শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারের পণ্য বর্জন করুন

শুধু আমার কলম কেন, পৃথিবীর কারো কলমই যেন রোহিঙ্গাদের বোবা চিৎকার আর চাপা কান্নার আর্তনাদ বুঝাতে পারবে না। আজ পত্র পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে রোহিঙ্গা নির্যাতনের হাজারো প্রতিচ্ছবি। পড়লেই ভেতরটা কেঁপে ওঠে। আমাদের যার পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়ানোর আবেদন জানাচ্ছি। তাছাড়া, আমরা দৈনন্দিন জীবনে হাজারো বার্মিজ পণ্য ব্যবহার করি। যদি এভাবে আন্দোলন গড়ে তুলি যে, রোহিঙ্গাদের প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আমরা বার্মিজ কোন পণ্যই ব্যবহার করবো না; তাহলে একটু হলেও ওদের স্বার্থে আঘাত লাগবে। আসুন, আমরা আজ রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই, জনমত গড়ে তুলি তাদের পক্ষে। আর এখন থেকেই বার্মিজ পণ্য ছুঁড়ে ফেলি। আমার আপনার এতটুকু ত্যাগ-ই হতে পারে আজ নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের একটু শান্তির পথের পাথেয়। এটা আজ সময়ের দাবি।
সিয়াম বিন আহমাদ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়, কুষ্টিয়া।

 

চলনবিলকে রক্ষা করতে হবে
চলনবিল এক সময় পানিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। এর পর্যাপ্ত গভীরতা ছিল। চলনবিল নাটোর-পাবনা অঞ্চলের জনগণের জীবন ও জীবিকার অন্যতম অবলম্বন ছিল। চলনবিলে এক সময় প্রচুর স্বাদু পানির মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু অবৈধ সুতি জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার এবং পোনা ও মা মাছ বিপুল হারে নিধন করার কারণে এখন আর মাছ তেমন একটা চোখে পড়ে না। চলনবিলের মৎস্যভান্ডার এখন বিলুপ্তির মুখে। চলনবিলের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাও উল্লেখ করার মতো ছিল। তবে সড়ক-মহাসড়কের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়ন সেভাবে করা আদৌ সম্ভব হয়নি। এই ক্ষেত্রে উন্নয়নের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের যথাযথ মতামতও কাউকে নিতে দেখা যায়নি। ফলে চলনবিল প্রতিনিয়ত নানা বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। মৎস্য সম্পদের ওপর পড়তে শুরু করেছে এর নেতিবাচক প্রভাব। হুমকির মুখোমুখি আজ চলনবিলের জীববৈচিত্র্য। নির্বিচারে শিয়াল ও পাখি শিকার করা হচ্ছে। চলনবিলে শাপলা আর চোখে পড়ে না। এসব সমস্যা কি চলনবিলকে হুমকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে না? তাই সময় এসেছে চলনবিলের জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করার।
মোহাম্মদ অংকন
সিংড়া, নাটোর।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন