সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে এ বছরের গ্রন্থমেলার। পাঠক, প্রকাশক ও সবার জন্য আনন্দের সংবাদ হলো গতবারের চেয়ে মেলার সময় আধঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে, এবার মেলা চলবে প্রতিদিন রাত ৯টা পর্যন্ত। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় নিয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় পরিসরে মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করবেন। বড় পরিসরে এবার মেলা হতে যাচ্ছে বলে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যে কারণে মেলায় কোনো ধরনের ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না দর্শনার্থীরা।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮ চলাকালে ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করা হয়েছে ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭ প্রদান করা হবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘আলোকচিত্রে বাংলা একাডেমীর ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: বহুমাত্রিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক গ্রন্থ তুলে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার বাংলা একাডেমীর আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেলার বিস্তারিত তুলে ধরেন মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলা একাডেমীর পরিচালক ড. জালাল আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমীর সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক কুমার ব্যানার্জি, গ্রন্থমেলার ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেড চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেডের সিইও কামাল কাদের।
মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলা একাডেমীর পরিচালক ড. জালাল আহমেদ জানান, গ্রন্থমেলায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর দিয়ে দুটো মূল প্রবেশপথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাইরের ৬টি পথ থাকবে।
মেলার নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, গ্রন্থমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্তসংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বপালন করবেন পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিরাপত্তাকর্মীরা। নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে ২৫০ ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রন্থমেলা সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে।
মেলা ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন