বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

আত্মরক্ষায় কারাতে

| প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো: আলতাফ হোসেন : কারাতে শিক্ষাটা কিন্তু মারামারি শেখা নয়। এটা একটা আর্ট। যা চর্চা করলে শরীর-মন দুটো সুস্থ থাকে। প্রতিদিন কারাতে অনুশীলন করলে অন্য কোন ব্যায়াম করার আর প্রয়োজন পরে না। এই খেলাটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শারীরিক বৃদ্ধিও দ্রæত হয়। শরীরে অতিরিক্ত মেদ থাকলে তা কেটে যায়। হতাশা বা নেতিবাচক অনুভূতি গ্রাস করতে পারেনা। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা ‘আতœরক্ষায় কারাতে’ ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ৩৮তম পর্বে আজ আমরা আলোচনা করবো ‘কাতা’ বা ফং-৩ (সি) ইভেন্ট নিয়ে।
‘কাতা’ বা ফং-৩ (সি)
কিছুক্ষণ ওয়ার্মআপের পর কিবাডাসী পজিশন থেকে ‘কাতা বা ফং-৩ (সি)’ ইভেন্ট প্রশিক্ষণ শুরু করতে হবে। কিবাডাসীতে হাত দুটি ছিলো মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় কোমড়ে আর পা দু’টি ছিলো হাটু ভাঙ্গা অবস্থায়। এই ইভেন্ট প্রশিক্ষণের সময় প্রশিক্ষণার্থীকে প্রথমে কিবাডাসী থেকে দু’হাত সামনে যেতে হবে। তালুগুলো থাকবে সামনের দিকে এবং বাম হাটু উঠবে আর পায়ের আঙ্গুল গুলো থাকবে টোচ পজিশন এবং বাম পা থাকবে হাটু ভাঙ্গা অবস্থায়। এরপর হাত দু’টি পজিশনে চলে যাবে। ডান পা এক স্টেপ সামনে যাবে এবং বাম পা’টি ডান পায়ের ভেতরে থাকবে। ডান হাত বাম হাতের সঙ্গে ক্রস করে বাম হাত চলে যাবে বাম কোমড়ে আর ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে সজোরে সামনে মারতে হবে, একই সঙ্গে ডান হাত আবার ওপরে ওঠে আসবে এবং বাম হাত ঢুকে যাবে ডান হাতের ভেতরে। তারপর ডান পায়ে সাইড কিক মারতে হবে। বামে ঘুরে বাম পায়ে ব্যাক কিক মারতে হবে। পর্যায়ক্রমে ডান পায়ে মাউশিগীরি এবং এরপরেই ডান পায়ে আবার উল্কাগিরী মারতে হবে। পরবর্তীতে ডান পা চলে যাবে পেছনে এবং বাম হাতে সোডনসখী মারতে হবে। এ সময় বাম হাটু থাকবে ভাঙ্গা অবস্থায় আর বাম পা চলে যাবে পেছনে এবং ডান পা থাকবে হাটু ভাঙ্গা অবস্থায়। সেই সঙ্গে দু’হাতে সজোরে সামনে মারতে হবে। পরে বাম দিকে ঘুরতে হবে। বাম হাত চলে যাবে বøক অবস্থায় বাম হাটুর উপরে। আর ডান হাত থাকবে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় ডান কোমড়ে।
এরপর বাম দিকে ঘুরে বাম হাত ডান হাতে ক্রস করে ডান হাত চলে যাবে ডানে ও বাম হাত যাবে বাম দিকে। এসময় হাতের তালু থাকবে ভেতরের দিকে। এবং ডান পায়ের ভেতরে থাকবে বাম পা। এরপর উভয় হাতের তালু দিয়ে মাটিতে মারতে হবে। পরে বাম পা দিয়ে মাটিতে সুইং করতে হবে। তারপর ওঠে ডান পায়ে ফ্রন্ট কিক মারবে প্রশিক্ষাণার্থী। সঙ্গে মুষ্টিবদ্ধ দু’হাতে সামনের দিকে সজোরে মারবে। মারার সময় ডান পা হাটু ভাঙ্গা অবস্থায় থাকবে এবং বাম পা থাকবে এই পা বরাবর পেছনে। এবার ডান পায়ের ভেতরে বাম পা ঢুকে যাবে এবং বাম দিকে ঘুরে বাম হাত ও ডান হাতে সজোরে মারতে হবে শিক্ষার্থীকে। মারার সময় ডান হাতটি উপরে আর আঙ্গুলগুলো পাশপাশি থাকবে এবং ডান হাতের তালু থাকবে উপরের দিকে বাম হাতের নিচে একটু পেছনে। এরপর দু’হাতেই আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরতে হবে একই সঙ্গে আঙ্গুলের অর্ধেক বন্ধ রেখে পরপর তিন বার ডান ও বাম হাত বদল করে মারতে হবে। এরপর ডান পায়ে কিঙ্গারী অর্থাৎ ফ্রন্ট কিক মারবে শিক্ষার্থী। পরের স্টেপে বাম পায়ে সাইড কিক অর্থাৎ উল্কাগিরী মারতে হবে। মারার সঙ্গে সঙ্গে শূন্যেই আবার মাউশিগীরি মারতে হবে। সেই সঙ্গে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় বাম হাত চলে যাবে বাম দিকে এবং ডান হাত মুষ্টিবদ্ধ ভাবে চলে যাবে নিচের দিকে বøক অবস্থায়। এরপর ডান পা চলে যাবে পেছনে এবং বাম হাত মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় ডান দিকে ঘুরিয়ে মারতে হবে।
এবার যেখান থেকে শুরু হয়েছিল সেখানে এসেই শেষ হবে ‘কাতা বা ফং-৩ (সি)’ প্রশিক্ষণ।
লেখক : সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ, কারাতে কোচ ও চেয়ারম্যান গ্রীন ক্লাব, মানিকগঞ্জ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন