শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সিএনজি চালকদের সংঘর্ষে শিক্ষক-পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দুপুর ১২টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সিএনজি চালকদের হামলায় শাহপরান হলের সহকারী প্রভোস্ট আশিস কুমার বনিকসহ পাঁচজন শিক্ষার্থী, চারজন স্থানীয় পথচারি ও পুলিশ এক কনস্টেবল আহত হয়। আহতদেরকে সিলেট নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত মাসখানেক ধরে প্রায় সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক টানা দুই ঘণ্টা যাবৎ অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এতে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় ঘটনাস্থলে প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ ও জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম স্বপন দ্রুত উপস্থিত হন। ‘ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে’ প্রক্টর ও জালালাবাদ থানার ওসির এমন আশ্বাসে সড়ক অবরোধ থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা। এমন সময় বেপরোয়া গতিতে একটি প্রাইভেট কার শিক্ষার্থীদের কাছে আসলে তারা গাড়ী ভাঙচুর করতে উদ্ধত হয়। পরে পরিবহন শ্রমিকরাও সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।
প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার সময় সিএনজি চালকদের অতর্কিত হামলায় একজন শিক্ষকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
উল্লেখ্য, গত মাস খানেক ধরে সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে সিএনজি চালকসহ একটি চক্র প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর মোবাইল সহ মূলবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন