স্কুলে কোচিং বাণিজ্য
কেজি স্কুলসহ প্রায় প্রতিটি স্কুলে এখন কোচিং বাণিজ্য দেখা যায়। স্কুলে এখন আলাদাভাবে কোচিং ক্লাস নেওয়া হয়, কেন? এর উত্তরে শিক্ষকরা বলবেন, ভালোভাবে পাঠদানের জন্য। তাহলে ক্লাসে কি ভালোভাবে পাঠদান করা হয় না, নাকি এখানে অর্থের ব্যাপারটি মূল? ক্লাসে ভালোভাবে পড়ানো হলে কোচিংয়ের প্রয়োজন হয় না। কোচিংয়ে শিক্ষকরা যেভাবে পড়ান সেভাবে ক্লাসে পড়ালে অসুবিধা কোথায়? মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, স্কুলে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হবে। আমরা এই কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যথাযথ পদক্ষেপ চাই।
মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির
দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, চট্টগ্রাম।
মাতৃবাগান রক্ষা করুন
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও প্যারেড গ্রাউন্ড সংলগ্ন জার্মপ্লাজম সেন্টারের মাতৃবাগান নিধন করে মেট্টোরেল সাইট অফিস স্থাপন করা হচ্ছে। এতে প্রায় ৭৩৯টি মাতৃবৃক্ষ ধ্বংসের মুখে রয়েছে। এটি ১৯৯০ সালে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে যাত্রা শুরু করে। প্রায় ২৭ বছরের পুরনো এই বাগানে দেশি বিদেশি মোট ৬৭ রকম ফলের ২৬৫টি প্রজাতির ৭ শতাধিক গাছ আছে। কিন্তু একটি অফিস তৈরি করতে এমন মনোরম ফলদ বৃক্ষের বাগানকে ধ্বংস করা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এক কথায় এটি নিষ্ঠুর ও পরিবেশবিরোধী পদক্ষেপ। এভাবে বৃক্ষের জার্মপ্লাজম নষ্ট করা মানে দেশকে মরুভূমিতে রূপান্তর করার নীল নকশা তৈরি করা। মূলত যারা দেশের ভালো না চায়, তারাই এধরনের কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। এতে দেশের সুনাম নষ্ট হয়। একজন পরিবেশবাদী ও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ হয়ে আমি চরমভাবে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যেহেতু পাশে অনেক ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেহেতু সেখানে মেট্রোরেল প্রকল্পের অফিসের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হোক। মাতৃবাগানটি জাতীয় অর্থনীতি, গবেষণা, খাদ্য-পুষ্টি ও দেশ-নগরীর পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকার কথা চিন্তা করে তা ধ্বংসের সিদ্ধান্ত বন্ধ করা হোক।
মোহাম্মদ অংকন
শিক্ষার্থী, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন