ঢাকায়ও তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রিতে ঘূর্ণিঝড়ের আলামত!
আঠারো আশ্বিনে শরৎ ঋতুর শেষ ভাগে এসে হালকা শীতের আমেজ থাকবে এটাই ‘স্বাভাবিক আবহাওয়া’। কিন্তু অসহনীয় ভ্যাপসা ও ঘামঝরা গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আর উধাও হয়ে গেছে আবহাওয়ার সেই ‘স্বাভাবিকতা’। গ্রীস্মের গরমকে হার মানাচ্ছে শরতের তাপদাহ। গতকাল (মঙ্গলবার) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় এ সময়ের অস্বাভাবিক তাপদাহে মানুষ কাহিল হয়ে পড়ে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইল ও যশোরে ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল সর্বোচ্চ ৩৫ ও সর্বনি¤œ ২৬ ডিগ্রি সে.। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রাতের সর্বনি¤œ তাপমাত্রাও।
সেই সাথে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও বিভ্রাটে সারাদেশে জনজীবনে দুর্ভোগ আরও বেশিই হচ্ছে। গতকাল দুয়েকটি স্থানে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও দেশের সর্বত্র ছিল কড়া রোদের অসহ্য দহন। আবহাওয়া বিভাগ সূত্র জানায়, পশ্চিমা উষ্ণ লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশের কারণে গরমের দাপট বেড়ে গেছে। এমনকি আজও (বুধবার) সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। সমুদ্র উপকূলবাসী আবহাওয়ার এহেন মতিগতিকে বঙ্গোপসাগরে নি¤œচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব-আলামত হিসেবে দেখছেন। অবশ্য গতকাল পর্যন্ত সমুদ্র বন্দরে কোন সতর্ক সঙ্কেত ছিল না।
এদিকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বা বলয় ভারতের উত্তর-প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরবর্তী ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন