সরকারি ফার্মেসি
প্রায় দুই বছর আগে এক বড় ভাইকে সাপে কেটেছিল, শুধু দূরত্বের কারণে ওষুধ না পেয়ে মারা যায় সে। অবাক হয়ে জলজ্যান্ত মানুষটাকে মরতে দেখলাম!
কিছুদিন আগে ফেসবুকে দেখলাম, একজন একটা মূল্যবান ওষুধের খোঁজ চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। দুই দিনের মধ্যে ওষুধটি দরকার তাঁর, কিন্তু দেশের বাইরে থেকে আনতে ১৫ দিন সময় লেগে যাবে। দেশের বড় বড় ফার্মেসিতে খুঁজেও ওষুধটি তিনি পাননি।
এবার রাজশাহীতে প্রচুর সাপের আনাগোনা। মানুষ যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপদে পড়তেই পারে। বিষাক্ত সাপে কামড় দিলে আধা
ঘণ্টা সময়ও পাওয়া যায় না অনেক সময়। সে ক্ষেত্রে মানুষ কীভাবে বহুদূরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাবে!
প্রতিটি উপজেলায় সরকারি একটি ফার্মেসি থাকা খুব জরুরি। বিশেষ করে সাপের ভ্যাকসিন, জলাতঙ্ক রোগের টিকা এবং জনগুরুত্বপূর্ণ ওষুধ প্রচুর পরিমাণে থাকা দরকার।
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ওষুধ না থাকলে জীবন বাঁচানো কঠিন। এতে যেমন মানুষের জীবন বাঁচবে, তেমনি সঠিক দামে মানসম্পন্ন ওষুধ পাওয়া সহজ হবে।
গ্রামাঞ্চলে মানসম্পন্ন ওষুধ পাওয়া যায় না। তাই এ ধরনের একটি ফার্মেসি উপজেলা পর্যায়ে মানুষের দারুণ উপকারে আসবে।
সাঈদ চৌধুরী
গাজীপুর।
জীবনযুদ্ধ!
জীবনের বিশাল একটা সময় আমাদের চলে যায় পড়াশোনার জন্য। মোটামুটি ১৩–১৪ বছর চলে যায় উচ্চমাধ্যমিক পাস করতে। আর উচ্চমাধ্যমিক পাস মানেই বিশাল এক অপরাধ, এক বিশাল সমুদ্রের মাঝে ভেলাবিহীন অবস্থায় পড়া। ভর্তিযুদ্ধ নামক বিভীষিকার মুখে পড়তে হয় আমাদের। এই বিভীষিকা পার হওয়ার যোগ্যতা থাকলেও যে কজন পরীক্ষার্থী জিপিএ–৫ পান, তাঁদের সবার বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সুযোগ থাকে না। এই পর্যায়ে এসে ছেলেবেলার স্বপ্ন হারিয়ে যায়। তখন মনে হয় যা পাই তাতেই চলবে। দেশের অধিকাংশ ছাত্রই নিজের ইচ্ছানুযায়ী পড়াশোনা করতে পারে না।
আর মাত্র এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টার এমসিকিউ পরীক্ষা দিয়ে কী মেধা যাচাই হয়, তা নিয়ে সন্দেহ জাগে! যদিও প্রশ্ন ফাঁস নামক এক অন্য বিভীষিকার নাম তো রয়েই গেছে। এই সবকিছুর সঙ্গে যুদ্ধ করে অবতীর্ণ হতে হয় স্নাতক পর্যায়ে, যদিও এখানেই বহু মেধাবী হারিয়ে যায় কালের অতল গহŸরে। এরপর শুরু হয় চাকরির লড়াই। এই পর্যায়ে এসে অনেককে আবার ইচ্ছার বিসর্জন দিতে হয়। এই বিসর্জন দিতে দিতে একসময় আমাদের আর সবই থাকে, থাকে না শুধু হৃদয়। এই পরিস্থিতিতে হয়তো মানুষ দুর্নীতি করতে প্ররোচিত হয়!
মো. মাহবুবুর রহমান
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন