‘মগের মুল্লুক’ এর আভিধানিক অর্থ ‘অরাজক রাষ্ট্র,’ যে রাজ্যে আইনের শাসন সু-প্রতিষ্ঠিত নয়, যেখানে যথেচ্ছাচার হয় (ব্যবহারিক অভিধান-বাংলা একাডেমী)। দেশটির সাবেক নাম ছিল বার্মা, বর্তমান নাম মিয়ানমার। সাবেক আরাকানের পরিবর্তিত নাম রাখাইন। অধিবাসীরা রোহিঙ্গা মুসলমান নামে খ্যাত। প্রধানত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মিয়ানমারের অধিবাসী। দেশটির শাসন ভার তাদের হাতে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন গৌতম বুদ্ধ। তার ধর্মানুসারীরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। বহুকাল পূর্ব থেকে জাতিগত সহিংসতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব হরণ করার পর তাদের পৈত্রিক বাড়িঘর জ¦ালিয়ে-পুড়িয়েই ক্ষান্ত হয়নি তারা, বরং বিগত ২৫ আগস্ট থেকে নবপর্যায়ে মিয়ানমারের শাসক গোষ্ঠী শুরু করেছে রোহিঙ্গা নিধন ও উচ্ছেদ অভিযান, যা এখনো চলছে।
এ যাবত পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে এবং বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বাধ্য হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বিশ্বে ভূয়শী প্রশংসা লাভ করেছে। তবে বাংলাদেশের কাঁধে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ যে মহা সংকট চাপিয়ে দিয়েছে তা কাটিয়ে উঠার ব্যবস্থা করাও তাদের ওপর নির্ভর করছে। অর্থাৎ মিয়ানমারের এসব শরণার্থীকে তারা যতদ্রæত তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবে, বাংলাদেশের জন্য ততই মঙ্গল বয়ে আনবে। এদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রæতি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ প্রদান করলেও ফিরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া কঠিন। কেননা, অতীতের বহু রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ বহাল তবিয়তে বিদ্যমান।
যুলকিফল: প্রাসঙ্গিকভাবে আমরা রাখাইন তথা রোহিঙ্গাদের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করেছি মাত্র। আসলে আমাদের প্রতিপাদ্য যুলকিফল সম্পর্কে কিছুটা আলোচনা করা, যার সাথে গৌতম বুদ্ধের সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে; যিনি হচ্ছেন বার্মীদের ধর্মের প্রবর্তক। তাই প্রথমেই যুলকিফল এর কথায় আসা যাক।
যুলকিফল কে ছিলেন? এটি একটি বহুল বিতর্কিত বিষয়। এ প্রশ্নের জবাব দিতে হলে পবিত্র কোরআনের তফসীর ও কাসাসুল আম্বিয়া কাহিনী এবং ইতিহাসের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। কেননা, পবিত্র কোরআনের সূরা আম্বিয়া ও সূরা সাদ এ যুলকিফল নামটি দুইবার উল্লেখিত হয়েছে। এর অধিক বিবরণ নেই। ফলে তিনি নবী ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। এজন্য কোরআনের ভাষ্যকার ও ইতিহাস লেখকগণের মধ্যে নামটি নিয়ে বিরোধ পরিলক্ষিত হয়। হাদীসেও তার সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। কাজেই বিষয়টি গোলকধাঁধায় পরিণত হয়েছে।
যুলকিফল সম্পর্কে বিভিন্ন তফসীর গ্রন্থে বিভিন্ন নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, তিনি ছিলেন বনি ইসরাইলের একজন নবী। কারো কারো মতে, ইলিয়াসের নাম কিংবা যাকারিয়ার নাম অথবা সৎকর্মপরায়ণ ওলী। শাহ আবদুল কাদের (রহ.) কৃত মোযেহুল কোরআনের বরাত দিয়ে মওলানা হিফজুর রহমান তার বিখ্যাত কাসাসুল কোরআনে লিখেছেন, যুলকিফল ছিলেন হযরত আইউব (আ.) এর পুত্র। তিনি আল্লাহর ওয়াস্তে এক ব্যক্তির জামিন হয়ে কারা কষ্ট ভোগ করেছিলেন। এসব বিরোধের ফলে যুলকিফল সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায় না।
যুলকিফল নামটি সূরা সা’দ এর ৪৮নং আয়াতে হজরত ইসমাইল (আ.) ও হজরত আল ইয়াসা (আ.) এর নামের পরে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন ধৈর্যশীল। পরবর্তী আয়াতে বলা হয়েছে, এবং তাদেরকে আমি আমার অনুগ্রহভাজন করেছিলাম। তারা ছিলেন সৎকর্মপরায়ণ।
সূরা সাদ এর আয়াতে বলা হয়েছে, এরা প্রত্যেকেই ছিলেন সজ্জন। অর্থাৎ উল্লেখিত দুইটি আয়াতে ইসমাইল (আ.), ইদরীস (আ.) এবং ইয়াসা (আ.) এ তিন নবীর নামের পরে যুলকিফল (আ.) এর নাম বলা হয়েছে।
‘কাসাসুল’ কোরআন অনুযায়ী, যুলকিফল নবী হযরত আল ইয়াসার খলিফা। এ সম্পর্কে বিখ্যাত তাবেঈ মোজাহেদ এর বরাতে ইবনে জরীর আল-ইয়াসার যে কাহিনী বর্ণনা করেছেন তাতে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে, যা অন্যান্য তফসীর গ্রন্থেও রয়েছে। মওলানা হিফজুর রহমান ঘটনাটি সহি রেওয়াতে বর্ণিত নয় বলে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ হাদীসের পরিভাষায় সনদটি মোনকাতে- যাতে দুর্বলতা রয়েছে। এ ঘটনা আমাদের আলোচ্য নয়, আমরা যুলকিফল কে ছিলেন তা নিয়ে আলোচনা করবো। এ প্রসঙ্গে মওলানা হিফজুর রহমানের কথায় ফিরে আসা যাক। তিনি লিখেছেন, কোনো কোনো লেখক মনে করেন যে, হিযকিল (আ.) এর উপাধি ছিল যুলকিফল এবং অপর এক সমকালীন লেখকের অদ্ভুত মত হচ্ছে এই যে, যুলকিফল গৌতম বুদ্ধের উপাধি ছিল। কেননা তার রাজধানীর নাম ছিল কাপল যার আরবি রূপ কাফল এবং আরবিতে ‘যু’ অর্থ অধিকারী, মালিক। সুতরাং মালদার ব্যক্তিকে ‘যুমালিন’ এবং শহর অধিপতিকে ‘যু বালাদিন’ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই এখানে ও কাপলের মালিক ও বাদশাহকে যুলকিফল বলা হয়েছে। উল্লেখিত লেখক সমসাময়িক এই দাবিও করেছেন যে, গৌতম বুদ্ধের আসল শিক্ষা তওহীদ ও প্রকৃত ইসলামেরই শিক্ষা ছিল এবং বর্তমান রূপ অবয়ব অন্যান্য দ্বীন মিল্লাতের ন্যায় বিকৃত ও পরিবর্তিত। কিন্তু এসব কথা অনুমান-আন্দাজের চেয়ে অধিক ইতিহাসের দিক থেকে কোনো গুরুত্ব রাখে না। (পৃ. ২২৯, ২য় খÐ)
নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে এবং গবেষণার মাধ্যমে বর্তমানে কোরআন ও হাদীসে বর্ণিত বহু ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হচ্ছে, এ প্রসঙ্গে লেখক বলেন, তাই যদি কোরআনে বর্ণিত কোনো ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অধিক আবিষ্কার সামনে আসে, তা আমাদের অস্বীকারের কারণ হবে না। বরং বিরুদ্ধবাদী ও হঠকারীদের প্রতি তা অধিক হুজ্জতও প্রমাণ হবে, কিন্তু এ বাস্তবতা স্বীকার করা সত্তে¡ও এটাও জরুরি নয় যে, কোনো ঘটনা সম্পর্কে যদি এক ব্যক্তি কেবল নিজের কল্পিত ধারণা ও অনুমান দ্বারা দলিল (প্রমাণ) বিহীন কোনো দাবি করে বসে তা হলে অবশ্যই তা মেনে নিতে হবে। সুতরাং যুলকিফলকে গৌতম বুদ্ধ গণ্য করা এখন পর্যন্ত এর চেয়ে অধিক কোনো গুরুত্ব বহন করে না। (পৃ. ২২৯-২৩০)
বর্ণিত বিবরণটি কার সে নামটি লেখক উল্লেখ করেননি। উক্ত বিবরণের এক স্থলে বলা হয়েছে, উল্লেখিত লেখক সমসাময়িক এইদাবিও করেছেন যে, গৌতম বুদ্ধের আসল শিক্ষা তাওহীদ ও প্রকৃত ইসলামেরই শিক্ষা ছিল। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে বলার কিছু থাকতে পারে না। আম্বিয়ায়ে কেরামের মূল শিক্ষা ছিল তাওহীদের প্রচার-প্রসার। শেষনবী মোহাম্মদ (সা.) প্রবর্তিত ইসলামের আগমনের ফলে কেবল সেই ইসলামই বিশ্ব ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
গৌতম বুদ্ধ কি নবী ছিলেন?
পবিত্র কোরআনের আধুনিক ভাষ্যকারদের মধ্যে সূরা আম্বিয়া ও সূরা সাদ এ বর্ণিত ‘যুলকিফল’কে গৌতম বুদ্ধ ও নবী মনে করে থাকেন কেউ কেউ। একথা সত্য যে, গৌতম বুদ্ধ প্রবর্তিত ধর্মের নাম বৌদ্ধ ধর্ম। বার্মার এ ধর্মাববলম্বীরাও বৌদ্ধ। তাদের মধ্যে যারা দাবি করে থাকে যে, মুসলমানদের পবিত্র কোরআনে যে, ‘যুলকিফল’ এর উল্লেখ আছে তিনিই ছিলেন গৌতমবুদ্ধ। যে তফসীর গ্রন্থে এ অভিমতটি ব্যক্ত করা হয়েছে তা যে সঠিক নয় এবং কল্পনাপ্রসূত, তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় কাসাসুল কোরআন নামক বিখ্যাত গ্রন্থে। যুলকিফল সম্পর্কে এ গ্রন্থে বিশদ আলোচনা স্থান পেয়েছে। অন্যান্য প্রাচীন আরবী ও আধুনিক উর্দূ তফসীরগুলোতেও যুলকিফল সম্পর্কে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়েছে।
মওলানা হিফজুর রহমান যুক্তিপ্রমাণের অভাবে গৌতম বুদ্ধকে নবী হিসেবে স্বীকার করেননি, যা তার বিবরণ স্বাক্ষ্য দেয়। তা ছাড়া কোরআনের প্রাচীন ও আধুনিক অপর কোনো ভাষ্যকার ও যুলকিফলকে গৌতম বুদ্ধ লিখেছেন বলে জানা নেই। কাসাসুল কোরআনের লেখক ও তার সমসামায়িক একজন লেখক ব্যতীত আর কারো নাম উল্লেখ করেননি, যার লেখায় যুলকিফলকে গৌতম বুদ্ধ বলা হয়েছে। তবে তাওহীদের বাণী প্রচারক নবীগণ মৃত্যুকে অস্বীকার করতে পারেন না। তারা প্রত্যেকেই তাদের উম্মত ও কওমদের মৃত্যুর ভয় প্রদর্শন করেছেন, পরোকালে জান্নাত জাহান্নামের কথা বলেছেন।
কিন্তু অবাক বিস্ময়ের সাথে বলতে হয় যে, ভারতের দিল্লী হতে প্রকাশিত একটি চতুর্মাসিক আরবি পত্রিকায় জনৈক প্রবন্ধকারের লেখায় মৃত্যু সম্পর্কে গৌতম বুদ্ধের যে মতবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা প্রণিধানযোগ্য ‘সাকাফাতুল হিন্দ’ নামক এ চতুর্মাসিক পত্রিকায় ১৯৫০ সালের মার্চ সংখ্যায় ‘মওতুবুযা’ শীর্ষক (বুদ্ধের মৃত্যু) এক সুদীর্ঘ প্রবন্ধের শুরুতে একটি নোট লেখা আছে। তাতে যা বলা হয়েছে, তার অংশ বিশেষ এই:
ইন্না বুযা অগায়রুহ মিন মোফাক্কিরিল হিন্দে কানু ইয়ারাওনা, আন্নাল ইনসানা লা ইয়ামুত বিমাওতিহি, বালালাইয়াউদু, অ-লাইয়াযালু ইয়াউদুদু ইলাল হায়াতি মোতাকাম্মেছাতান রুহুহু আজসামান জাদিদাতান।
অনুবাদ: নিশ্চয় বুদ্ধ ও অন্যান্য ভারতীয় চিন্তাবিদগণ মনে করতেন যে, মানুষ তার মৃত্যুতে মরে না। বরং প্রত্যাবর্তন করে এবং সর্বদা তার আত্মা একটি দেহ হতে অপর নতুন দেহে স্থানান্তরিত হতে থাকে। আমাদের আলোচনার জন্য এতটুকু বক্তব্যই যথেষ্ঠ। নোটে বুদ্ধের চোখের সামনে তার স্ত্রীর কীভাবে মৃত্যু ঘটেছে তারও উল্লেখ রয়েছে। নোটে যে বক্তব্যের কথা বলা হয়েছে, তা কি কোনো নবীর পক্ষে ব্যক্ত করা সম্ভব? তওহীদবাদী নবীগণের মধ্যে কেউ কি কখনো এরূপ উক্তি করেছেন? গৌতম বুদ্ধের প্রতি পরিপূর্ণ সম্মান-মর্যাদা বজায় রেখে বলতে চাই, যারা তাকে নবী বলে দাবি করেন, তাদের উচিত নবী রসূলগণের জীবন চরিত এবং তাদের আকীদা বিশ্বাসগুলো যথার্থভাবে পাঠ করা।
গৌতম বুদ্ধ একজন মহান সাধক ও সংস্কারক ছিলেন। তার মানবতাবাদের কথা এবং তার মানব সম্পর্কিত অমিয়বাণী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বার্মার বৌদ্ধরা মুখে উচ্চকণ্ঠে আওড়াতে থাকে এবং সে দেশের রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি সহিংসতার স্টিম রোলার প্রয়োগ করে তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিচ্ছে, গণহত্যা চালিয়ে উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে লাখে লাখে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
গৌতম বুদ্ধকে বলা হয়, বিশ্বমানবপ্রেমিক, শান্তিরদূত। খ্রি. পূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে তিনি নেপালের কাপল নামক স্থানের রাজা শুদ্ধধনের গৃহে জন্ম গ্রহণ করেন এবং খ্রি. পূর্ব ৪০৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার আসল নাম ছিল সিদ্ধার্থ। তিনি জাতপাতের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি খোদ শহরে শহরে এবং বস্তিতে বস্তিতে গমন করে ঘুরে ঘুরে তার আকীদা বিশ্বাস বা মতবাদ প্রচার করতে থাকেন এবং বৌদ্ধ মতবাদকে দূরদুরান্ত পর্যন্ত পৌঁছান। তবে কোনো কোনো গ্রন্থে গৌতম বুদ্ধের যুগ খ্রি পূর্ব ৪৮৬-৫৬৬ শতক উল্লেখ করা হয়েছে।
বস্তুতঃ কোরআন মজিদে উল্লেখিত যুলকিফল যদি গৌতম বুদ্ধেরই নাম বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকে তা হলে তিনি দুনিয়ার পূর্ব দিগন্তে আল্লাহর প্রেরিত অন্যান্য নবীর মতো একজন নবী ছিলেন যেমন জনৈক ভারতীয় ভাষ্যকারের অভিমতের কথা কাসাসুল কোরআন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। এ তথ্য বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য বিশেষভাবে পরম আনন্দ ও গর্বগৌরবের কথা। আর যদি বুদ্ধকে যুলকিফল সাব্যস্ত করা সম্ভব না হয় তাহলেও নেপালের কাপলে জন্ম গ্রহণকারী বুদ্ধ প্রবর্তিত বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের মূল্যবান বাণী চিরন্তনীগুলো দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, তার মানব প্রেম ও জীবে দয়ার শিক্ষা বুকে ধারণ করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি অতীতের সকল নির্যাতন ও বর্বরবর্গীপনার জন্য দোষী অভিযুক্ত বৌদ্ধদের ঈশ্বরের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং সম্মানজনক উপায়ে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের মাধ্যমে, বুদ্ধের আশীর্বাদ লাভে এগিয়ে আসার আহŸান রইল। বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী পুরাতন ও বর্তমান সকল রোহিঙ্গাকে যত দ্রæত সম্ভব, তাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে সত্যিকারের মানবতা প্রদর্শন করা হোক, এ কামনা করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন