জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান চাই
বৃষ্টি এখন ঢাকা শহরের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘণ্টা দুয়েকের বৃষ্টিতে ঢাকার বেশিরভাগ এলাকা হাঁটু সমান ডুবে যায়। জলাবদ্ধতায় রাস্তায়-রাস্তায় তৈরি হয় বড় বড় গর্ত। রাস্তার পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে ফুটপাতও তলিয়ে যেতে দেখা যায়। এর ফলে পথচারীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। অনেক সময় ম্যানহোল খোলা থাকায় পথচারীদের পাশাপাশি রিকশাযাত্রীদেরও বিপদে পড়তে দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বৃষ্টি মৌসুমে রাস্তায় অতিরিক্ত খোঁড়াখুঁড়ির কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয় বলে অনেকের ধারণা। তাছাড়া শহরের আশপাশের খাল-বিল ভরাট করে অপরিকল্পিত নগরায়নকেও জলাবদ্ধতার জন্য অনেকে দায়ী করে থাকেন। কারণ যাই হোক, বৃষ্টিতে তৈরি জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমস্যা নিরসনে ঢাকার কোনো সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। ফলে জনভোগান্তি যেন আগের সব সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকে। সীমাহীন জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এটাই কাম্য।
রাফি রেদোয়ান, মালিবাগ, ঢাকা।
কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘসহ বৈশ্বিক চাপ সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ১৯৮২ সালে তথাকথিত ‘নিউ সিটিজেন ল’ বা নতুন নাগরিক আইন প্রণয়ন করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। রোহিঙ্গারা নিজ ভূমে পরবাসী হয়ে পড়ে। আজ বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক দায়িত্ব পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তাদের প্রতি দয়ার হাত বাড়িয়েছেন, তা অব্যাহত রাখতে হবে। তাদের নিরাপত্তাসহ মৌলিক চাহিদা পূরণে সারা দেশের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ যেভাবে এগিয়ে আসছে, তা নজিরবিহীন। অবশ্যই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। আর সে জন্য আমাদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিসহ কূটনৈতিক চাপও অব্যাহত রাখতে হবে।
মো. আব্দুল হান্নান
মানপুর, লাখাই, হবিগঞ্জ।
চালের সংকট দূর করুন
কিছুদিন হলো দেশে উৎপাদিত চাল চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। কিন্তু এ বছর চালের উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। এর পরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও চালকল মালিক চাল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। ফলে চালের দাম হু হু করে বাড়ছে। গত কয়েক দিনে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে আট থেকে ৯ টাকা। এ মূল্যবৃদ্ধিতে হিমশিম খাচ্ছে দিনমজুর থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। সরকার যদি এখনই এ মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে না পারে, তাহলে দরিদ্র মানুষের পক্ষে জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে চালের মূল্য নির্ধারণ, অবৈধভাবে চাল মজুদ এবং চালের বাজারের কৃত্রিম সংকট দূরীকরণে সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আমির হামজা
বগুড়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন