সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

ঝুঁকির মুখে অর্থনীতি

এম. কে. দোলন বিশ্বাস | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কমে গেছে দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট (বিওপি)। বিওপি’র হিসাবে ভাটা পড়ার কারণ আমদানি বৃদ্ধি না অর্থপাচার- তা খোলাসা করছেন না কেউ। সরকারি কর্তাব্যক্তিরা আমদানি বাড়ার কথা বললেও বিশ্লেষকরা বলছেন ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের কথা। গত কয়েক মাসে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় হঠাৎ করে ব্যাপক অর্থপাচার হয়েছে বলে ধারণা তাদের। যে কারণে ১৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট বা পরিশোধযোগ্য স্থিতির পরিমাণ নেতিবাচক দিকে ধাবিত হয়েছে। আর এতে ঝুঁকিতে পড়েছে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রেড অব ব্যালেন্স সব সময়ই নেগেটিভ। এখন একটু বেশি। যার প্রভাব পড়েছে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে। একই সঙ্গে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স গত কয়েক বছর থেকে ঘাটতির দিকে। এর সাথে যোগ হয়েছে রেমিট্যান্স। ফলে রিজার্ভও কমেছে। বিওপি টান পড়ার কারণ অর্থপাচার কি-না এমন প্রশ্নে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পরোক্ষ প্রভাবের কথা স্বীকার করে জানান, আমদানি করলে তাতে ওভার ইনভয়েসিংয়ের সুযোগ থাকে। এর বাইরে গিয়ে অর্থপাচার হলে তা বিওপি হিসেবে আসবে না। তাই শুধু অর্থপাচারের কারণেই বিওপি টান পড়েছে, বিষয়টি ঠিক নয়।
গত আর্থিক বছরে যেখানে ব্যালেন্স অফ পেমেন্টে উদ্বৃত্ত ছিল ৪৮০ মিলিয়ন ডলার, চলতি অর্থ বছরে (২০১৭-১৮) তা কমে ১৭৯ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। রফতানি আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, চলতি অর্থ বছরের শেষে সার্বিক ব্যালেন্স ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়িন ডলারে পৌঁছবে। কিন্তু তারপরও কারেন্ট অ্যাকাউন্ট বা চলতি হিসাবে ২ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি থাকবে বলে ধরা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত ব্যালেন্স অব পেমেন্টের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণে বিষয়টি ধরা পড়েছে।
অর্থনীতিবিদের মতে, কোনো দেশের বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের হিসাবে যদি উদ্বৃত্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে বুঝতে হবে নিয়মিত লেনদেনের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে কোনো ঋণ করতে হয় না। তাদের মতে, ব্যালান্স অফ পেমেন্ট কমে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, আমদানি বৃদ্ধি এবং রপ্তানি হ্রাস পাওয়া। আয়-ব্যয়ের এই চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দিলে অর্থাৎ আমদানি ব্যয়ের বাড়তি হলে চাহিদাজানিত অর্থের যোগান দিতে সরকারকে ঋণ করতে হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এই ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি দেশকে ঋণ নির্ভরতার দিকে ক্রমেই ঠেলে দিচ্ছে। রপ্তানি থেকে শুরু করে সার্বিক অর্থনীতিতে চরম মন্দাবস্থা বিরাজ করছে। তাদের মতে, এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে না পারলে, দেশে ভয়াবহ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এর মূল কারণ সার্বিকভাবে আমদানি যে হারে হয়েছে সেই হারে রফতানির প্রবৃদ্ধি বাড়েনি। গত বছরের তুলনায় রফতানি প্রবৃদ্ধি ৮ থেকে ৯ শতাংশে কমেছে। যে কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী গণমাধ্যমে জানান, বড় মেগা প্রকল্পের কাজ কিছু শেষ হয়েছে, কিছু চলছে। এক্ষেত্রে প্রকল্পের কাজে মেশিনারিজ আমদানিতে ব্যয়টা বেড়েছে। একই সঙ্গে চাল ও মূলধনী মেশিনারির আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিওপি ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তিনি এও জানান, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনি¤œও ছিল কিছুদিন আগে। এটা এখন বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সে হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো। কিন্তু গত কয়েক বছর উদ্বৃত্তের ধারা অব্যাহত থাকলেও গেল অর্থবছর থেকে ঋণাত্মক ধারায় চলে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর জুলাইয়ে আমদানি বেড়েছে শতকরা ৪৭ ভাগ, যা গত বছর এ সময়ে ছিল মাত্র ২ দশমিক ৯৯ ভাগ। অন্যদিকে জুলাইয়ে রপ্তানি বৃদ্ধি পায় শতকরা ১৮ দশমিক ৫০ ভাগ। অর্থাৎ রপ্তানির তুলনায় আমদানির হার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে অর্থনীতিতে মন্দাবস্থা বিরাজ করছে। বিনিয়োগ খাতে নেতিবাচক পরিস্থিতি বিরাজমান। অর্থনীতিকে উন্নত করতে যেভাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি প্রয়োজন, তা নেই বললেই চলে। দেখা যাচ্ছে, আভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রপ্তানির পরিবর্তে আমদানির হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনো ভারসাম্য নেই আমদানি-রপ্তানিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, খাদ্য, মূলধনী মেশিনারি, তুলার আমদানি ব্যাপক হারে বাড়ছে। চলতি অর্থ বছরের প্রথম মাসে চাল ও মূলধনী মেশিনারির আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৬১ ভাগ। গত বছর জুলাইয়ে যেখানে খাদ্য আমদানি করা হয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারের, সেখানে এ বছর করা হয়েছে ১০১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারের। দুধ, এডিবল অয়েল, চিনির আমদানি বেড়েছে শতকরা ২৬ ভাগ থেকে ১১৪ ভাগ পর্যন্ত। অন্যদিকে জুলাইয়ে রপ্তানি সামান্য বৃদ্ধি পেলেও আমদানির সাথে এর পার্থক্য এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
আমদানি ও রপ্তানির মধ্যকার এই বিপুল পার্থক্য থেকে বোঝা যায়, দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় নেই। সরকার বৈদেশিক মুদ্রার যে রেকর্ড রিজার্ভ নিয়ে গর্ববোধ করে, তাতেও ভাটা পড়েছে। চলতি বছরের ৩০ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যেখানে ছিল ৩৩ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার, সেখানে সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখ তা কমে হয়েছে ৩২ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আমদানি-রপ্তানির মধ্যকার ভারসাম্যহীনতার কারণে টাকারও অবমূল্যায়ন হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে এক ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৭৮ দশমিক ৪ টাকা, এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৮০ দশমিক ৭ টাকা। অর্থাৎ সার্বিকভাবে অর্থনীতির গতিপ্রবাহ ঋণাত্মক দিকে ধাবিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশে আমদানি তখনই বৃদ্ধি পায়, যখন দেশটির উৎপাদন সক্ষমতা হ্রাস পায়। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে তা দেশের প্রয়োজনীয়তা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিওপি সর্বশেষ কমেছিল ২০০০-০১ অর্থবছরে। তখন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। দেশের সার্বিক অর্থনীতি গতিশীল করার ক্ষেত্রে এটি অন্যতম ব্যর্থতা। দেশে বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সত্তে¡ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে না পারা দুঃখজনক। একই সঙ্গে দেশ দ্রæত গতিতে আমদানি নির্ভর হয়ে পড়ছে। সরকারের এ বিষয়ে মনোযোগ আছে বলে মনে হচ্ছে না। তাই দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হলে বিনিয়োগ, উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধির কোনো বিকল্প আছে বলে অন্তত পক্ষে আমরা মনে করি না। যে চাল উৎপাদনে আমরা বছরের পর বছর ধরে রেকর্ড করে আসছি এবং রপ্তানিও করেছি, সে চাল এখন বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। চালের দাম দরিদ্র মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মানুষের জীবনযাপনে টানাপড়েন চলছে। সরকারের তরফ থেকে যেভাবে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে, বাস্তবে তার বিপরীত চিত্রই ফুটে উঠছে। অন্যদিকে সুদহার তলানিতে ঠেকলেও বিনিয়োগ হচ্ছে না। পরিচালন ব্যয় মেটাতে ঝুঁকি পূর্ণখাতে বিনিয়োগ করছে অনেক ব্যাংক। ব্যাংকিং সূত্রে জানা যায়, ব্যাংকিং খাতে গড় ঋণের সুদহার কমে নেমেছে সাড়ে ৯ শতাংশ। এটা দেশের যেকোনো সময়ের চেয়ে কম বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। কিন্তু এর পরেও কাঙ্খিত হারে বিনিয়োগ হচ্ছে না। বরং গুণগত বিনিয়োগ পেতে যেনো দিশেহারা ব্যাংকিং খাত। এমন পরিস্থিতিতে কোনো কোনো ব্যাংক পরিচালন ব্যয় মেটাতে ঝুঁকিপূর্ণ খাতেও বিনিয়োগ করছে। ঋণের অর্থ ২০১০ সালের মতো পুঁজিবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ খাতে যাচ্ছে কি না তা নিয়ে স্বয়ং সংশয় প্রকাশ করেছেন খোদ ব্যাংকাররা।
গড় সুদহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত বছরের জানুয়ারিতে ঋণের গড় সুদহার ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ফেব্রæয়ারিতে ১০ দশমিক ৯১ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ, মার্চে ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, এপ্রিলে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশে, মেতে ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশে, জুনে ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে, জুলাইয়ে ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫১ শতাংশে এবং আগস্টে ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে কমে ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশে নেমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান মতে, জুলাইতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ হার ছিল ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। বেসরকারি খাতের এ বিনিয়োগ হার নিয়ে সংশয় রয়েছে তাদের। কারণ দৃশ্যমান কোনো বিনিয়োগ নেই। সাধারণত বিনিয়োগ হার নিয়ে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কোনো বিনিয়োগ না হলেও আপনা আপনিই ১১ থেকে ১২ শতাংশ বিনিয়োগ হয় সুদহারের কারণে। কারণ বিদ্যমান যে পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে, তার গড় সুদহার ১২ শতাংশ হলে পুরনো ঋণের সাথে বছর শেষে সুদ যুক্ত হওয়ায় আপনা আপনিই বিনিয়োগ ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। সেই হিসাবে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ হার সন্তোষজনক নয়।
ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ বিনিয়োগ দেখাচ্ছে, তার একটি উল্লেখযোগ্য হলো কাগুজে ঋণ। যেমন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ কমাতে একই গ্রাহককে নতুন করে ঋণ দিয়ে পুরনো ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে। এতে ব্যাংকের যেমন ঋণ পরিশোধ হার বাড়ছে, তেমনি নতুন ঋণও বাড়ছে। ২০১০ সালেও বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিয়োগখরায় ভুগছিলো। ওই সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বল তদারকির কারণে ব্যাংক ঋণের একটি বড় অংশ পুঁজিবাজারে চলে গিয়েছিল। এটিই পরে পুঁজিবাজার ও ব্যাংকের জন্য কাল হয়ে গিয়েছিল। পুঁজিবাজারের সূচক আকাশমুখী ছিল। একপর্যায়ে ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করতে তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বর্তমান বাস্তবতায় ব্যাংকগুলো এ পথে না গেলে তাদের বছর শেষে পরিচালন ব্যয় ওঠানোই মুশকিল হবে। এ ছাড়া ব্যাংকের এমডিরা উচ্চ বেতন পেয়ে থাকেন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এমডিদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে বেশি মুনাফা দেখায়। বেশি মুনাফা দেখালে বছর শেষে লভ্যাংশ নিতে পারবেন তারা। এ বাস্তবতায় এমডিদের কিছু করার থাকে না। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শক্ত ভূমিকা না রাখলে ব্যাংকগুলোর বর্তমান অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে বলে আশা করা যায় না। আমরা মনে করি, উন্নয়ন ফেরি’র শ্লোগানে নয়, বরং সুদৃঢ় আর্থিক কাঠামো গড়ে তোলার জন্য আর্থিক সেবাবঞ্চিত জনসাধারণকে অর্থনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: সংবাদকর্মী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন