সত্তরোর্ধ্ব পেনশনারদের আবেদন
২০০০ সালের আগে যে সব কর্মকর্তা এবং কর্মচারী অবসরে যান, তাঁদের পেনশন নির্ধারণ করা হয় ১৯৯৮ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে। তখন পেনশন ধার্য করা হতো আনুতোষিক ও পেনশন বাবদ মূল বেতনের ৮০%। এর ৪০% পেনশন এবং ৪০% আনুতোষিকের জন্য। যাঁরা এককালীন পেনশন গ্রহণ করেন, তাঁদের জন্য ছিল ধার্যকৃত পেনশনের ৫০% এবং বাকি ৫০% কেটে রাখা হতো। ২০০০ সালের পর সরকার যথাক্রমে ২০০৯ সালে এবং ২০১৫ সালে আরো দুটো বেতন স্কেল অনুমোদন করেন। পেনশন প্রদানের ক্ষেত্রে দুই হাজার সালের আগে ও পরে বেতন স্কেলে বিস্তর ফারাক সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায়, আমার মতো যাদের বয়স ৭০ বছরের ওপরে এবং যাদের এককালীন পেনশন গ্রহণের ফলে ৫০% পেনশনের অর্থ কেটে রাখা হয়েছে, তাদের কেটে রাখা অর্থের ওপর অবসর গ্রহণের পর থেকে বকেয়া এবং হাল পেনশন মঞ্জুুর করতে এবং সেইসঙ্গে দলীয় বিমা ও কল্যাণ তহবিল থেকে আজীবন চিকিত্সা অনুদান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
মো. কোবাদ হোসেন, ১৮/১ সোবহানবাদ কলোনি, মিরপুর রোড, ঢাকা
কৃষি
কৃষি আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত। জাতীয় আয়ের দিক থেকে কৃষির অবদান তেমন বেশি না হলেও কর্মসংস্থানের প্রেক্ষাপটে এটি এখনো দেশের শীর্ষ খাত। কিন্তু আমাদের কৃষক যেমন ফসলের ন্যায্য দাম পান না, তেমনি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাঁদের যেন কিছুই করার নেই, এটাই নিয়তি। শত শত বছর ধরে যেন এভাবেই চলছে। আমরা এখন নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি। এখান থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে কৃষকের জীবনমান উন্নয়নের বিকল্প নেই।কিন্তু সেদিকে যেন আমাদের নজর নেই বললেই চলে। কৃষকদের সিন্ডিকেট নেই বলে আমরা তাঁদের পাত্তা দিই না। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে তাঁদের মানুষও মনে করি না। এই মনোভাব না বদলালে আমাদের যেমন খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না, তেমনি রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদাও বাড়বে না।
ফাইজুল ইসলাম, রাজশাহী।
মাদক ব্যবসা
চুয়াডাঙ্গায় অন্যান্য সামগ্রীর মতো মাদকের ব্যবসাও জমজমাট। প্রতিদিন সীমান্ত অতিক্রম করে গাঁজা, ফেনসিডিল, মদসহ নানান মাদক আসছে।
সীমান্ত এলাকার অনেকেই এসব মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রভাবশালী এসব মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না। মাদক ছাড়াও ভারতীয় শাড়ি, প্যান্ট পিস, মসলা ও চাপাতার চালান আসে সীমান্ত এলাকা দিয়ে। সীমান্তের কাঁটাতার ডিঙিয়ে এবং কালভার্টের নিচ দিয়ে তারা এসব মাদক নিয়ে আসে। কিন্তু সীমান্তরক্ষী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন এসব দেখতে পায় না। তাদের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ আছে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। এরা মাঝেমধ্যে গ্রেপ্তার হলেও আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসে। এসব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সরকারি দলের স্থানীয় কতিপয় নেতা। স্থানীয় জনগণ তাঁদের কাছে অনেকটা জিম্মি। দোর্দন্ড প্রতাপশালী এসব মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না স্থানীয় ব্যক্তিরা।
আতাউল গনি, চুয়াডাঙ্গা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন