আঠারো বছর পর সংসদ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে নেপালের জনগণ। রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শেষে, রাজতন্ত্র অবসানের এক দশক পর এবারের নির্বাচন হিমালয়ের কোলে থাকা দেশটিতে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে বলেও প্রত্যাশা তাদের। নতুন সংবিধান অনুযায়ী রোববার নেপালে প্রথম দফা ভোট চলছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর হবে দ্বিতীয় দফা ভোট, এরপর ফলাফল। দুরূহ গণনাপদ্ধতির জন্য ফল ঘোষণায় কয়েকদিন লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ বামদলগুলোরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজতন্ত্রপন্থিদের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মাধেসি পার্টি নেপালি কংগ্রেসের জোটে আছে। সর্বশেষ সংসদের প্রধান বিরোধীদল কমিউনিস্ট ইউএমএল পার্টির সঙ্গে জোট বেধেছে মাওবাদীরা। তাদের সঙ্গে আছে ছোট ছোট আরও কয়েকটি বামদল। প্রসঙ্গত, ২০০৮ ও ২০১৩ সালে সাংবিধানিক পরিষদের জন্য ভোট দিয়েছিল নেপালের জনগণ। কয়েক বছরের টানাপোড়েন ও বিতর্কের পর ওই সাংবিধানিক পরিষদেই নতুন সংবিধান অনুমোদিত হয়, যার অধীনেই এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে দেড় কোটি ভোটার ২৭৫ জন সাংসদের পাশাপাশি ৭টি আলাদা প্রদেশে প্রাদেশিক সংসদের প্রতিনিধিও ঠিক করবেন। প্রথম দফা ভোটের আগে দেশটিতে বেশ কিছু বিস্ফোরণ ও বোমাবাজির খবর পাওয়া গেছে। মাওবাদী একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে এজন্য দায়ী করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে ভোট শুরুর আগ পর্যন্ত ৩০টির মতো বিস্ফোরক নিস্ক্রিয় করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নৈন রাজ দাহাল জানিয়েছেন। মাওবাদী কৃষক গেরিলাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধের অবসানের পর প্রথমবারের মতো হওয়া এই নির্বাচন নেপালকে সত্যিকারের গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রে পরিণত করবে বলে প্রত্যাশা ভোটারদের। বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন