শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গৌরীপুর বাজার যানজট মুক্ত হোক

কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজার অত্যন্ত ব্যাস্ততম একটি জায়গা। ব্যবসায়িক কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় মানুষের যাতায়াত অনেক বেশি। তিতাসের দুঃখ নামে এতদিন গৌরীপুর গোমতী বেইলি ব্রিজ ছিল। সেই ব্রিজ ছিল যানজটের মূল কারণ। নতুন ব্রিজ ছাড়া গৌরীপুরের যানজটের সমাধান হবে না এমন চিন্তাই ছিল জনমনে। কিন্তু নতুন করে ব্রিজ হওয়ার পরেও যানজটের সমাধান হচ্ছে না। বিশেষ করে গৌরীপুরের হাটবার রবিবারের দিন। ব্রিজের দক্ষিণ দিকে কাঠ বাজার বসায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে মাত্রারিক্তভাবে। এছাড়া গৌরীপুর বাজারের যানজট প্রতিদিন লেগেই থাকে। রাস্তায় সিএনজিগুলোর স্টপিজ হওয়ায় যানজট থেকে রেহাই পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মোহাম্মদ রহমান
গৌরীপুর বাজার, কুমিল্লা।

লোডশেডিংয়ের সিটি রংপুর
দেশের সপ্তম সিটি কর্পোরেশন হিসেবে উন্নীত হওয়ার পর রংপুরে বিভিন্ন দিক থেকে কিছু উন্নয়ন হলেও উন্নতি হয়নি বিদ্যুৎ সর্বরাহের ক্ষেত্রে। রংপুর সিটিতে প্রায় সময়ই বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনের বেলায় তো লোডশেডিং নিয়মিত ঘটনাই, উপরন্তু সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত যে সময়টা ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করবে, মায়েরা রান্না করবে, যে সময় পরিশ্রমী মানুষরা বাসায় ফিরে একটু আরাম আয়েশ করবে, ঠিক সে সময়টাতেই বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। সামনে আসছে জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা। এসব পরীক্ষায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে, বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের লেখা পড়ায় প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। বেশিরভাগ সময় শিক্ষার্থীরা অলস সময় পার করছে। এতে লেখাপড়ায় ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে।
সরকারের উচ্চ মহল থেকে বার বার বলা হয়, দেশে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, এখন আর লোডশেডিং নেই। কিন্তু হঠাৎ করে কী এমন ঘটনা ঘটলো যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে না। রংপুরবাসীর জীবনে এ সমস্যা এখন প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রæত এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হাসিব মাহমুদ মোশাররফ
উওম হাজিরহাট, রংপুর।


অনিশ্চিত পথচলা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের চূডান্ত পরীক্ষা গত ২/১/১৭ তারিখে শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে ফেব্রæয়ারিতে হঠাৎ করেই ৭টি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা পর শুরু হয় এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীনে থাকা কলেজগুলোতে অনার্স ৪র্থ বর্ষের ভাইভা গ্রহণ ২৫ মার্চে শুরু হয়ে এপ্রিলে শেষ হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১৪ মে অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফলাফল প্রকাশ করে। ইতোমধ্যে তাদের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ভর্তি শুরু হয়েছে এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ভর্তির কার্যক্রম শেষ হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি। অন্যান্য বর্ষের কার্যক্রমও বিলম্বিত হচ্ছে। ফলাফল প্রকাশিত না হওয়ায় তারা কোনো চাকরির আবেদন করতে পারছে না। এমনকি চতুর্দশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষাও দিতে পারেনি এ ৭টি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে আবেদন করতেও পারছে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এসব কলেজের ২ লক্ষ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ এখন অনেকটা অনিশ্চয়তায় ঢেকে গেছে। সময়মত ফলাফল প্রকাশিত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আশা আর স্বপ্ন এখন কালের ¯্রােতে হারিয়ে যেতে বসেছে। বিষয়টির প্রতি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।
মাহফুজুর রহমান খান
চিনিতোলা, জামালপুর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন