কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের নাঙ্গলকোট-মৌকরা সড়ক ও বড় ফতেপুর তিলিপ গোমকোট সড়কটিতে দীর্ঘদিন থেকে বেহাল দশা বিরাজ করছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহনসহ পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চরমভাবে। তাছাড়া চলতি সেচ মৌসুমে হাল-চাষের ট্রাক্টর উঠা-নামার কারণে সড়কা একেবারেই যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে জনগণের দুর্ভোগের অন্ত নেই। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিহীত-ব্যবস্থা না নিলে সড়ক এভাবেই ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকবে।
দ্বীন মোহাম্মদ
নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।
পে-স্কেল প্রাপ্তির আশা পূরণ হবে কি?
শিক্ষকগণ জাতিগড়ার কারিগর। সু-নাগরিক এবং উন্নত জাতি গঠনে শিক্ষকগণ প্রতিনিয়ত অক্লান্ত মেধাশ্রম ব্যয় ও নিরলস প্রচেষ্টায় জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেন। মেধাশ্রমের বিনিময়ে বর্তমানে শিক্ষকগণ যে বেতন পাচ্ছেন, তা যুগের চাহিদার আলোকে খুবই নগন্য এবং সেটা দিয়ে সংসার পরিচালনায় হিমশিম খেতে হয়, যেন কোন মতে জীবন কাটানো। তবুও সরকার কর্তৃক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে এরিয়ারসহ পে-স্কেল ঘোষণা শুনে বেসরকারি এপিওভুক্ত শিক্ষকগণ আশা করেছিলেন বহুদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটবে। কিন্তু পে-স্কেল প্রাপ্তির দৃশ্যমান ও কার্যত কোন পদক্ষেপ না দেখে, সারাদেশের পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক কর্মচারী হতাশায় ভুগছেন। আর ভাবছেন আমাদের পে-স্কেল প্রাপ্তির আশা পূরণ হবে কি?
মাওঃ কাজী ছিদ্দিকুর রাহমান
সহকারী শিক্ষক, মাধাইয়া বাজার ছাদিম উচ্চ বিদ্যালয়।
বিদেশি পণ্য বর্জন করি
নিম্নমাধ্যম আয়ের দেশের সারিতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে। আমদানি ও রফতানিতেও বেশ এগিয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে রপ্তানির কোন বিকল্প নেই। কিনে দেশীয় পণ্য, দেশকে করতে হবে ধন্য। বাংলাদেশের মানুষ এখন দেশীয় পণ্য নয়, বিদেশি পণ্য কিনে নিজেকে ধন্য মনে করে। গর্ববোধ করে বলে, এটা বিদেশি পণ্য। এই গর্ববোধ কি বাংলাদেশের জন্য আনন্দের, নাকি বেদনার? বিশ্বের অনেক দেশ আছে যারা কখনই নিজের দেশের পণ্য ছাড়া বিদেশি পণ্য ক্রয় করে না। বাংলাদেশি হয়ে বিদেশি পণ্য ক্রয় করে যারা নিজেকে ধন্য মনে করে তারা বাংলাদেশকে কতটুকু ভালোবাসে তা সহজেই অনুমান করা যায়। বিদেশি পণ্য বর্জন করে দেশীয় পণ্য কিনে দেশের উন্নয়নের কাতারে আমরাও দাঁড়াতে পারি। দেশীয় পণ্য ক্রয় করার উৎসাহ বাড়ানোর জন্য রেডিও, টিভি ও পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করা অত্যান্ত জরুরি। তাই আসুন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বিদেশি নয়, দেশীয় পণ্য ক্রয় করি।
মো. আজিনুর রহমান লিমন
গ্রাম- আছানধনী মিয়া পাড়া, ডাকঃ চাপানী হাট
উপঃ ডিমলা, জেলা- নীলফামারী।
জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করুন
একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্ত হলো দক্ষ জনশক্তি। কেননা দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমেই মূলধন ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করা সম্ভব। আমাদের মূলধন কম থাকতে পারে কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক ও জন সম্পদ রয়েছে। আমাদের এই বৃহৎ জনসম্পদকে কিভাবে কাজে লাগাতে পারি সেটি জানা জরুরি। প্রথমত, দক্ষ জনসম্পদ বিদেশে রফতানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যেতে পারে। তাছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়ন করে জনগণকে সম্পদে পরিণত করা সম্ভব। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তর করা অতি সহজ। আর এই কাজ কখনোই ব্যক্তি কেন্দ্রিক বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই দেশের জনগণকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তর করার জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা সরকারকে নিতে হবে। আর এই কাজ যখন সফল হবে তখন দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো আরও শক্তিশালী হবে এবং তখন দেশ হবে উন্নত।
মো. মানিক উল্লাহ
গ্রাম- মাজগ্রাম,
ডাকঘর- বেতিল হাটখোলা
থানা- এনায়েতপুর
জেলা- সিরাজগঞ্জ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন