায় না। গরমে মানবজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। দিনের কথা বাদ দিয়ে যদি রাতের কথাই বলি, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত যে সময়টা ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করবে, মায়েরা রান্না করবে, যে সময় কর্মজীবীরা একটু আরাম-আয়েশ করবে, ঠিক সে সময়টাই বিদ্যুত্ পাওয়া যায় না। সামনে আসছে জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা। এসবে হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে, অথচ বিদ্যুত্ না থাকায় তাদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রায়শই বলা হয়Íদেশে নাকি লোডশেডিং নেই। কিন্তু রংপুরের বাস্তবতা হলো, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্ধেক সময়ই বিদ্যুত্ পাওয়া যায় না। রংপুরবাসীর এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হাসিব মাহমুদ মোশাররফ
উত্তম হাজিরহাট, মহানগর, রংপুর
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন