ইনকিলাব ডেস্ক : প্রথমবারের মতো সিরিয়ার ইদলিবে প্রবেশ করেছে তুর্কি সেনাবাহিনীর বহর। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি অঞ্চল কার্যকর করার জন্য এ বাহিনী ইদলিবে ঢোকে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান এবং রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির অংশ হিসেবে এ অঞ্চল গঠন করা হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রায় ৩০টি সামরিক যান রয়েছে তুর্কি সেনাবহরে। বহরটি বাব আল-হাওয়া সীমান্তের কাছ দিয়ে সিরিয়ায় ঢুকেছে। এখান থেকে সন্ত্রাসী এবং কুর্দি পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটস বা ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত আফরিন অঞ্চলের ওপর নজর রাখা যায়। ইদলিবের বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ করছে জঙ্গিগোষ্ঠী হায়াত তাহরির আশ-শাম বা এইচটিএস। আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আন-নুসরা গত বছর নাম বদল করে জাবহাত ফতেহ আশ-শাম নাম নিয়েছে। এইচটিএসের নেতৃত্ব দিচ্ছে এ গোষ্ঠী। কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সিরিয়া নিয়ে চতুর্থ দফা আলোচনার সময়ে সিরিয়ায় চারটি যুদ্ধবিরতি এলাকা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত মে মাসে অনুষ্ঠিত আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছিল রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্ক। অপর এক খবরে বলা হয়, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আইএস গাড়িবোমা হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কুর্দিশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। গতকাল শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, আবু ফাসে দেইর আল জর ও হাসাকা প্রদেশের কাছাকাছি জায়গায় বৃহস্পতিবার এই হামলা চালানো হয়। হামলায় কুর্দি শরণার্থী ও সিরিয়ান সরকারি বাহিনীর বেশ কয়েকজন নিহত হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসও এই হামলার কথা জানিয়েছে, তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে কিছু জানায়নি সংস্থাটি। চলতি বছর সিরিয়া ও ইরাকে নিজেদের দখল হারাচ্ছে আইএস। শহর ও গ্রাম হয়ে দেই আল জরের উপত্যকায় আত্মগোপন করছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স তাদের উপর চড়াও হচ্ছে। তারা চাপ দিচ্ছে উত্তর দিক থেকে। সিরীয় সেনাবাহিনী সমর্থন পাচ্ছে রাশিয়া ও ইরানের। তার চড়াও হচ্ছে পশ্চিম দিক থেকে। এসডিএফের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলেন, হাসাকায় আবু ফাসে একটি গাড়ি হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় অনেক মানুষ হতাহতের শিকার হয়েছেন। বিস্ফোরণের পর সাধারণ মানুষরা মরুভূমি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। সেখানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে প্রাণ হারান আরও কয়েকজন। সিরিয়ান অবজাভেটরি জানায়, কুর্দি কর্তৃপক্ষরা আবু ফাসে বাস্তুহারা মানুষদের একত্রিত করেছিলো। সেখানে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলো। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিযেছে দেইর আল জরের মায়াদিন শহরে সরকারি বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। মিডল ইস্ট মনিটর, আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন