শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল পরিবহন বন্ধ করুন
যখন কোনো ভ্যানে ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে, তখন একটি ভ্যানে সাতজন পর্যন্ত উঠানো হয়। চালকের সামান্য ভুলে ঘটে যেতে পারে অনেক বড় দুর্ঘটনা। এই স্কুলভ্যানগুলো কীভাবে অনুমোদন পাচ্ছে বা কারা চালানোর জন্য অনুমতি দিচ্ছে, তা দেখা দরকার। অনেক স্কুলেরই গাড়ি ভাঙা, রঙ ওঠা এবং ফিটনেসবিহীন। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের বাইরে এই ঘটনাগুলো ঘটছে প্রতিনিয়ত। সড়ক দুর্ঘটনা এমনিতেই কমানো যাচ্ছে না। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্যাটারিচালিত সব স্কুল পরিবহন ভ্যান বন্ধ হোক।
সাঈদ চৌধুরীস, গাজীপুর

সুন্দর বাংলা বলুন
আমরা দৈনন্দিন ভাষা ব্যবহার করতে গিয়ে মুখোমুখি হই নানা ধরনের শব্দ ও রূপের। এই ভাষারূপ কারও কাছে সহজে বোধগম্য হয় আবার কারও কাছে সম্পূর্ণ নতুন মনে হয়। যে রীতি সবার কাছে সহজে গ্রহণযোগ্য হয় সে রীতিতে সংজ্ঞাপন করাই শ্রেয়। বাংলা ভাষার ব্রাহ্মণ্য রীতি অর্থাৎ সাধু রীতিতে রচিত সাহিত্যই বাংলা সাহিত্যের রতœভাÐার। কিন্তু এই সাহিত্য অল্পশিক্ষিত বাঙালির মন জয় করতে পেরেছে খুব কমই। অথচ ১৯১৪ সালে ‹সবুজপত্র› পত্রিকা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও প্রমথ চৌধুরীর চেষ্টায় বাংলা ভাষার যে রীতি গড়ে উঠেছে, তাকে আমরা বলছি চলিত রীতি। এই চলিত ভাষারীতিতে রচিত ‹শেষের কবিতা› পাঠ করলে যে কোনো বয়সের পাঠক মনে করেন, আমি-ই অমিত আর পাঠিকা মনে মনে ভাবেন, তিনি নিজেই লাবণ্য! তবে এই দুই রীতিই আমরা লেখার কাজে ব্যবহার করে থাকি। আমাদের দেশে এখনও কমবেশি সরকারি আদেশ-নির্দেশ জারি করতে ব্যবহৃত হয় সাধু রীতি। কোনো কোনো দৈনিকের সম্পাদকীয়, এমনকি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের যে বাংলা অনুবাদ সেটাও লেখা হয় এই ঐতিহ্য রীতিতে। শিক্ষার মাধ্যম, পাঠ্যপুস্তক, সাহিত্য, চিঠিপত্র, সংবাদ-সাময়িকীসহ সর্বত্রই এখন চলিত ভাষারীতির ব্যবহার হয়। আমরা এখন পর্যন্ত সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন শীর্ষক আইনের বাস্তবায়ন করতে না পারলেও আমরা চাই সবাই প্রমিত বাংলা ব্যবহার করি। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক কিংবা সামাজিক যোগাযোগ সাইটথ যেখানেই ভাষা ব্যবহার করি না কেন, আপনার একটু বিনোদনের জন্য তা যেন ভাষার দূষণে ভূমিকা না রাখে।
আহসান হাবীব
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

গণপরিবহনে অনিয়ম দূর করুন
আমাদের দেশের মানুষের যাতায়াতের বড় মাধ্যম হলো বিভিন্ন গণপরিবহন। এসব পরিবহনের মধ্যে বাস, সিএনজি, অটোরিকশা অন্যতম। পরিতাপের বিষয়, গণপরিবহনে প্রায়ই ভাড়া নিয়ে চলে নৈরাজ্য ও অনিয়ম। যা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। যদিও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, কোনো অনিয়ম চলে না। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং ফুটপাতের অবৈধ দখল যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশিল্গষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মো. মানিক উল্লাহ
মাজগ্রাম, এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন