শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ছাত্রলীগের রাজনীতি কোন পথে?

স্টালিন সরকার : | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

‘সাবাস বাংলাদেশ... ;এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়/ জ্বলে-পুড়ে মরে ছারখার; তবু মাথা নোয়াবার নয়’। কবি সুকান্ত ভট্টচার্যের এই পংক্তি হতে পারে ছাত্রলীগের অতীতের গৌরবোজ্জ্বল কর্মকান্ডের যুতসই উদাহরণ। ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ’৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯ গণঅভ্যুত্থান, ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এমনকি ’৯০ এরশাদ পতন আন্দোলনে অসামান্য অবদান রেখে সংগঠনটি দেশময় উজ্জ্বল্য ছড়িয়েছে। দীর্ঘ এই সময়ে দেশের ছাত্রসমাজ বিশেষ করে ছাত্রলীগের যে গৌরবোজ্বল ভূমিকা তা আজ ইতিহাস। এ জন্যই মানুষের কাছে ‘ছাত্ররাই জাতির ভবিষ্যৎ’ প্রবাদটি তৎপর্যপূণ। বর্তমান আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন এবং মন্ত্রিত্ব করছেন এমন জাঁদরেল নেতাদের অধিকাংশেরই রাজনীতির গোড়াপত্তন ঘটে ছাত্রলীগের মাধ্যমে। সেই ছাত্রলীগের একি হাল! ‘শিক্ষা শান্তি প্রগতি’ সংগঠনটির মূলনীতি অথচ বর্তমানে ছাত্রলীগ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে যেন আতঙ্কের নাম। সম্প্রতি মিডিয়ায় প্রশ্নফাঁসের খবরগুলো পড়ে মনে হচ্ছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করাই যেন ছাত্রলীগের মূলনীতি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে ছাত্রলীগের নাম যেন ওতপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে গেছে। যে ছাত্রলীগের রাজনীতি এক সময় ছিল ‘অহংকার-গৌরবের’ সেই ছাত্রলীগের নাম শুনলে মানুষ ভয়ে ‘আতকে’ উঠেন। কেন এমন হলো!!
ছাত্ররাই জাতির ভবিষ্যত। আগামী দিনে ছাত্র নেতারাই জাতির নেতৃত্ব দেবেন। এ জন্য বিজ্ঞ-গুণীজনেররা বলে থাকেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর ছাত্রসংসদের নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। ছাত্র সংসদের নির্বাচন হলে ছাত্রদের মধ্যে থেকে নতুন নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে স্বৈরাচার এরশাদের শাসনামলে ঢাকসু-চাকসু-রাকসুসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়মিত হয়েছে; কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নতুন নের্তৃত্ব সৃষ্টি হয়েছে। অথচ গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর শাসনামলে প্রায় ২৫ বছর ধরে ডাকসুর নির্বাচন হয় না। এতে করে ছাত্রদের মধ্য থেকে নতুন নের্তৃত্ব গড়ে ওঠা কার্যত দূরহ হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্র সংগঠনগুলোকে ‘লাঠিয়াল বাহিনী’ হিসেবে ব্যবহার করায় ক্ষমতায় যখন যে দল যায়; তখন সে দল সমর্থিত ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। বিএনপির শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের আধিপত্য ছিল; সরকার পরিবর্তনের পর ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে ছাত্রলীগের হাতে। এটা পুরনো খবর। নতুন খবর হলো আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ‘বিজ্ঞপ্তি’। ২১ নভেম্বর ইস্যু করা সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে আরও গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষ্যে সব সাংগঠনিক ইউনিটের অন্তর্গত মাধ্যমিক স্কুলে ছাত্রলীগের স্কুল কমিটি গঠন করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।’ কমিটি গঠন-সংক্রান্ত বিষয়ে সার্বিক তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব দেয়া হয় সংগঠনটির স্কুল-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীনকে।
আমাদের দেশে ছাত্র রাজনীতির চর্চা শুরু হয় কার্যত কলেজ থেকে। এসএসসি পাসের পর কলেজে ভর্তি হয়ে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রীদের কেউ কেউ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সেই রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি পর্যন্ত গড়ায়। দেশের হাইস্কুলগুলো ছাত্র রাজনীতির বাইরে থাকায় ছাত্রছাত্রীদের দলাদলির সুযোগ নেই; সেখানে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করেন দলাদলির উর্ধ্বে থেকেই। সেই স্কুল পর্যায়ে ছাত্রলীগ সাংগঠনিক কার্যক্রম ছড়িয়ে দিলে গ্রাম বাংলার স্কুলগুলোর পরিস্থিতি কেমন দাঁড়াবে? স্কুল পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে ছাত্রলীগ ছাত্র রাজনীতির চর্চা শুরু করলে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো কি বসে থাকবে? তারাও কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিজেদের আদর্শ-দর্শন স্কুল পর্যায়ে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রচার করার প্রয়াস পাবে। তখন বিশ্ববিদ্যায় ও কলেজের বিভেদের ছাত্র রাজনীতির মতোই আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে সংঘাত সংঘর্ষ কি গ্রামগঞ্জের হাইস্কুলগুলোতে পৌঁছে যাবে না?
এইচ এম এরশাদ তাঁর ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ছাত্র রাজনীতি বন্ধের’ প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাঁর মতলবী প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের সাধারণ মানুষ। অতপর নব্বই দশকের শেষের দিকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিচারপতি শাহাবউদ্দিন আহমদ রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সন্ত্রাসমূক্ত রাখতে ছাত্র রাজনীতি কিছুদিন বন্ধের নতুন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। কিন্তু তার সে প্রস্তাব কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। কারণ ছাত্র রাজনীতির মধ্যদিয়েই আগামীর নের্তৃত্ব সৃষ্টি হবে। কিন্তু ছাত্র রাজনীতির নামে দেশের মানুষ কি দেখছে? ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিএনপির সমর্থিত ছাত্রদল বিতাড়িত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলগুলো দখল করে নেয়। অতপর দেশের মানুষ কি দেখছে? মিডিয়াগুলোর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতিপক্ষ ছাত্রদলের অনুপস্থিতিতে ছাত্রলীগ নিজেরাই কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে। ৮ বছরে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রতিপক্ষ্যের ওপর হামলা, চাঁদাবাজী, আধিপত্য বিস্তারের জন্য সংঘর্ষ, গোলাগুলি, টেন্ডারবাজী, দখল বাণিজ্য, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন, হলের সিট নিয়ন্ত্রণসহ নানা ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে কোন্দলে ছাত্রলীগের প্রায় একশ ৩০জন নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছে। পুরান ঢাকায় প্রকাশে ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে দর্জি বিশ্বজিত হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক দৃশ্য দেশের মানুষ দেখেছে। বরিশালে কলেজের অধ্যাক্ষকে চ্যাংদোলা করে পানিতে ফেলে দেয়া, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গায়ে এসিড নিক্ষেপ, জাহাঙ্গীর নগরে এক ছাত্রীকে ধর্ষরে সেঞ্চুরি করা, সিলেটের এমসি কলেজের হোস্টেলে অগ্নিসংযোগ, শরিয়তপুরসহ সম্প্রতি কয়েকটি এলাকায় ছাত্রলীগের নেতার নারী ধর্ষণ এবং ধর্ষনের দৃশ্য ধারণ করে ভিডিও প্রচার কাহিনীসহ অসংখ্য ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাদের নাম জড়িয়েছে। কোথাও কোনো অঘটন ঘটলে ছাত্রলীগের ওই শাখা কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়; অভিযুক্তকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। এটাই কি অপরাধের শক্তি! জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সংঘাত সংঘর্ষ ঘটেছে; ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রাণ হারিয়েছে; শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থেকেছে। ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির নেতাদের এসব কর্মকান্ডে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে সংগঠনের অভিভাবক পদ থেকে পদত্যাগ পর্যন্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সম্প্রতি কয়েকটি বক্তব্যে প্রকাশ পায় ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে মূল সংগঠনে নেতারা কত ত্যাক্ত-বিরক্ত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী বিতর্কিত নির্বাচনের আগে ও পরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক অর্জন রয়েছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু, বিদ্যুৎ সেক্টর এবং ঢাকায় অনেকগুলো ফ্লাইওভার নির্মাণসহ দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যপক সাফল্য চোখে পড়ে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সেই সাফল্য অনেক ক্ষেত্রে ম্লান হয়ে গেছে ছাত্রলীগের কিছু নেতার কর্মকান্ডে। তারপরও ছাত্রলীগ ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন।
এতোদিন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রীক ছাত্র রাজনীতি চর্চা হওয়ায় হাই স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজী-প্রতিপত্তি বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা-দখলদারিত্ব ইত্যাদি থেকে দূরেই ছিল। কিন্তু স্কুল পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতির চর্চা ছড়িয়ে দেয়া হলে কি সেখানেও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো মারামারি-কাটাকাটি শুরু হয়ে যাবে না? ছাত্রলীগের ওই চিঠিতে হাইস্কুল পর্যায়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের পরতে পরতে নিজের ছাত্র রাজনীতি, যুব রাজনীতির কথা বর্ণনা করেছেন। ছাত্রনেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পুরান ঢাকার দলীয় কার্যালয়ে ঘুমানো, টেবিলে ঘুমানো, সহকর্মীর মেসে ঘুমানোর কাহিনী তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধু আর্থিক সংকটের কাহিনী তথা কিভাবে বাড়ি থেকে অর্থ এনে খেয়েছেন সে চিত্র তুলে ধরেছেন। পকেট খরচের জন্য পত্রিকায় কাজ করেছেন। সাংগঠনিক কাজে ঢাকা থেকে ট্রেনে রংপুর গেছেন আবার ফিরে এসেছেন অথচ অর্থের অভাবে কিছু কিনে খেতে পারেননি। সেই আদর্শের কথা কি হেলিকপ্টারে ঘুরে বেড়ানো আজকের ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মিলবে?
আগেই উল্লেখ করেছি ছাত্রলীগের ইতিহাস গৌরবের অহংকারের। কিন্তু সেই গৌরব অহংকার যেন সুদূর অতীত হয়ে গেছে কণ্ঠশিল্পী পথিক নবীর গানের মতোই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই পথিক নবীর ‘নদীর জল ছিল না, কূল ছিল না, ছিল শুধু ঢেঊ/ আমার একটা নদী ছিল জানলো না তো কেউ/ এই খানে এক নদী ছিল জানলো না তো কেউ’ গানের মতোই। ’৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যে ছাত্রলীগের চলার পথের পরতে পরতে গৌরবোজ্বল ইতিহাস; সেই সংগঠনের নেতাদের সন্ত্রাস-চাঁদাবাজী-প্রশ্নপত্র ফাঁস বাণিজ্য আর নিজেদের মধ্যে খুনাখুনি দেখতে দেখতে গৌরবের কথা মানুষ ভুলতে বসেছে। নতুন প্রজন্ম ‘এই খানে এক নদী ছিল’ এর মতো মনে করছে ‘ছাত্রলীগের এক সময় গৌরবোজ্বল ভুমিকা’ ছিল। বর্তমানে সংগঠনটির নেতাদের কর্মকান্ডে নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ভীতিকর অবস্থা তাতে গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজার হাজার হাইস্কুলে সংগঠনটির বিস্তার ঘটানো হলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘাত স্কুল পড়–য়া উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। ছাত্রলীগ হাইস্কুল পর্যায়ে সংগঠন ছড়িয়ে দিলে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র শিবিরও তাদের সংগঠন স্কুল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেবে। তখন পরিস্থিতি কেমন হবে? ছাত্র রাজনীতির নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের খুনাখুনি কি হাইস্কুল পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে না? বিশেষ করে ক্যাডার ভিক্তিক সংগঠন ছাত্রশিবির যদি গ্রামের হাইস্কুল পর্যায়ে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেয়; তাহলে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে যাবে ভাবা যায়?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
Asraful Islam ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৪২ এএম says : 0
এসব কমিটি বাদ দিয়া সোজা গর্ভবতী মহিলাদের কে আওয়ামী টিকা দিয়ে দিন। তাহলে আর এতো কষ্ট করে চেতনা টেবলেট ফেরী করে বেড়াতে হবে না।
Total Reply(1)
মির্জা সিকান্দার ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৫৮ পিএম says : 4
আপনার চেয়ে বড় সুন্দর কমেন্ট আর কখনো পড়িনি, এমনকি কখনো শুনিও নাই।
Daud Khandakar ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৪২ এএম says : 0
আমার পরিবারেও কমিটি দিবো ভাবছি, বউ বিরোধী দলীয় নেত্রী আমি সরকার প্রধান
Total Reply(0)
Md. Al-Helal Rana ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৪৬ এএম says : 0
স্কুল লেভেলের ছেলেরা এমনিতেই aggressive থাকে। তারপর রাজনৈতিক প্রশ্রয় পেলে সারা দেশ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখে পড়বে। মেয়েরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেবে। নারী শিক্ষার ১২ টা বাজবে।
Total Reply(1)
মির্জা সিকান্দার ২৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০৫ এএম says : 4
একদম সঠিক। কিন্তু তাতে আওয়ামীদের কিই বা যায় আসে! দেশে আওয়ামীরা থাকলেই হল, বাকি দেশ সভ্যতা, আদর্শ এগুলোর মুল্য আওয়ামীদের কাছে একদম তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বিষয়।
Plabon Das ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৪৭ এএম says : 0
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি প্রবেশ করলে ইস্কুল লাইফের মধুমাখা স্মৃতি,বন্ধুত্ব শিক্ষকদের সাথে ছাত্রছাত্রীদের মধুর সমপর্ক শৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়ার সম্ভবনা অত্যান্ত বেশি! যা মৌলিক শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ঝুঁকিতে ফেলে দিবে। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণিতে পড়া ছাত্রছাত্রীদের বয়স ১০থেকে ১৬বছরের মধ্যে পড়ে ফলে বয়সের অপরিপক্বতায় ছেলেপেলে গুলোর ভালোমন্দ যেমন বুঝার জ্ঞানের ঘাটতি থাকে!তেমনি টুকিটাকি কথা কাটাকাটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে হানাহানি দলাদলিতে জড়িয়ে পড়বে! এবং কি অসমবয়সে ছাত্রছাত্রীদের প্রেমে জড়িয়ে পড়ার মাত্রা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি ইভটিজিংয়ের মত গঠনা ঘটার সম্ভবনা অধিক হারে বৃদ্ধি পাবে
Total Reply(0)
Md Shanto Talukdar ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ৩:০৫ এএম says : 0
বাংলাদেশের রাজনীতি দিনের পর দিন ভয়ংকর রূপ ধারন করতেছে।আজ এসব কমলমতি ছাত্রদের উপর রাজনীতের প্রভাব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ম ১০০% অযুক্তিক ও ভয়ংকর।
Total Reply(0)
নীল ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ৩:০৬ এএম says : 0
দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমনিতেই ধ্বংসের মুখে এখন আর বাকি থাকলোনা, , , আর আমরা নির্লজ্জের মত এসব সজ্জ করেই যাব!
Total Reply(0)
Tahsan Ahmmed ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ৩:০৭ এএম says : 0
মেধাবিকাশের শুরুটাও এবার ধ্বংশের দারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।এটা ছাত্রলীগের দেউলিয়াপনা ছাড়া আর কিছু না।
Total Reply(0)
Akter Hossain Akter ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ৩:০৮ এএম says : 0
দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিক কে এই অশুভ তৎপরতা রুখে দাড়ানো উচিত এমন কি প্রত্যেক ধর্মালম্বী আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করা উচিত এদের কালো থাবা থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য। এই ভয়াবহ চোবলে কিশোরদের মাজে রাহাজানি খুন বেড়ে যাবে। লেখাপড়া তো থাকবেই না
Total Reply(0)
Bojlur Rahman Shiplu ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ৩:০৯ এএম says : 0
কমিটিতো নয় স্কুলেও মারামারি ঝগরার ফেসাদের একটা রাস্তা তৈরি হলো।এমন কেউ গেরান্টি দিতে পারবে এতে স্কুলের পরিবেশ আর খারাব হবে না।গেঞ্জাম বাড়বে না।
Total Reply(0)
Rasel Khan ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ৩:১০ এএম says : 0
হাই স্কুলে যারা পড়ালেখা করে তাদের বয়স ই কত তাদের কি রাজনীতি করার মত জ্ঞান শক্তি হইছে।
Total Reply(0)
Md.Shahidul Islam ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ৮:৪০ এএম says : 0
মাধ্যমিক পযায়ে যদি,ছাএলীগ গঠন করা হয়।পড়া লেখাতো দুরের কথা,রাজনীতি করতে গিয়ে হয় সে,নিজে খুন হবে। না,হয় সে খুনি হবে। এতেতো জাতির বা ওই ছাএ এর ভাল হবেই না।বরং ক্ষতি হবে। তাই আমি মনে করি এই পদক্ষেপ বাদ দেয়া উচিত।
Total Reply(0)
ওসমান ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ৮:৪৯ এএম says : 0
আমি মনে করি সরকারকেই এর পরিনতি ভোগ করতে হবে..।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন