মাদকাসক্তি সামাজিক অবক্ষয়ের ফল। মাদকাসক্তির পরিণাম ভয়াবহ। আসক্ত ব্যক্তির কুপ্রভাব থেকে রেহায় পায় না তার পরিবার এবং সমাজ। বর্তমানে যুবকদের মাঝে এমনকি দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেও মাদকের প্রভাব লক্ষণীয়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে মাদকসেবীদের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ হলো বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সেদিন তো একজন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই অতিরিক্ত মাদক সেবন করে জ্ঞান হারায়! এটা খুবই হতাশাজনক, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠগুলো মাদক মুক্ত নয়! একজন ছাত্র যার হাতে থাকবে বই-খাতা। মাথায় থাকবে পড়ালেখার চিন্তা। যে দেশ নিয়ে ভাববে। জাতি গড়ার স্বপ্ন বুনবে। মাদকের বিরুদ্ধে বলবে, লিখবে এবং মানুষকে সচেতন করবে। এমন ব্যক্তি যদি নিজেই মাদকাসক্ত হয়ে যায়, তার পড়ালেখা তো গোল্লায় যায় এবং ক্রমেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়। যে যুবক দেশের সম্পদ হওয়ার কথা সে হয়ে যাচ্ছে দেশ এবং জাতির বোঝা। ব্যক্তি মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে অনেকাংশে পরিবেশই দায়ী। এক্ষেত্রে সামাজিকীকরণ এর প্রভাব বেশি। সে যাদের সাথে এবং যে পরিবেশে বাস করে সেটাই তাকে মাদকাসক্ত করার পেছনে ভূমিকা পালন করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মাদকদ্রব্যমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাম্পাসে কীভাবে মাদক আদান-প্রদান হয়, কারা বিক্রি করে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন সভা, সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে সচেতনতা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সামাজিক সংগঠন গুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে।
আবদুল্লাহ নুর মিনহাজ
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন