শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সত্তরোর্ধ্ব পেনশনারদের আবেদন
২০০০ সালের আগে যে সব কর্মকর্তা এবং কর্মচারী অবসরে যান, তাঁদের পেনশন নির্ধারণ করা হয় ১৯৯৮ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে। তখন পেনশন ধার্য করা হতো আনুতোষিক ও পেনশন বাবদ মূল বেতনের ৮০%। এর ৪০% পেনশন এবং ৪০% আনুতোষিকের জন্য। যাঁরা এককালীন পেনশন গ্রহণ করেন, তাঁদের জন্য ছিল ধার্যকৃত পেনশনের ৫০% এবং বাকি ৫০% কেটে রাখা হতো। ২০০০ সালের পর সরকার যথাক্রমে ২০০৯ সালে এবং ২০১৫ সালে আরো দুটো বেতন স্কেল অনুমোদন করেন। পেনশন প্রদানের ক্ষেত্রে দুই হাজার সালের আগে ও পরে বেতন স্কেলে বিস্তর ফারাক সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায়, আমার মতো যাদের বয়স ৭০ বছরের ওপরে এবং যাদের এককালীন পেনশন গ্রহণের ফলে ৫০% পেনশনের অর্থ কেটে রাখা হয়েছে, তাদের কেটে রাখা অর্থের ওপর অবসর গ্রহণের পর থেকে বকেয়া এবং হাল পেনশন মঞ্জুুর করতে এবং সেইসঙ্গে দলীয় বিমা ও কল্যাণ তহবিল থেকে আজীবন চিকিত্সা অনুদান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
মো. কোবাদ হোসেন,
১৮/১ সোবহানবাদ কলোনি, মিরপুর রোড, ঢাকা।

সত্যায়ন কেন?
দেশে লাখ লাখ চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা প্রতিদিন চাকরির আবেদন করার জন্য ছবি ও কাগজপত্র সত্যায়িত করতে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের পেছনে ছোটেন; শিকার হন সীমাহীন দুর্ভোগের। শুধু চাকরিই নয়, দেশে শিশু থেকে বয়স্ক পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় সব নাগরিককে পড়াশোনা, পাসপোর্ট আবেদন, বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নেওয়ার জন্য ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্র বাধ্যতামূলকভাবে সত্যায়িত করতে হয়। সরকার-নির্ধারিত প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার কাছে সত্যায়িত করতে গেলে ওই কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে পারা রীতিমতো ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিতে হয়। এ সময় সরকারি ওই কর্মকর্তার কটু কথা বা বাজে আচরণও হজম করতে হয়। এসব ঝামেলা এড়াতে কেউ কেউ জালিয়াতির আশ্রয় নেন। অনেকেই ভুয়া ‘সত্যায়িত’ সিলমোহর বানিয়ে জাল সই দিয়ে নিজের সত্যায়ন ‘নিজেই’ করেন, যদিও সব কাগজপত্র আসল। সরকারি চাকরির আবেদনে হয়রানি কমাতে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সত্যায়ন বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে তা শুধু পিএসসির আবেদনের ক্ষেত্রেই মানা হয়। সত্যায়ন বিষয়ে সরকারের উচিত সহজ ও বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
কায়েস চৌধুরী
কক্সবাজার।

কৃষি
কৃষি আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত। জাতীয় আয়ের দিক থেকে কৃষির অবদান তেমন বেশি না হলেও কর্মসংস্থানের প্রেক্ষাপটে এটি এখনো দেশের শীর্ষ খাত। নকিন্তু আমাদের কৃষক যেমন ফসলের ন্যায্য দাম পান না, তেমনি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাঁদের যেন কিছুই করার নেই, এটাই নিয়তি। শত শত বছর ধরে যেন এভাবেই চলছে। আমরা এখন নি¤ম্ন–মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি। এখান থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে কৃষকের জীবনমান উন্নয়নের বিকল্প নেই।
কিন্তু সেদিকে যেন আমাদের নজর নেই বললেই চলে। কৃষকদের সিন্ডিকেট নেই বলে আমরা তাঁদের পাত্তা দিই না। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে তাঁদের মানুষও মনে করি না।
ফাইজুল ইসলাম,
রাজশাহী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন