শিক্ষার সুযোগ
আমাদের দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ আর্থিক দুর্বলতা, নারী শিক্ষার্থীদের বিয়ে, অসুস্থতা, কর্মে যোগদান, দু-এক বিষয়ে ফেল, মান উন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি কারণে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে অনেক মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষার্থীও রয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য এদের একমাত্র ভরসা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত দেশের কলেজগুলো।
কিন্তু এ বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসব কলেজে তিন বছর আগের মাধ্যমিক ও এক বছর আগের উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রতিবছর হাজার হাজার এবং কয়েক বছরের বিচারে লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে পত্রিকায় এসেছে, এবারও অধিকাংশ কলেজের আসন পূর্ণ হবে না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অদূরদর্শী ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবার হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেলে মাধ্যমিক পর্যায়েও শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাবে। ফলে সমাজে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এই অবস্থায় আমাদের সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা অথবা আমাদের ভিন্ন সুযোগ দেওয়া হোক।
শামসুল আরেফিন চৌধুরী, ঢাকা।
শিক্ষার্থীদের হতাশা ও অনিশ্চিত পথচলা
বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ২-১-২০১৭ তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের অধীনে শুরু হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা শেষে হঠাৎ করেই ঢাকার সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলোতে ভাইভা পরীক্ষা ২৫-৩-২০১৭ তারিখে শুরু হয়ে এপ্রিলেই শেষ হয়ে যায়। সর্বশেষ অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয় ১৪-৫-২০১৭ তারিখে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলোতে মাস্টার্স শেষ পরের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৪-৯-২০১৭ তারিখ থেকে। এ অবস্থায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি, ফলে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার আবেদন ও অংশগ্রহণ করতে পারছে না। সর্বশেষ বিভিন্ন ব্যাংক ও শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় তারা অংশগ্রহণ করতে পারেনি। ফলে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তানের আশা এবং স্বপ্ন এখন কালের গ্রোতে হারিয়ে যেতে বসেছে। তাদের ফলাফল কবে প্রকাশিত হবে তারা আদৌ জানে না। অথচ পরীক্ষা শেষ হয়েছে আট মাস হলো। অভিভাবক ও দুই লাখ শিক্ষার্থী হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।
মো. খাইরুল ইসলাম
জয়কৃষ্ণপুর, পাংশা, রাজবাড়ি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন